Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

কয়লা কতক্ষণ পুড়লে ছাই হয়, কিংবা মুখ কতবার পুড়লে ঝামা হয়? বারবার হাইকোর্ট আর সুপ্রিম কোর্টের কাছে নানা বিষয়ে তিরস্কৃত কেন্দ্রীয় সরকারের অধোবদন দেখে সেই কথাই মনে হতে পারে। অক্সিজেন নিয়ে, করোনার টিকা নিয়ে, সিবিআইয়ের অর্থহীন তৎপরতা নিয়ে, সাংবাদিকের কলমের স্বাধীনতা নিয়ে বারবার মোদি সরকারকে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কেন্দ্রের ব্যর্থতা মানুষকে যখনই অসহায় করে তুলছে, তখনই আদালতকে অভিভাবকের ভূমিকা গ্রহণ করতে হচ্ছে? কেন দেশের শাসককে বলে দিতে হয়, আপনি ঠিক পথে নেই। অবশ্য গত সাত বছরে বোঝা গিয়েছে, সরকারের এই নির্বুদ্ধিতার পিছনে দুষ্টু বুদ্ধি আছে, এই প্রতিহিংসার পিছনে স্বার্থ চরিতার্থতার বিষাক্ত মন আছে। স্বার্থান্ধ শাসক কখনও সর্বজনীন কল্যাণ করতে শেখে না। তাই আদালতকে এগিয়ে এসে সেটা শেখাতে হচ্ছে। তাতে যদি কিছুটা জ্ঞানোদয় হয়! আদালতের খোঁচা খেয়ে টিকাদানে দরাজ হয়ে এখন আবার তিনি মহান ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাইছেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, দেশের শীর্ষ আদালতই মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আসলে দেশের জন্য মোদির কাজ করার সময় কোথায়? সাড়ে বত্রিশ ভাজা কাজ নিয়েই তিনি ব্যস্ত। যেমন, কীভাবে মমতা, কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেনদের টাইট দেওয়া যায়, কীভাবে যোগী আদিত্যনাথকে ভাগানো যায়, এসব কূটকৌশলেই ব্যস্ত সরকারের দুই মাথা। 
হ্যাঁ, এটাই এই মুহূর্তে মোদির সামনে সবথেকে বড় সত্য। বাংলার ভোটে পরাজয়ের টিকা কপালে লাগিয়ে বিজেপি এখন থেকেই নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে। কিন্তু সেখানেও সিঁদুরে মেঘ, শিরে সংক্রান্তি। পথের কাঁটা সেখানে কিন্তু বিরোধীরা নয়। সেখানে মোদির পথের কাঁটা যোগী আদিত্যনাথ। গত চারমাস দু’জনে মুখোমুখি হননি। যোগীকে ডেকে পাঠালেও তিনি মোদিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। চলছে দু’পক্ষের নার্ভের লড়াই।
লড়াইটা অবশ্য অনেক আগেই শুরু হয়েছে। যেদিন থেকে আরএসএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোদির পরবর্তী প্রজন্ম যোগী, সেদিন থেকে দ্বন্দ্ব শুরু। তারপর থেকেই ঘুঁটি সাজিয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহ মিলে। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশে গত বছর রাজ্যপাল করে পাঠানো হয় মোদির নিজের লোক গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশি বছরের আনন্দীবেন প্যাটেলকে। সেই একই লক্ষ্যে এ বছরের জানুয়ারি মাসে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অরবিন্দ শর্মাকে অবসর করিয়ে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পার্টিতে যোগদান করানো হয়। পিছন থেকে মোদির এই অঙ্গুলিহেলনের কারণ সম্পর্কে ভালোই জানতেন যোগী। তিনি জানতেন ২০২২ সালের নির্বাচনে অরবিন্দ শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্যই এই উদ্যোগ। কিন্তু এরপরে উত্তরপ্রদেশে রাজনীতির চাকা আরও ঘুরে যায়।   
উত্তরপ্রদেশে এখন ভোটের আগেই যোগীকে সরানোর সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা করে ফেলেছেন ত্রিমূর্তি, মোদি-শাহ-নাড্ডা। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফেরার কোনও চান্স নেই। তাই যোগীকে সরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। যোগীকে সরিয়ে তাঁর গত চার বছরের ব্যর্থতা কোনওভাবে ঢাকা না গেলে উত্তরপ্রদেশেও লজ্জার হার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মোদি জিতেছিলেন নিজের ক্যারিশমায়। এবারও তিনি নিজের মুখ দেখিয়ে জিততে চাইছেন। কিন্তু মোদি বুঝতে চাইছেন না, ২০১৭ সালে তাঁর যে মুখ ছিল, আজ আর তা নেই। তাঁর নিজের ক্যারিশমাই এখন নিভন্ত প্রদীপের মতো।  
এরমধ্যে মোদি দলের ন্যাশনাল সেক্রেটারি বি এল সন্তোষকে পাঠিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। উদ্দেশ্য যোগীকে সরানোর জমি প্রস্তত করা। মোদি-অমিতের টিপস পেয়ে সন্তোষ রাজ্যের মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে একটি ছক কষেছেন, যাতে তাঁরা যোগীর বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করে অভ্যুত্থান করেন। সেটা কতটা সফল হবে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে সন্তোষ দিল্লি ফিরে মোদিকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, যোগীর নেতৃত্বে নির্বাচন হলে বিজেপি একশো আসনও পাবে না।
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে মোদির এই আগ্রহের কারণ আছে। প্রধানমন্ত্রী জানেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির  জয়ের স্বপ্ন যদি গঙ্গায় লাশের মতো ভেসে চলে যায়, তবে ২০২৪-এ দেশের নির্বাচনে তাঁর নিজেরই ভাণ্ডাফোঁড় হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে যে কোনও প্রকারে উত্তরপ্রদেশের দুর্গ বাঁচাতে মরিয়া মোদি। তিনি জানেন, উত্তরপ্রদেশে হারলে তাঁর দেশসেবার এই চাকরি কেউ বাঁচাতে পারবেন না। পশ্চিমবঙ্গের মতোই বিজেপির অবস্থা হবে সারা দেশে। এ রাজ্যে বিজেপির এখন না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থা। রাজ্যে বিজেপির পার্টি অফিসগুলোতে রাখা শ্রীরামচন্দ্রের ছবিতে ধূপধুনো দেখানোরও লোক নেই। জেলায় জেলায় পার্টি অফিসের তালা খুলতে গিয়ে কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁরা এখন সরাসরি তাঁর দিকে আঙুল তুলে বলছেন, ভোটের আগে আপনি যেভাবে উস্কানিমূলক হিংসার কথা বলেছেন, তার ফলভোগ আমাদের করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ক্রিয়ারই তো সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। এর মধ্যে আবার আর এক ধিক্কৃত গেরুয়া নেতা বাঙালির পিঠে ছুরি মারার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন রাজ্যে কাজকর্মে জড়িয়ে থাকা ‘বাঙালিরা সেই সব রাজ্যে চাকরি করতে পারবেন তো’ বলে প্রকারান্তরে তাঁদের উপর আক্রমণে অন্য প্রদেশের বাসিন্দাদের উস্কানি দিচ্ছেন। হায় রে কালিদাস! উক্ত ভাষ্যের আলোকে তাঁর স্বরূপ আর একবার ভালো করে চিনে নিক প্রতিটি বাঙালি।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মোদি সাম্রাজ্যের এই ভেঙে পড়ার গল্পের পাশাপাশি রয়েছে আর এক গড়ে ওঠার গল্প। নদীর যেমন একদিক ভাঙে, অন্যদিক গড়ে ওঠে। তেমনই মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। কী আশ্চর্য! ইতিহাস এবং পুরাণের মতো এখানেও তৈরি হয়েছে দাম্ভিক, আপন অহঙ্কারে মত্ত, প্রতিহিংসাপরায়ণ এক শক্তির বিরুদ্ধে এক নারীর জেগে ওঠার গল্প। এভাবেই বোধহয় পুরাণ, ইতিহাস যুগে যুগে সত্য হয়ে ওঠে। শক্তির দম্ভকে ভেঙে চুরমার করে বারবার জয়ী হয় নারীশক্তি। আগামী দিনগুলিতে মমতা সারা দেশের বিরোধী শক্তিগুলির থেকে তিল তিল করে আয়ুধ সংগ্রহ করে পাল্টা আঘাত ফিরিয়ে দিতে অগ্রসর হবেন। তবে ছেড়ে দেবে না বিজেপিও। তাদের কিছু না থাক, টাকার গরম আছে। ছোট ছোট আঞ্চলিক বিরোধী শক্তিকে কিনে নিতে ঢেলে দেবে টাকা। ভয় দেখাবে সিবিআই, ইডির। পাশাপাশি যে কোনও জনমুখী প্রকল্পকে কেন্দ্র আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। যেভাবে দিল্লিতে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি আটকে দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই চেষ্টা করা হবে। চেষ্টা করা হবে বাংলার প্রকল্প আটকানোর কিংবা নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে রাজ্যের উপনির্বাচন আটকে মমতাকে বিপাকে ফেলার। এত কৌশল নিয়ে যিনি মাথা ঘামান, তিনি দেশের কাজ করার সময় পাবেন কখন? 
মমতাকে অপদস্ত করার সেই কৌশলের অংশীদার ধনকারবাবুও। মোদির সুপারি নিয়ে এরাজ্যে এসেছেন তিনি। সেইমতো কাজ করছেন। মোদির হাতে রাজ্য তুলে দিয়ে বড় পুরস্কারের আশা করেছিলেন। সেটা সফল হয়নি। তাই নিজের উদ্দেশ্য সফল করতে আরও বেশি তৎপর হয়েছেন। কেননা মোদিকে তুষ্ট করতে পারলে সফল হতে পারে তাঁর স্বপ্ন? ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্নে তিনি এখন মশগুল। কেননা হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামী বছরেই শেষ হচ্ছে উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ। 
পরিস্থিতির বিপাকে মোদিজি বারবার নিজের অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করে ফেলছেন। কোনও সমালোচনাই তিনি সহ্য করতে পারছেন না। ভারতের মতো একটি বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশে তিনি সকলের মুখই চাপা দিতে চান। সব বিরোধী নেতাকে বশ্যতা স্বীকার করাতে চান। দেশের মানুষ অন্য সুরে কথা বললেই তাঁরা হয়ে ওঠেন দেশদ্রোহী। সাংবাদিকদের কলমে বেড়ি পড়ানোর জঘন্য ফন্দিও আমরা দেখেছি। জুডিসিয়ারি ব্যবস্থাকে অনেকদিন ধরেই নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে চাইছেন তিনি। কিন্তু জাগ্রত বিবেকের মতো এখনও আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে বলেই আমরা গণতন্ত্রের স্বাদটুকু থেকে বঞ্চিত হইনি। আদালত দেশের শীর্ষ শাসককে মনে করিয়ে দিয়েছে সাংবাদিকদের স্বাধীনতার কথা। আসলে মোদি নিজেই হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন ভারতের প্রতীক। তাই মোদির বিরুদ্ধে কথা বলাটাকেই দেশবিরোধী বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখি, যেদিন থেকে প্রাক্তন এক প্রধানমন্ত্রী ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন, সেদিন থেকেই তাঁর পতনের সূচনা। মোদিজিও সেই একই পথের পথিক হয়ে উঠেছেন। পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু।
09th  June, 2021
মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণা: আত্মনির্ভরতার নতুন থিম সং
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেপ্টেম্বর ১, সাল ২০১৩। দিল্লিতে বিজেপির বাইক র‌্যালি। প্রতিবাদ চলছে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে... ঠুঁটো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেই বাইক মিছিল সেদিন রওনা দিয়েছিল দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাসভবনের উদ্দেশে।
বিশদ

দায়িত্ব নিন, আলোচনা
করুন, প্ল্যান বানান
পি চিদম্বরম

টিকাকরণ নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা হল, তা ইতিহাসে লেখা থাকবে। ৭ জুন, টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’টো ভুল শুধরে নিয়েছেন। আমি মনে করি, এটাই তাঁর ভুল স্বীকার করে নেওয়ার কায়দা।
বিশদ

14th  June, 2021
মমতার নির্দেশে
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
হিমাংশু সিংহ

এতদিন বাংলার রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক কথাটা শুধু জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সমার্থক ছিল ষোলোআনা। কিন্তু এখন তার আর এক দাবিদার উপস্থিত। পুত্রসম অভিষেক।
বিশদ

13th  June, 2021
সেলিব্রেটি থেকে সংগঠক,
রাজনীতির নতুন ধারা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই বলে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন, তৃণমূল ততদিন। তারপর পার্টিটাই আর থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবও দিয়েছেন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আমি চলে গেলে দলটা উঠে যাবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি।’ এতদিন তিনি যে কথা মুখে বলতেন, এবার সেটা করে দেখাচ্ছেন।
বিশদ

12th  June, 2021
পুরুষ আধিপত্যের ভিড়ে
সফল শাসক দুই বাঙালি নারী
সমৃদ্ধ দত্ত

রাজনীতির হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে নিছকই জাতিগত আকাঙক্ষার তাগিদে ২০২৪ সালের দিকে আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লক্ষ করব এই জাতিটির জার্নিতে সত্যিই কি একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? একদা একসঙ্গে থাকা দু’টি পাশাপাশি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই কি বাঙালি নারী হবেন? বিশদ

11th  June, 2021
অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিশদ

10th  June, 2021
হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে।
বিশদ

08th  June, 2021
হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
বিশদ

07th  June, 2021
এক আমলা যখন বাঙালির
আত্মমর্যাদার প্রতীক!
হিমাংশু সিংহ

মুখ্যসচিব হিসেবে তিনি কার নির্দেশ মানতে বাধ্য? আলাপনবাবুর দোষটা কোথায়? তিনি তো কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। আসলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের এই সীমাহীন টানাপোড়েনের মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন মুখ্যসচিবের করণীয় কী, সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। বিশদ

06th  June, 2021
আলাপনেই শেষ নয়, ফের
আসবে নতুন কোনও ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

লোকসভার ভোটের দেরি থাকলেও মোদি-বিরোধী সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে সেই লড়াইয়ের মুখ মমতা। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটি তাঁকে চাপে ফেলতে মরিয়া। অস্ত্র একটাই, বিতর্ক তৈরি। তারজন্য শিষ্টাচার, প্রোটোকল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, সিবিআই- যা হোক একটা পেলেই হল। বিশদ

05th  June, 2021
কেন আজ ধ্বংসের
মুখোমুখি দীঘা উপকূল
মৃন্ময় চন্দ

দীঘার পূর্ব পরিচিতি ছিল ‘বীরকুল’ নামে। ১৭৮০ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ওয়ারেন হেস্টিংস তাঁর স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুবের ‘ব্রাইটন’ বলে দীঘাকে উল্লেখ করেছিলেন। ব্রিটিশ পর্যটক ‘জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ’ ১৯২৩ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে মেলে ধরলেন তার ভুবনমোহিনী ঐশ্বর্যকে। বিশদ

05th  June, 2021
আজ এই পরিস্থিতিতে কে হওয়া উচিত প্রতিপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমাদের কেউ চাকরি খোঁজে। কেউ ছেলেমেয়ের বিবাহের সম্বন্ধ খোঁজে। কেউ খোঁজে ভালো জমি। বহু মানুষ খোঁজে পুরনো রোগ সারানোর ভালো ডাক্তার।
বিশদ

04th  June, 2021
একনজরে
মসজিদে নামাজ পরতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। কেটে দেওয়া হল দাড়ি। প্রহৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল সামাদ। প্রথমে তাঁকে অটো থেকে নামিয়ে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত একটি কুঁড়ে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ...

দু’মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলে দেওয়াই বিজেপি’র একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি ছিল। সময়ের ফেরে সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন নেতাদের পোস্ট করাই কার্যত ‘ব্যান’ করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

নন্দীগ্রামের গঙ্গামেলার মাঠে হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধার হল সোমবার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালি ও ১০কিলোমিটার দূরে জেলিংহাম এলাকায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM