Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উঠোনের এক কোণে গোরু-মোষের পরিচর্যা করছিলেন গুরমুখ সিং। কয়েক হাতের মধ্যেই বসেছিল তাঁর ছেলে। সেদিকে না তাকিয়েই গুরমুখ সিং হাঁক পাড়লেন, ‘মোহনা... গোবর আর চোনা মেখে রাখা বালতিটা এখানে নিয়ে আয়।’ দু’বার, তিনবার, চারবার... তারপর মুখ ফেরালেন গুরমুখ। দেখলেন তাঁর ছোট্ট ছেলেটি বই পড়ছে। আর তাতে এতটা ডুবে গিয়েছে যে, বাবার হাঁকডাক কানেই যাচ্ছে না! খিঁচিয়ে উঠলেন তিনি... ‘কী এত পড়ছিস? প্রধানমন্ত্রী হবি নাকি?’
আর এক বালক... ছেলেবেলায় ভাদনগর স্টেশনে বাবার চায়ের দোকানে উদয়াস্ত খাটত সে। আর তার মা আশপাশের বাড়িতে কাজ করতেন। ছেলেকে বড় করতে হবে... মানুষ করতে হবে। এটাই ছিল একমাত্র উদ্দেশ্য বাবা আর মায়ের। সেই বালককে কেউ সেদিন প্রশ্ন করেনি, খোকা, তুমি কি বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবে? কটাক্ষ করেও না।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দু’জনই। প্রথমজন মনমোহন সিং। ভারতীয় অর্থনীতিকে এক নতুন ভিতে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তার উপরই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে উন্নতির অট্টালিকা। তৃতীয় বিশ্বের তকমা ঝেড়ে ফেলে ভারত এখন দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষক বাজার। আর দ্বিতীয় জন? নরেন্দ্র মোদি।
মনমোহন সিং দশ বছর টানা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নরেন্দ্র মোদিও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে ছুটছেন। কিন্তু দু’জনের ফারাক কোথায়? প্রথমজন একের পর এক মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। সামাজিক এবং আর্থিক সংস্কার তাঁর ‘শাসনকালের’ ছত্রে ছত্রে। তা সত্ত্বেও ব্যক্তি মনমোহন ছাপ ফেলতে পারেননি জনমানসে। তাঁর প্রচার এবং প্যাকেজ, দুয়েরই অভাব ছিল। বরং গুছিয়ে বলতে গেলে, এই দু’টি ক্ষেত্রেই মনমোহন সিং ছিলেন চূড়ান্ত উদাসীন। আর নরেন্দ্র মোদি? সাত বছরে কী সংস্কার তিনি করেছেন এবং তা আম জনতার কোন কাজে লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু প্রচারে বা প্যাকেজে এতটুকু ঘাটতি নেই। নরেন্দ্র মোদি জমানায় আর একটা শব্দ আমাদের প্রত্যেকের গা সওয়া—প্রোপাগান্ডা। নরেন্দ্র মোদি ভাষণ দিচ্ছেন, মন কি বাত শোনাচ্ছেন, আচমকা ঢুকে পড়ছেন সিবিএসসি বৈঠকে... আর তারপর নিজেই ঘোষণা করছেন, এবার পরীক্ষা হবে না। জানান দিচ্ছেন, তিনি আছেন। সর্বত্র। সিনেমার পর্দায় এক সময় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, এখন সলমন খান... আর পর্দার বাইরে নরেন্দ্র মোদি। লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ যাঁদের জনপ্রিয়তার হাতিয়ার। ওয়ান ম্যান আর্মি গোছের ব্যাপার। একাই জনা বিশেক শত্রুকে শুইয়ে দিচ্ছেন। চোখা চোখা ডায়লগ ছুড়ছেন। কিন্তু মোদিজি, ব্যাপারটা সিনেমার পর্দায় ভালো লাগে। রোজকার জীবনে নয়। এখানে আমাদের খেতে বসে ভাবতে হয়, রাতের বেলা দু’মুঠো ভাতের সংস্থান আছে তো? গ্যালারি শোতে পেট ভরে না যে! এই তো ক’দিন আগে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে বললেন, ‘করোনা বাড়ছে। কিন্তু যা করার রাজ্যগুলিকে করতে হবে। আর সাধারণ মানুষকে। লকডাউন শেষ অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করবেন।’ তাহলে হুজুর, আপনি কী করলেন? সবটাই যে রাজ্য সরকার আর সাধারণ মানুষ করল! আপনি যেটা করতে পারতেন, ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান। সে নিয়েও তো রাজ্যগুলির হা পিত্যেশ এই সেদিনও ছিল! আর আজ? করোনা একটু সামাল দিতে না দিতেই ঢাকঢোল নিয়ে মাঠে নেমে পড়ল আপনার সরকার? আপনার ছায়াসঙ্গী অমিত শাহ তো দাবি করছেন, করোনার প্রকোপ কমছে। কেন? আপনি যে মাথার উপর আছেন! আপনার নেতৃত্বেই করোনাকে হারিয়ে দিচ্ছে ভারত। ব্যস! আর কী! বাকিদেরও নির্দেশ দিন নেমে পড়তে। ঠিক যেমন এর্নাকুলাম ও বেঙ্গালুরুতে নির্দেশ গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বারো ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়েছে, ভিডিও বার্তা ট্যুইট করো। তাতে তোমরা কী বলবে?—‘নরেন্দ্র মোদিজি ধন্যবাদ। আপনি যে পরীক্ষা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। এই করোনা মহামারীতে আমাদের প্রাণে বাঁচালেন আপনি।’ 
হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে। তাও ঢাক পেটানো চলছে। আমরা তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছি। বিশ্বাসও করছি। হয়তো ভবিষ্যতেও করব। এ কি আমাদের দৈন্য? না অসহায়তা? ভারতীয়রা আসলে বড্ড সহনশীল। আরও একটু সুযোগ দিয়েই না হয় দেখি! কিন্তু করোনাকালে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পরও? সংবাদপত্রে একের পর এক চরিত্র গত কয়েক মাসে উঠে এসেছে। আলিপুরদুয়ারের সরকারি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক... রাতের ডিউটিতে ছিলেন। একসঙ্গে পাঁচজন করোনা রোগী এসে পৌঁছলেন। প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিংবা উত্তরপ্রদেশের জুনিয়র ডাক্তার। টানা প্রায় তিন মাস বিনা ছুটিতে রোগী দেখে চলেছেন তিনি। রোজ সাত-আট ঘণ্টা টানা পিপিই কিট পরে... ভিতরের জামাকাপড় ভিজে সপসপ করে। পিপিইর হাতা, পা চুঁইয়ে পড়ে ঘাম। যেতে পারেন না বাথরুমেও। তারপর যখন সব ছেড়ে হাসপাতালের বাইরে এসে দাঁড়ান... দেখেন, এক বাস ভর্তি রোগী ঢুকছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়সই ষাটের উপর। এঁরা সবাই গ্রামীণ ভারত। যেখানে মোদিজির আচ্ছে দিনের প্রোপাগান্ডাটুকুও ভালো করে পৌঁছয়নি। যাঁরা করোনার মোকাবিলা করতে জানেন না। পরীক্ষা করাতে চান না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনওমতে গেলেও রোগীর ভিড়ে প্রাথমিক সুবিধাটুকুও পান না। এরপরও দাবি করেন, আপনারাই সামাল দিয়েছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ? যেমন দাবি জাতির উদ্দেশে ভাষণেও করলেন মোদিজি। ভাব দেখালেন, রাজ্যগুলোকে সুযোগ দিয়ে দেখেছিলেন। অনেক হয়েছে, এবার ভারত সরকারই টিকার দায়িত্ব নেবে। কিন্তু এর নেপথ্যে সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলার মতো রাজ্যের চাপ কতটা কাজ করল, সেটা প্রকাশ হল কি?
ঠিক দশ বছর আগের কথা... ৪ জুন, ২০১১। লখনউয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা এনেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ইউপিএ সরকারকে ‘দেশের ফেডারেল কাঠামোর জন্য সিঁদুরে মেঘ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন তিনি। কী কী অভিযোগ ছিল তাঁর? ১) রাজ্যগুলির আইন প্রণয়নের ক্ষমতায় দখলদারি চালাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। ২) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার চলছে। ৩) সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যগুলির অধিকার হরণ করা হচ্ছে এবং ৪) রাজ্যপালদের রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে রাজ্যগুলির মাথায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলি তাদের অধিকারের জন্য আর্তি জানাচ্ছে। কিন্তু সেই কান্না ফিরে আসছে কিছু বধিরের কানে ধাক্কা খেয়ে।’ কে ছিলেন সেই মুখ্যমন্ত্রী?—নরেন্দ্র মোদি। আজ, তাঁর সাত বছরের শাসনকালের পর এই প্রত্যেকটি অভিযোগে অভিযুক্ত তাঁর সরকার। সিবিআইয়ের অবাঞ্ছিত অতি সক্রিয়তা হোক, কিংবা ভ্যাকসিন—সর্বত্র এক নজির দেখছে দেশ। মোদিজির শাসনতন্ত্রে তো আবার নতুন প্রতিপক্ষও তৈরি হয়েছে—আমলা মহল। আলাপন বন্দ্যোধ্যায়কে অবসরের লগ্নে নাস্তানাবুদ করার প্রবল চেষ্টা চলেছে দিল্লির দরবার থেকে। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, তাঁকে দিল্লি টেনে নিয়ে গিয়ে একবার হলেও মাথা নিচু করানো... ক্ষমা চাওয়ানো। সেই অভিপ্রায়ে জল পড়ে গিয়েছে। আর কীভাবে তাঁকে অপদস্থ করা যায়, আপাতত সেই ছক কাটা চলছে রাজনীতির অন্দরমহলে। কিন্তু আঁতে ঘা যে বড্ড জোর লেগেছে! একজন ‘সামান্য’ আমলার কি না এত বড় সাহস! এক আলাপন মাথা তুলেছে মানে তো বাকিরাও তুলতে পারে! সবার ডানা ছেঁটে দাও। নির্দেশ জারি করল মোদি সরকার... অবসরের পর মুখ খোলা, বই লেখা যাবে না। তার জন্য ছাড়পত্র নিতে হবে কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশনের। অর্থাৎ, চাকরি শেষেও টিকিটি বাঁধা থাকবে শাসনতন্ত্রের ছড়িতে। শুধুই কি তাই, বই লিখতে গেলেও লাগবে সরকারি অনুমোদন। অর্থাৎ, অপছন্দের আইএএস, আইপিএস অফিসারদের তালাবন্দি করে দেওয়া গেল। তাহলে ছাড় কারা পাবে? অবশ্যই যাঁরা সরকারের প্রোপাগান্ডা করবেন তাঁরা! নরেন্দ্র মোদি জমানায় ভারত ‘উন্নতির কোন শিখরে’ পৌঁছলেন, তা লিখবেন অবসরপ্রাপ্তরা। পুনর্বাসন পাবেন সেই অফিসাররা, যাঁরা সরকারের তাঁবেদারি করেছেন। এর ব্যতিক্রম হলেই যে বিপদ! সরকার চালাতে হবে! সংসদের অন্দরে বিরোধীরা কিস্যু করতে পারবে না। কারণ, বিজেপি সেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। গেরুয়াধারী নেতারা আসবেন, আর জয় রাজার জয় বলে স্লোগান দেবেন। বেসুরো যে হবে, তার নিস্তার নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার টুঁটি চেপে ধরা হবে। বদলে দেওয়া হবে সমাজটাই।
মনমোহন সিং একটা কথা বলতেন... ‘আমি পাকেচক্রে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছি।’ সেই পাকেচক্রে প্রধানমন্ত্রী তথ্য জানার অধিকার আইন চালু করেছিলেন। তাঁর জমানায় এসেছিল খাদ্য সুরক্ষা, ১০০ দিনের কাজের ব্যাপ্তি। আর নরেন্দ্র মোদি? নোট বাতিল, অপরিকল্পিত জিএসটি-লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার ধারে লাশের মিছিল। আর বিরোধী ‘নিকেশের’ নামে রাজদণ্ডের অপপ্রয়োগ তো ছিলই। তাঁর লক্ষ্যই যে ছিল ‘শিখর’। তিনি মনমোহন সিং হতে চান না। কারণ, মনমোহন সিংয়ের সরকারের উপর... দেশের উপর কমান্ড ছিল না। নরেন্দ্র মোদির আছে। সত্যিটা কিন্তু একটু আলাদা... নরেন্দ্র মোদি চাইলেও মনমোহন সিং হতে পারবেন না। কারণ, মনমোহনের চরিত্রের একটি দিক যে কখনওই মোদির ভাগ্যে জুটবে না... সর্বশক্তির ধারক-বাহক হওয়া সত্ত্বেও না। মানবিকতা।
08th  June, 2021
মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণা: আত্মনির্ভরতার নতুন থিম সং
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেপ্টেম্বর ১, সাল ২০১৩। দিল্লিতে বিজেপির বাইক র‌্যালি। প্রতিবাদ চলছে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে... ঠুঁটো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেই বাইক মিছিল সেদিন রওনা দিয়েছিল দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাসভবনের উদ্দেশে।
বিশদ

দায়িত্ব নিন, আলোচনা
করুন, প্ল্যান বানান
পি চিদম্বরম

টিকাকরণ নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা হল, তা ইতিহাসে লেখা থাকবে। ৭ জুন, টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’টো ভুল শুধরে নিয়েছেন। আমি মনে করি, এটাই তাঁর ভুল স্বীকার করে নেওয়ার কায়দা।
বিশদ

14th  June, 2021
মমতার নির্দেশে
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
হিমাংশু সিংহ

এতদিন বাংলার রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক কথাটা শুধু জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সমার্থক ছিল ষোলোআনা। কিন্তু এখন তার আর এক দাবিদার উপস্থিত। পুত্রসম অভিষেক।
বিশদ

13th  June, 2021
সেলিব্রেটি থেকে সংগঠক,
রাজনীতির নতুন ধারা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই বলে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন, তৃণমূল ততদিন। তারপর পার্টিটাই আর থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবও দিয়েছেন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আমি চলে গেলে দলটা উঠে যাবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি।’ এতদিন তিনি যে কথা মুখে বলতেন, এবার সেটা করে দেখাচ্ছেন।
বিশদ

12th  June, 2021
পুরুষ আধিপত্যের ভিড়ে
সফল শাসক দুই বাঙালি নারী
সমৃদ্ধ দত্ত

রাজনীতির হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে নিছকই জাতিগত আকাঙক্ষার তাগিদে ২০২৪ সালের দিকে আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লক্ষ করব এই জাতিটির জার্নিতে সত্যিই কি একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? একদা একসঙ্গে থাকা দু’টি পাশাপাশি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই কি বাঙালি নারী হবেন? বিশদ

11th  June, 2021
অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিশদ

10th  June, 2021
দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। বিশদ

09th  June, 2021
হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
বিশদ

07th  June, 2021
এক আমলা যখন বাঙালির
আত্মমর্যাদার প্রতীক!
হিমাংশু সিংহ

মুখ্যসচিব হিসেবে তিনি কার নির্দেশ মানতে বাধ্য? আলাপনবাবুর দোষটা কোথায়? তিনি তো কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। আসলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের এই সীমাহীন টানাপোড়েনের মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন মুখ্যসচিবের করণীয় কী, সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। বিশদ

06th  June, 2021
আলাপনেই শেষ নয়, ফের
আসবে নতুন কোনও ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

লোকসভার ভোটের দেরি থাকলেও মোদি-বিরোধী সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে সেই লড়াইয়ের মুখ মমতা। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটি তাঁকে চাপে ফেলতে মরিয়া। অস্ত্র একটাই, বিতর্ক তৈরি। তারজন্য শিষ্টাচার, প্রোটোকল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, সিবিআই- যা হোক একটা পেলেই হল। বিশদ

05th  June, 2021
কেন আজ ধ্বংসের
মুখোমুখি দীঘা উপকূল
মৃন্ময় চন্দ

দীঘার পূর্ব পরিচিতি ছিল ‘বীরকুল’ নামে। ১৭৮০ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ওয়ারেন হেস্টিংস তাঁর স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুবের ‘ব্রাইটন’ বলে দীঘাকে উল্লেখ করেছিলেন। ব্রিটিশ পর্যটক ‘জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ’ ১৯২৩ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে মেলে ধরলেন তার ভুবনমোহিনী ঐশ্বর্যকে। বিশদ

05th  June, 2021
আজ এই পরিস্থিতিতে কে হওয়া উচিত প্রতিপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমাদের কেউ চাকরি খোঁজে। কেউ ছেলেমেয়ের বিবাহের সম্বন্ধ খোঁজে। কেউ খোঁজে ভালো জমি। বহু মানুষ খোঁজে পুরনো রোগ সারানোর ভালো ডাক্তার।
বিশদ

04th  June, 2021
একনজরে
দু’মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলে দেওয়াই বিজেপি’র একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি ছিল। সময়ের ফেরে সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন নেতাদের পোস্ট করাই কার্যত ‘ব্যান’ করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ...

কোচবিহার পুরসভায় দু’শোরও বেশি ‘ভূতুড়ে’ শ্রমিক! বাস্তবে যাদের কোনও হদিশ মিলছে না। অথচ বেশ কয়েকমাস ধরে প্রতিমাসে ১৪ লক্ষ টাকা করে তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। ...

নন্দীগ্রামের গঙ্গামেলার মাঠে হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধার হল সোমবার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালি ও ১০কিলোমিটার দূরে জেলিংহাম এলাকায় ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM