Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাধু সাবধান, ভাবিয়া করিও কাজ
তন্ময় মল্লিক

‘বদল হবে, বদলাও হবে’। নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসুদের এটাই ছিল জনপ্রিয়তম স্লোগান। ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকির পাশাপাশি চোখা চোখা ডায়ালগের ফুলঝুরি ফুটত। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডলও। ‘ডাটিয়ে পগার পার করে দেব’ বলার পর অনুব্রতবাবু ‘খেলা হবে’তেই আটকে ছিলেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের হুমকির তুফান ছুটছিল। ‘দিকে দিকে শীতলকুচি হবে’, ‘চারজনকে নয়, আটজনকে মারা দরকার ছিল’, ‘রগড়ে দেব’, আরও কত কী! বিজেপিতে তখন আদি আর দলবদলুদের মধ্যে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা। সেসব কথাই এখন ব্যুমেরাং হচ্ছে। নেতাদের বোঝা উচিত ছিল, মুখের কথা আর হাতের ঢিল একবার বেরিয়ে গেলে আর ফেরানো যায় না।
মারামারি, খুনোখুনি কোনও সুস্থ মানুষ সমর্থন করতে পারেন না। এই ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকে, তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। একথা মেনে নিয়েও বলছি, নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষের জন্য বিজেপি নেতারাই বহুলাংশে দায়ী। এখন অনেকেই মিন মিন করে ‘শান্তি চাই, শান্তি চাই’ বলছেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় বড় ডায়ালগ ঝাড়ার আগে কর্মী সমর্থকদের সুরক্ষার কথাও নেতাদের ভাবা উচিত ছিল। 
প্রতিটি ঘটনার পিছনেই কারণ থাকে। এবারে নির্বাচনের শুরু থেকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে, এই অশান্তি সৃষ্টির দায় কাদের।
একটা কথা মানতেই হবে, রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সর্বদা শাসক দলের উপরেই বর্তায়। হিংসা নিয়ন্ত্রণে শাসক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। রাজ্যের মানুষ উন্নয়ন ও শান্তির স্বার্থেই তাদের বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন। সেকথা মাথায় রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রিত্বের চেয়ারে বসেই করোনা মোকাবিলা ও রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। 
এবার দেখা যাক, রাজ্যের পরিস্থিতি এমন হল কেন?
২০১১ সালে ৩৪ বছরের সিপিএম জমানার অবসান ঘটেছিল। বাম আমলে এরাজ্যে কংগ্রেস এবং পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উপর কম অত্যাচার হয়নি। করন্দা, সূচপুর, কেশপুর, গড়বেতা, ছোট আঙারিয়া, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের মতো গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুকুরে ফলিডল মিশিয়ে মাছ মেরে দেওয়া, খেতমজুর বয়কট, জমি দখলের ঘটনায় জেরবার হয়ে গিয়েছিল বাংলার মানুষ। অনেকেই ভেবেছিলেন, ক্ষমতা বদল হলে রাজ্যে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। 
তার প্রথম কারণ ক্ষমতা দখলের অনেক আগে থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বদলা নয়, বদল চাই।’ জেতার পর তিনি দলীয় কর্মীদের বলেছিলেন, ‘পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজিয়ে বিজয় উৎসব পালন করুন।’ তাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষ শুধু নয়, বিরোধীরাও আশ্বস্ত হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় কারণ, সিপিএমের মাতব্বররা আগেই বুঝে গিয়েছিল, হাওয়া ভালো নয়। তাই বেশিরভাগই মস্তানি ছেড়ে সেঁটে গিয়েছিল। অনেকে তলায় তলায় তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতাও করে নিয়েছিল। 
ফলে সিপিএমকে নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
২০১৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সিপিএম ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখলেও তারা উস্কানির রাস্তায় যায়নি। ফলে তৃণমূল দ্বিতীয়বার জেতার পরেও রাজ্যে তেমন অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। ব্যক্তিগত ঝাল মেটানোর জন্য কোথাও কোথাও টুকটাক অশান্তি হলেও তা ব্যাপক আকার নেয়নি। 
সেদিক দিয়ে ২০২১ এর নির্বাচনী প্রেক্ষিত ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিজেপি বাংলা দখলের জন্য সব চেষ্টাই চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদার মানুষও দিনের পর দিন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে কটাক্ষ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে নির্লজ্জভাবে কাজে লাগানো হয়েছে। নারদ-সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের চাপ দিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদেরই উস্কে দিয়ে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বুকে যা কখনও হয়নি, এবার সেটাও হয়েছে। জাতপাত ও ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের মুখে দলবদলু অধিকাংশ নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়ায় ধরাকে সরা জ্ঞান করেছিলেন। মমতাকে ভাঙিয়ে চারচাকায় চড়া নেতারা চার্টার্ড প্লেনের সওয়ারি হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, হাতে চাঁদ পেয়েছেন। কিন্তু মাটিতে যে নামতে হবে, সেটা ভুলে গিয়েছিলেন। তাই বাংলার মানুষ হ্যাঁচকা টানে বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে তাঁদের আছড়ে ফেলেছেন। ঘোর কাটতে তাঁদের অনেকেই এখন গাইছেন, ‘আমায় একটু জায়গা দাও মায়ের মন্দিরে বসি।’
তবে দলবদলুদের মধ্যে এবার ‘জাত’ চিনিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। খোদ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বিজেপিতে আত্মপ্রকাশ। জাতশিল্পী বলে কথা! তাই নিজের জাত বোঝানোর জন্য যোগদান মঞ্চেই ঝেড়েছিলেন ফিল্মি ডায়ালগ, ‘আমি বালিবোড়া নই, জলঢোঁড়া নই, জাত গোখরো। এক ছোবলেই ছবি।’ ভাষা বুঝতে না পারলেও ‘মহাগুরু’র ডায়ালগে হাততালির ঝড় দেখে মোদিজি হয়তো ভেবেছিলেন, বাঙালির সেন্টিমেন্টকে কব্জা করার মতো একজন লোক এতদিনে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, ভোটের ফল বেরনোর পর তিনি টের পাচ্ছেন, ‘জাত গোখরো’র ফোঁস-ফোঁসানি দেখে বাংলার মানুষ ঘরে ঘরে কার্বোলিক অ্যাসিড রেখে দিয়েছিল।
অমিত শাহ এরাজ্যের প্রচারে এসে বার বার বলেছেন, ‘ইসবার দোশো পার।’ বাংলার মানুষ কথা শুনেছেন। আসন সংখ্যা ২০০ পেরিয়েছে। তবে সেটা বিজেপির নয়, তৃণমূলের। নরেন্দ্র মোদি থেকে দিলীপ ঘোষ প্রায় প্রতিটি সভায় বলতেন, ‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ’। এখানেও একটু উল্টো হয়েছে, একুশে সাফের বদলে উনিশেরও হাফ হয়ে গিয়েছে। লোকসভায় বিজেপি ১৮টিতে জিতেছিল। বিধানসভা ভোটের বিচারে মাত্র ন’টিতে এগিয়ে।  
এই অবস্থার মধ্যেও বিজেপির দিল্লির নেতৃত্ব নানাভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে। ফেক নিউজ তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের রাজ্যপালকে ফোন করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির প্রতিনিধিরা রাজ্যে চলে আসছেন। যাকে বলে হই হই কাণ্ড রৈ রৈ ব্যাপার। দেশকে বোঝাতে হবে, ‘বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে।’ ভুললে চলবে না, গোধরা কাণ্ডের সময় এই মোদিজিই ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে বিজেপির এমন কৌশল এই প্রথম নয়। মহারাষ্ট্র তার সাক্ষী। ক্ষমতা দখল করতে না পেরে বিজেপি সেখানেও লাগাতার ভুয়ো খবর আর ছবি ছড়িয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শচীন সাবন্ত বলেছেন, গত দেড় বছর ধরে মহারাষ্ট্রে রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উপর হামলার থেকে ভুয়ো খবর, ভুয়ো ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার আমরা সাক্ষী। এসব করে একটা গল্প খাড়া করার চেষ্টা হয়।’ সাবন্তের সতর্কবার্তা, ‘বিজেপি গুজব ছড়িয়ে তিলকে তাল করে ফেলতে পারে।’ এব্যাপারে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। দিল্লিতেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আইন সংশোধন পর্যন্ত করেছে। যে কোনওভাবে বিরোধীদের শায়েস্তা করাটাই বিজেপির ট্র্যাডিশন।
নির্বাচনে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরেও বাংলাকে নিয়ে বিজেপির চিন্তার কারণ একটাই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ বুঝে গিয়েছেন, সিবিআই, ইডির গল্প দিয়ে আর খুব বেশি এগনো যাবে না। হ্যাটট্রিকের পর জাতীয় রাজনীতিতে ‘বাংলার বাঘিনী’ই মোদি-বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন। তাই ‘বিজেপির চাণক্য’ কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে, ফোনাফুনি করে তাঁকে চাপে রাখতে চাইছেন।  
বাংলায় একটা কথা চালু আছে, এক কান কাটারা গ্রামের পাশ দিয়ে যায়। আর দু’কানা কাটারা গ্রামের ভিতর দিয়ে যায়। বিজেপির দিল্লির নেতৃত্বের হালচাল দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত। লজ্জা শরমের বালাই নেই। সেটা থাকলে এমন গোহারা হারার পরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা কল্পনাও করতে পারত না।
বাংলার এই রায়ের পরেও বিজেপির ‘বহিরাগত’ নেতাদের শিক্ষা হয়নি। বাংলা ও বাঙালিকে এখনও তাঁরা ঠিকমতো চিনতে পারেননি। অমিতজি, আপনারা ‘জাত গোখরো’ দেখেছেন, কিন্তু ‘স্পিট কোবরা’ দেখেননি। স্পিট কোবরা ছোবল মারে, আবার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রয়োজনে বিষ ছুড়তেও পারে। তার সামনে পড়লে প্রবল পরাক্রমশালী সিংহও ভয়ে পিছু হটে। বাঙালি হল সেই ‘স্পিট কোবরা’। তাই বলি, সাধু সাবধান, ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না।
08th  May, 2021
মমতা মডেলে উজ্জীবিত গোটা দেশ
মৃণালকান্তি দাস

সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে, বিজেপির গোটা ভোট-মেশিনারি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যেভাবে বাংলা দখলের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা মমতা যে একাই ভেস্তে দিতে পারেন, সেটা বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বিশদ

অপদার্থ, অনাচারী রাজা,
এবার গদি ছাড়ুন
সন্দীপন বিশ্বাস

নতুন সরকারের গায়ে কাদা ছিটিয়ে নয়া ফন্দি আঁটছে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর গোপন ছক চলছে। রাজ্যকে অশান্ত করার গোপন খেলায় সক্রিয় বিজেপির আইটি সেলও। বিজেপি সব সময় সোজা খেলায় হেরে গেলে বাঁকা পথে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। রাজ্যে সেই উস্কানিই চলছে। বিশদ

12th  May, 2021
বিভাজনের উস্কানিতে
বাংলা বিকিয়ে যাবে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলা এখনও বিকিয়ে যায়নি। যাবে না। কোটি কোটি করদাতার রক্ত জল করা টাকায় হয়তো মোদিজির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প সফল হবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক উস্কানির অন্ধকারে বাংলাকে ডুবিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন? হবে না। মোদিজি বরং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকুন। বিশদ

11th  May, 2021
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সত্য মিথ্যা
প্রকাশ জাভরেকর

 

জানুয়ারির গোড়ার দিকে দেশে কোভিড পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল। নতুন করে সংক্রমণও কমছিল। কিন্তু দেখা গেল, কেরলে সেই সময় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল। ওই রাজ্য থেকেই নতুন সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশের খবর আসছিল। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন। বিশদ

11th  May, 2021
মোদি বনাম দিদি ও অন্য লড়াইগুলি
পি চিদম্বরম

ভারতীয় মিডিয়া সবে জাগতে শুরু করেছে। মানুষ তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশের জন্য প্রতিটা নির্বাচনকে হাতিয়ার করছে। দৃষ্টান্ত, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট। ২০২১ সাল—আরও একটি নষ্ট বছরের জন্য মনোবল ফেরানোর জন্য যখন চেষ্টা করছি, ঠিক তখনই আশঙ্কায় কেঁপে উঠছি আগামী দু’টি বছরের কথা ভেবে—২০২২, ২০২৩ সালও নষ্ট হবে না তো! বিশদ

10th  May, 2021
বাংলা থেকেই কি মোদির শেষের শুরু
হিমাংশু সিংহ

মুসলিম ও হিন্দু দু’তরফেই বাংলায় প্রত্যাখাত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্টে নাক উঁচু বাম প্রগতিশীল সমাজও বিজেপিকে ঠেকাতে খোলা মনে মমতার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। মেরুকরণের বিষ ব্যুমেরাং হয়ে বিধ্বস্ত করেছে গেরুয়া দলকেই। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, মিথ্যার দ্বারা মহৎ কাজ হয় না। বিশদ

09th  May, 2021
স্বৈরাচারী কলুষিত প্রশাসনকে
হুঁশিয়ার করলেন রবীন্দ্রনাথ
জয়ন্ত কুশারী

রবীন্দ্রনাথই অন্যতম মহামানব যিনি ভাবীকালের পৃথিবীকে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে চিনতে পেরেছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে বিবাদ বিদীর্ণ দেশ রাজনৈতিক মতাদর্শের বৈষম্য, অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের বৈচিত্র্য, প্রগতির বিভিন্ন মানকে স্বীকার করে নিয়েও সামগ্রিক ক্রমোন্নতির পথ থেকে বিচ্যুত হননি। বিশদ

09th  May, 2021
করোনা ঠেকাতে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের উদ্যোগ
রাজনাথ সিং  

মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি ভারত মোকাবিলা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে। সশস্ত্র বাহিনী দেশকে জয়ী করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের রয়েছে অদম্য মনোভাব। যে-কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতায় তাঁরা পূর্ণ। বিশদ

08th  May, 2021
গণদেবতার আশীর্বাদ
মৃণালকান্তি দাস

শেষ বিচারে বঙ্গসমাজ বিজেপির আইডেনটিটি পলিটিকস তত্ত্বকে আমল দেয়নি। বাঙালিয়ানা বিসর্জন দিয়ে বিজেপির হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান মার্কা ভারতীয়ত্বকে আপন করে নিতে চায়নি। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ও বিবিধকে আঁকড়ে ধরে একদর্শী মতবাদকে তফাতে ঠেলেছে। দিনের শেষে এই রাজনৈতিক সংঘাত তাই রূপ নিয়েছে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে।
বিশদ

07th  May, 2021
প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোট পর্ব মিটতে না মিটতে করোনা রোধে আঁটসাঁট বিধিনিষেধ। মাত্র এক দেড় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ভোট পরিচালনায় রাজ্যব্যাপী সর্বত্র করোনা ছড়িয়ে গেছে। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নয়, খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। বিশদ

06th  May, 2021
রাজধর্ম পালনের শপথ
হারাধন চৌধুরী

কোভিড পরিস্থিতি আপনারা দায়িত্ব নিয়ে যদি এতটা খারাপ না করে ফেলতেন, তাহলে অবশ্যই বলতাম, মোদি-শাহ-নাড্ডা বাংলায় আসুন। আজই সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথের হ্যাটট্রিক। দেখে যান রাজধর্ম পালনের শপথ কীভাবে নিতে হয়। বিশদ

05th  May, 2021
মোদি হাওয়া নেই... ছিলও না 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাঁদরের হাতে লোডেড রিভলভার ধরিয়ে দিলে কী হয়? উত্তরের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি এই মহান কর্মটি করে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিশ্চিতভাবে তার মাথার ব্যামো আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাও কতকটা তেমন। 
বিশদ

04th  May, 2021
একনজরে
দলের নির্দেশে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনশ্রী খাঁড়া। তিনি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা। বিধানসভা ভোটে বনশ্রীদেবী তৃণমূলের হয়ে সেভাবে প্রচারে নামেননি বলে দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। সেজন্য তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল দল। ...

করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে বসেই গয়না কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ উপলক্ষে থাকছে হরেক অফারও। ...

বাড়ির উঠোনে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছোট্ট ঘর। সেখানে রান্না করছিলেন গৃহবধূ দীপালি সর্দার। পাশের মাটির ঘরের নিকনো বারান্দায় রাখা ফোন হঠাৎই বেজে উঠল। রান্না ফেলে ...

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM