Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কেন আজ ধ্বংসের
মুখোমুখি দীঘা উপকূল
মৃন্ময় চন্দ

দীঘার পূর্ব পরিচিতি ছিল ‘বীরকুল’ নামে। ১৭৮০ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ওয়ারেন হেস্টিংস তাঁর স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুবের ‘ব্রাইটন’ বলে দীঘাকে উল্লেখ করেছিলেন। ব্রিটিশ পর্যটক ‘জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ’ ১৯২৩ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে মেলে ধরলেন তার ভুবনমোহিনী ঐশ্বর্যকে। যশের দাপটে খণ্ডহর দীঘার সে গরিমা অস্তাচলগামী। পর্যটকদের সীমাহীন অজ্ঞতা-উচ্ছৃঙ্খলতা-স্বেচ্ছাচারে সৈকত সুন্দরীর প্রাণবায়ু নিঃশেষিত। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার সমুদ্রের প্রলয়ঙ্কর আগ্রাসনকে হাস্যকর অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাঁচিল তুলে বেড়ি পরানোর চেষ্টা করেছিল। ক্রন্দসী, শিকল পরা দীঘা আজ মুমূর্ষু। ইট-কাঠ-বালি-কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপে সর্বহারা।  
২০১৩’র ২৫ ডিসেম্বর, নিউ দীঘার ‘অমরাবতী পার্কে’ একদিনে হাজির হয়েছিলেন ৪৮ হাজার পর্যটক। পর্যটন দপ্তরের ২০১০ সালের হিসেবে বলছে, সে বছরে ২৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৭ জন পর্যটকের পা পড়েছিল দীঘাতে। উত্তরোত্তর সে সংখ্যা বেড়েছে। বন ও পরিবেশ দপ্তরের নথিতে স্পষ্ট—পুরনো ও নতুন দীঘার বহু হোটেল, পার্ক, হাসপাতাল, বাণিজ্য কেন্দ্র ‘কোস্টাল রেগুলেশন জোন’ বা CRZ-II ও CRZ-III-র বিধিনিষেধকে  উপেক্ষা করেই নির্মিত। উপকূলীয় আইনকে কাঁচকলা দেখিয়ে চলেছে যাবতীয় বেআইনি নির্মাণ। সমুদ্র সৈকতেই বালিখাদান। বালুকাবেলায় নিত্যনৈমিত্তিক গজিয়ে উঠেছে হোটেল। 
১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন, সমুদ্রে মাছেদের ডিমছাড়ার সময়; যন্ত্রচালিত ট্রলারে মাছধরা নিষিদ্ধ। দাদনপাত্রবারের মাছমারা নিমাইদারা সেইসময় সমুদ্র যান না। মে-জুনের যে কোনও সময়, দাদনপাত্রবারের সমুদ্রসৈকতে দেখা মিলবে অজস্র ছোট ছোট ডিঙি নৌকার। মাছ ধরে ফিরে আসছেন খেপ খাটা হত-দরিদ্র কিছু জেলে। মে-জুনের সেই বিশেষ সময়টাতে মাছের সঙ্গে তাদের জালে উঠে আসে মিষ্টির দোকানের গাঢ় বাদামি রঙের ‘খেজুরের’ মত দেখতে অসংখ্য ‘সমুদ্র-শসা’ বা সি কিউকাম্বার (Acaudina molpadioides)। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ২০০১’র ১১ জুলাই থেকে সমুদ্র-শসা বিরল বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে ‘তফসিল ১’-এ সংরক্ষিত। ‘সমুদ্র-শসা’র বিলুপ্তি গোটা সামুদ্রিক পরিবেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক। পেটে জল ভর্তি ছোট সামুদ্রিক প্রাণী ‘সমুদ্র-শসা’কে, জেলেরা জাল ঝেড়ে, সমুদ্রের ধারে উচ্ছিষ্ট হিসাবে ফেলে যায়, বালির চরে নড়তে না পেরে বেঘোরে মারা পড়ে বেচারারা। জলভরা বেলুনের মত ফট ফট করে ‘সমুদ্র-শসা’কে পা দিয়ে টিপে মারাতেই মর্ষকামী পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ। পর্যটকরা জানেনই না ‘সমুদ্র-শসা’ একটি সংরক্ষিত প্রাণী, তাকে মারার শাস্তি তিন বছরের জেল বা পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা। 
জেলেদের জালে প্রতি বছর ওই সময়েই ধরা পড়ে বিরাট বিরাট ‘হর্স-শু-ক্র্যাব’ বা অশ্বখুর কাঁকড়া। শক্ত বাদামি খোলায় মোড়া, বিকট-দর্শন অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়ার মুখের সামনে অ্যান্টেনার মত লম্বা কাঁটা থাকে। জলে সাঁতারের সময় কাঁটাটি নৌকার হালের কাজ করে। ‘হর্স-শু-ক্র্যাবের’ বিরল তাম্র-ঘটিত নীলরক্ত, ‘হিমোসায়ানিন’, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। প্রাণদায়ী। দুর্মূল্যও। ‘ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোটক্সিন’ পাকড়াতে এদের রক্ত (লিমুলাস অ্যামিবোসাইট লাইসেট) ছাড়া গতি নেই। জালে ওঠার পর তাদের পরিণতিও অকাল মৃত্যু। গরমের দিনে উল্টে গেলে খুব তাড়াতাড়ি এদের ফুলকা শুকিয়ে গিয়ে অপমৃত্যু ঘটে। প্রাণীটিকে সোজা করেই দিলেই ঢেউয়ের দোলায় আবার সমুদ্রে ভেসে যেতে পারে! অফুরান সামুদ্রিক সম্পদের কি নিদারুণ মর্মন্তুদ অপচয়! এভাবেই পর্যটকদের বিপুল পদভারে অবলুপ্ত সিসিন্ডিলা, সাইলোমাস ও ডিপলোসিলা প্রজাতির ২৫টি কীটপতঙ্গও। 
শুধু প্রাণীকুল নয়, বালিয়াড়ি থেকে চিরবিদায়ের পথে ইন্ডিগোফেরা, আইপোমিয়া, লিপ্পিয়া, ইভোভিউলাস, গ্লাইকসমিস, ক্যাসুয়ারিনাস, আলবিজিয়া, অ্যানাকারডিয়াম বা অ্যালোফাইলাসের মত গাছেরাও। সমুদ্রের ধারেকাছে আইপোমিয়া বা শক্ত কাষ্ঠল ঘন কেয়া গাছের ঝোপ কিছুদিন আগেও দেখা যেত। সমুদ্রের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলা বিশাল সুরম্য হোটেল নির্বংশ করেছে কেয়া গাছের বংশ। যশের মত ঘূর্ণিঝড়ের রাক্ষুসে প্রমত্ততার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারত কেয়া গাছের ঝোপ। 
বহুবর্ষজীবী ঘাস ‘স্পিনিফেক্স’ বালিয়াড়ি থেকে পর্যটকদের পদচারণায় লুপ্ত। সৈকত থেকে মাত্র ২৫০ মিটার দূরে দীঘায় হোটেল, সৈকতের উপরেই বাঁশের দোতলা হর্ম্যে চলছে সুরাপান। বালিয়াড়ি সমতল করে তৈরি হচ্ছে হোটেল, কড়ি ফেললে ঘর থেকেই মিলবে উচ্ছ্বল সমুদ্রের বিলোল কটাক্ষ। হোটেল ও ভ্রমণার্থীদের প্লাস্টিক/মদের বোতলের বর্জ্যে সমুদ্র ‘কলুষিত ড্রেন’। সমুদ্রসৈকত গা-ঘিনঘিনে ডাস্টবিন।
হ্যালোসিন থেকে প্লেস্টোসিন যুগের মধ্যবর্তী সময়ে দীঘার জন্ম ও যৌবনপ্রাপ্তি। সমুদ্রতীরে বালি-কাদা-পলির গঠনে মেলে ফ্লুভিয়াটাইল ও ইয়োলিয়ান অধঃক্ষেপণ। দীঘা উপকুলের সৈকতে সূক্ষ্ম বালিকনার ভাগ ৬৭ শতাংশ, পলি ১৬.৪ শতাংশ, আর কাদা ৭.৬ শতাংশ। দীঘার ‘অলঙ্কারপুর’ অঞ্চলেই কেবল পলির ভাগ ৭৩ শতাংশ। বালিয়াড়ি ভাঙছে, ডাঙার দিকে প্রতি বছর বিপজ্জনক হারে ৬-১২ মিটার অগ্রসর হচ্ছে। ছোটো ঘাস ‘স্পিনিফেক্স’ এই আগ্রাসী অগ্রগমন রুখতে পারত। কিন্তু তা আর নেই। অদূর ভবিষ্যতে দীঘা-শঙ্করপুর-তাজপুরের বালির নীচে সমাধিস্থ হওয়াই নিয়তি।  
দীঘা-শঙ্করপুর উপকূল মেসোটাইডাল। ঢেউয়ের সর্বাধিক উচ্চতা ২-৩ মিটার। আগস্ট মাসে ঢেউয়ের উচ্চতা ও প্রাবল্য দুইই বাড়ে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচদপ্তর ‘ইন্টিগ্রেটেড কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করেছিল। সমুদ্রের জলতলের উচ্চতার ভীতিপ্রদ হারে বাড়ার ঘটনা সেই প্ল্যানে যথেষ্ট গুরুত্ব-সহকারে উল্লিখিত। সে প্ল্যান বেপাত্তা। সমুদ্রের জলতলের বার্ষিক উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৩ মিমি। সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বাড়ছে বছরে ০.০১৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হারে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃষ্টিপাত। ২০৫০ সালে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বেড়ে হতেই পারে ৫০ সেমি।  
ভারতে গত ১২০ বছরে ‘সাইক্লোনিক অ্যাক্টিভিটি’ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ। বারেবারে সিডার-নার্গিস-বিজলি-আউলা-হুদহুদ-লায়লা-উম-পুন-যশের মতো বঙ্গোপসাগর জাত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত (১৯৭৮ থেকে ২০১৩)। ২০১৮-তেই প্রবল থেকে অতিপ্রবল ৭টা ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত দেশ। একটা যশের লেজের ঝাপটেই মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে যেতে পারে দীঘা উপকূল। 
সমুদ্রের ভাঙনহারও অকল্পনীয় দীঘায়। ডাঙার দিকে এগিয়ে আসছে সমুদ্র। হারিয়ে যাচ্ছে সৈকতের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা। পাল্টে যাচ্ছে ঢেউ ভাঙার রসায়ন। প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা দীঘার সৈকতে নিত্যনৈমিত্তিক। দীঘা উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩ কিমি বিস্তৃত ন’টা মৌজা থেকে লোকজন ভয়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেছেন। দীঘার হোটেল/রিসর্টের সুরক্ষায় সরকারি তরফে ৪ কিমি ব্যাপী সমুদ্রের পাড় বাঁধানো হল। চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক সমুদ্র-প্রাকার নির্মাণের পর দেখা গেল, বালিয়াড়ির বিস্তার আরও প্রলম্বিত—বছরে ১৬-১৮ মিটার। ১৯৮০-তেও বালিয়াড়ি ১১ মিটারের বেশি ডাঙার দিকে পা বাড়ায়নি। 
বোল্ডার ফেলে বৃথা চেষ্টা হচ্ছে সমুদ্রের ঢেউ নিয়ন্ত্রণের। প্রচুর ছিদ্রযুক্ত ল্যাটেরাইটস, চার্নকাইটস বা অ্যাম্ফিবোলাইটস বোল্ডারের ক্ষমতা নেই ঢেউয়ের উন্মত্ততায় লাগাম পরানোর। বোল্ডারে ধাক্কা খাওয়ার পর ভীমপ্রলয়ী ঢেউ অন্তর্মুখী স্রোতে টুকরো করে ভেঙে ফেলছে বোল্ডারকে। সেই বোল্ডার সৈকত থেকে গড়াতে গড়াতে পাড়ি জমাচ্ছে সমুদ্রে। ভাঙা বোল্ডারের তলায় চাপা পড়ে বিলুপ্ত হতে বসেছে সৈকতের দ্বাররক্ষী সামুদ্রিক গেঁড়ি, গুগলি বা ঝিনুক জাতীয় প্রাণীরা। বেলাভূমিতে প্রমোদভ্রমণে পুলিসের চোখের সামনেই দিবারাত্রি চলছে বাইক বা চারচাকা, মোটরচালিত বিশাল নৌকাকে ডাঙা থেকে অহর্নিশ সমুদ্রে টেনে নিয়ে ফেলছে বিপুলকায় ট্রাক্টর। সৈকতের ভাঙন যেমন তাতে বাড়ছে, তেমনই ট্রাক্টর পিষ্ট লাল কাঁকড়া গুনছে অবলুপ্তির প্রহর।  
বালিয়াড়ির ধারেই বিশাল গর্ত খুঁড়ে বসানো হচ্ছে গভীর নলকূপ, সমুদ্রের নোনা জলকে নির্বোধের মত ঘরের উঠোনে ডেকে আনা হচ্ছে। একফসলা কৃষিজমি বালিয়াড়ির তলায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে, তারপর পানীয় জল লবণাক্ত হতে থাকলে সোনায় সোহাগা। অচিরেই পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হবে মনুষ্য প্রজাতি। বালিয়াড়ি ধ্বংস করে, উপকূল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে হোটেল নির্মাণ, ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক আবাহন, সমুদ্রের জীবকুল সম্পর্কে পর্যটকদের সীমাহীন অজ্ঞতা-উদাসীনতা, নির্বিচারে বৃক্ষ-নিধন কেবলমাত্র সমুদ্রকেই আগ্রাসী করে তুলছে না, বাড়াচ্ছে সাইক্লোনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। প্রকৃতি যে কোনও সময় টোকা মেরে দীঘাকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে পারে। বেওকুফ মানুষ কোন জাহান্নামে তখন ফুর্তির রসদ খুঁজবে?  
 ছবি: লেখক
 লেখক প্রখ্যাত এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের জাতীয় সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রের তরফে দীঘা উপকূলীয় অঞ্চলে করা গবেষণা প্রকল্পটিতে নিযুক্ত ছিলেন
05th  June, 2021
মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণা: আত্মনির্ভরতার নতুন থিম সং
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেপ্টেম্বর ১, সাল ২০১৩। দিল্লিতে বিজেপির বাইক র‌্যালি। প্রতিবাদ চলছে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে... ঠুঁটো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেই বাইক মিছিল সেদিন রওনা দিয়েছিল দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাসভবনের উদ্দেশে।
বিশদ

দায়িত্ব নিন, আলোচনা
করুন, প্ল্যান বানান
পি চিদম্বরম

টিকাকরণ নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা হল, তা ইতিহাসে লেখা থাকবে। ৭ জুন, টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’টো ভুল শুধরে নিয়েছেন। আমি মনে করি, এটাই তাঁর ভুল স্বীকার করে নেওয়ার কায়দা।
বিশদ

14th  June, 2021
মমতার নির্দেশে
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
হিমাংশু সিংহ

এতদিন বাংলার রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক কথাটা শুধু জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সমার্থক ছিল ষোলোআনা। কিন্তু এখন তার আর এক দাবিদার উপস্থিত। পুত্রসম অভিষেক।
বিশদ

13th  June, 2021
সেলিব্রেটি থেকে সংগঠক,
রাজনীতির নতুন ধারা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই বলে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন, তৃণমূল ততদিন। তারপর পার্টিটাই আর থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবও দিয়েছেন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আমি চলে গেলে দলটা উঠে যাবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি।’ এতদিন তিনি যে কথা মুখে বলতেন, এবার সেটা করে দেখাচ্ছেন।
বিশদ

12th  June, 2021
পুরুষ আধিপত্যের ভিড়ে
সফল শাসক দুই বাঙালি নারী
সমৃদ্ধ দত্ত

রাজনীতির হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে নিছকই জাতিগত আকাঙক্ষার তাগিদে ২০২৪ সালের দিকে আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লক্ষ করব এই জাতিটির জার্নিতে সত্যিই কি একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? একদা একসঙ্গে থাকা দু’টি পাশাপাশি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই কি বাঙালি নারী হবেন? বিশদ

11th  June, 2021
অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিশদ

10th  June, 2021
দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। বিশদ

09th  June, 2021
হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে।
বিশদ

08th  June, 2021
হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
বিশদ

07th  June, 2021
এক আমলা যখন বাঙালির
আত্মমর্যাদার প্রতীক!
হিমাংশু সিংহ

মুখ্যসচিব হিসেবে তিনি কার নির্দেশ মানতে বাধ্য? আলাপনবাবুর দোষটা কোথায়? তিনি তো কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। আসলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের এই সীমাহীন টানাপোড়েনের মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন মুখ্যসচিবের করণীয় কী, সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। বিশদ

06th  June, 2021
আলাপনেই শেষ নয়, ফের
আসবে নতুন কোনও ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

লোকসভার ভোটের দেরি থাকলেও মোদি-বিরোধী সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে সেই লড়াইয়ের মুখ মমতা। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটি তাঁকে চাপে ফেলতে মরিয়া। অস্ত্র একটাই, বিতর্ক তৈরি। তারজন্য শিষ্টাচার, প্রোটোকল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, সিবিআই- যা হোক একটা পেলেই হল। বিশদ

05th  June, 2021
আজ এই পরিস্থিতিতে কে হওয়া উচিত প্রতিপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমাদের কেউ চাকরি খোঁজে। কেউ ছেলেমেয়ের বিবাহের সম্বন্ধ খোঁজে। কেউ খোঁজে ভালো জমি। বহু মানুষ খোঁজে পুরনো রোগ সারানোর ভালো ডাক্তার।
বিশদ

04th  June, 2021
একনজরে
মসজিদে নামাজ পরতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। কেটে দেওয়া হল দাড়ি। প্রহৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল সামাদ। প্রথমে তাঁকে অটো থেকে নামিয়ে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত একটি কুঁড়ে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ...

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম নাসির মেহমুদ। ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

নন্দীগ্রামের গঙ্গামেলার মাঠে হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধার হল সোমবার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালি ও ১০কিলোমিটার দূরে জেলিংহাম এলাকায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM