Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গণদেবতার আশীর্বাদ
মৃণালকান্তি দাস

গণদেবতার আশীর্বাদে ফের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার প্রমাণিত, রাজ্যের মানুষ এখনও তাঁর প্রতি আস্থাশীল। তৃণমূল সরকারের প্রতি এখনও প্রত্যাশা আছে মানুষের। আশা করা যায়, জনসমর্থনের বিপুল ঢেউয়ে বয়ে না-গিয়ে নতুন সরকার আশা পূরণের পথ রচনা করবে। রাজ্যের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে সদর্থক কাজে মন দেবে। উন্নয়নের লক্ষ্যে পথ হাঁটবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে সেই প্রজন্মের রাজনীতিক, যিনি কর্পোরেট ঘরানার রাজনীতি করতে একদম স্বচ্ছন্দ নন। বরং অনেক বেশি ভালো পারেন রাস্তায় নেমে লড়াই করতে। স্ট্রিট ফাইটিং। চার্টার্ড ফ্লাইটে উড়ে এসে অথবা পাঁচতারা হোটেলে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করলে স্ট্রিট ফাইটারদের চরিত্র বোঝা কঠিন। অমিত শাহ বা জে পি নাড্ডারা হয়তো সেই কারণেই তৃণমূল সুপ্রিমোর ‘খেলা হবে’ স্লোগানের মর্মার্থ বুঝতে বুঝতে নিজেদের জালে অনেকগুলো গোল ঢুকিয়ে ফেলেছেন। দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, রাজনৈতিক আইটি সেলের মাতব্বর অমিত মালব্যরা বুঝতেই পারেননি কেন কোটি কোটি বাঙালি মহিলা এবং ভদ্রলোকের ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ঝড়ের গতিতে ধেয়ে চলে যাচ্ছে।
একমাস কুড়ি দিন। তার মধ্যে ৪৩ দিন হুইলচেয়ারে। ধৈর্য, সাহস, পরিশ্রম, বুদ্ধি, জেদ। এককথায়, এক অবিশ্বাস্য সফর। একটা অতীব শক্ত ম্যাচকে এভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ‘সহজ’ করে দিলেন—সেটা ২ মে বোঝা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও দেখিয়ে দিলেন, বুকের পাটা থাকলে যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক, একাই একশো হওয়া যায়। গণদেবতার আশীর্বাদ তাঁর সঙ্গেই থাকে, যিনি সাহসী হন। তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত চক্রব্যূহ তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি-সহ গেরুয়া বাহিনীর সবাই তাঁকে নিশানা করেছেন। কী না করেছেন মোদি বাংলা দখল করার ব্রত নিয়ে! নেহরু থেকে মনমোহন সিং—সবাই মিলে বাংলায় লোকসভা ও বিধানসভায় যতগুলি ভোট-সভা করেছেন, মোদি একাই সেই সম্মিলিত রেকর্ড প্রায় ভেঙে দিয়েছেন! সঙ্গে প্রায় একই সংখ্যক সভা করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও ছিলেন নানা মাপের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির ‘হেভিওয়েট’ নেতৃবর্গ। সর্বোপরি, নির্বাচন কমিশন। নন্দীগ্রাম থেকেই মমতা বলেছিলেন, আমরা বিচার পাচ্ছি না। কমিশন চালাচ্ছেন অমিত শাহ। সেই সংঘাত শেষ পর্যন্ত এমন পর্যায়ে গেল যে, তাঁকে ২৪ ঘণ্টা প্রচার থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু তবুও এই বিরাট সাফল্য, কীভাবে?
রাজ্যের ভোট বিশ্লেষকদের একথা মাথায় রাখা দরকার ছিল, বাঙালি ভোটাররা স্বভাব-সহনশীল, খুব খেপিয়ে না দিলে কিন্তু বাঙালি ভোটাররা পরিবর্তন চান না। বস্তুত, বামফ্রন্ট তার ভাবাদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে কৃষকদের জমি কেড়ে শিল্প-স্থাপনের চেষ্টা করল, ঠিক তখনই পতন ঘটল তাদের। যদি সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন না-হতো, তাহলে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন ঘটত না। প্রশ্ন একটাই, ২০২১-এর আগে বড় ঘটনা কী এমন ঘটেছে যাতে বিজেপি মনে করেছিল যে, এবার ‘আসল পরিবর্তন’ আসবে? শুধু তাই-ই নয়, শাসকদলের অনেক কর্মী-সমর্থকদেরও দিনের পর দিন পা কাঁপতে দেখা গিয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায় সেই চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ। নিজেদের কাজের প্রতি যতটা আত্মবিশ্বাস ছিল, তার চেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে, বিজেপির একের পর এক দলভাঙার খেলায়।
যদিও দল ভাঙানোর সেই রণকৌশলও মমতার পক্ষে গিয়েছে। সেই দলবদলু প্রার্থীরা কিন্তু কেউ জিততে পারেননি। যাঁরা বিশেষ বিমানে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছিল, বাঙালি এইভাবে দলবদলের নোংরামি ভালো চোখে দেখেনি। তাঁদের বিশ্বাসঘাতক মনে করেছিল। তৃণমূল ভেঙেও বিজেপি খুব একটা লাভ পেল না। বিজেপি যত বেশি করে বলেছে, আমরা দু’শো পার করব, মাইন্ড গেম খেলার চেষ্টা করেছে, হাওয়া তত তাদের বিরুদ্ধেই গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন, এই চমকপ্রদ জয়ের নেপথ্যে যদি মুসলিম ভোট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়, তাহলে মাথায় রাখতে হবে, বাঙালি মহিলারাও মন উজাড় করে ঘাসফুল চিহ্নে ছাপ দিয়েছেন। তা না-হলে উত্তরবঙ্গে কিংবা জঙ্গলমহলে তৃণমূল নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে পারত না। যে তিনটে ভোটব্যাঙ্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে গিয়ে বিজেপিকে ত্রিশূলের ফলায় বিদ্ধ করেছে, তার মধ্যে মহিলা এবং মুসলিম ভোটের পাশাপাশি আত্মাভিমানী বাঙালির ভোটও রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে গেলেন, শুধু বাঙালি-অবাঙালি নয়, বঙ্গসংস্কৃতির নিজস্বতা আক্রমণ করে মোদি-অমিত শাহরা বঙ্গসংস্কৃতিকে তছনছ করে দিতে চাইছে।
এবার প্রতি দফার ইস্যু ছিল আলাদা। মমতাও ধাপে ধাপে তাঁর অস্ত্রগুলো সামনে এনেছেন। শুরুতে ‘বাংলা ও বাঙালি’, ‘বহিরাগত’ ইস্যুর প্রচার ছিল তুঙ্গে। তারপর তিনি বোঝাতে শুরু করেন, প্রার্থীকে ভোট মানে তাঁকেই ভোট। স্থানীয় জোড়াফুল প্রার্থীকে না-জেতালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না। আর তিনি মুখ্যমন্ত্রী না-হলে বন্ধ হয়ে যাবে রেশন, সাইকেল, ট্যাব, ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’র টাকা, নানারকম ভাতা, মৃতদেহ সৎকারের অর্থ। পাঁচ লক্ষ টাকার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডটাও হয়ে যাবে বেকার। মজা হল, এই উপভোক্তা শ্রেণির প্রকল্পগুলো একান্ত মমতার। বিজেপি বলতেই পারেনি, তারা ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্পগুলো বন্ধ করবে না। ফলে উন্নয়নের ইস্যু ছিল মমতার তুরুপের তাস।
গোটা নির্বাচনে, বিজেপির ইস্যু ছিল দু’টি। এক, দুর্নীতি। এবং দুই, বড় মাপের শিল্পায়নে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা। এর কোনওটাই কিন্তু কারণ হিসেবে যথেষ্ট নয়। দুর্নীতি যদি সরকার পরিবর্তনের কারণ হতে পারত, তা হলে ২০১৬ সালেই যখন সারদা-নারদা নিয়ে চর্চা চরমে—সরকার বদলে যেত। তারপরে তৃণমূলের নেতাদের জড়িয়ে নতুন কোনও তথ্য জনসাধারণের সামনে আসেনি। শুধু দিল্লির শাসক দল ভোটের ঠিক আগে ইডি ও সিবিআইয়ের সাহায্যে পুরনো প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জনমানসে সেই পুরনো দুর্নীতির স্মৃতি উস্কে দিতে চেয়েছে। এতে চিঁড়ে ভেজেনি। দ্বিতীয়ত, মেনে নেওয়া ভালো যে, পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ ভোটারের কাছে বড় মাপের শিল্পায়ন বা তার অভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। যদি তা হত তাহলে বামফ্রন্ট এত বছর রাজত্ব করতে পারত না।
আসলে, গত লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূলের থেকে মাত্র চারটি সিট কম পেয়েছিল। তাদের ভোট শতাংশেরও উন্নতি ঘটেছিল উল্লেখযোগ্যভাবে। তাই বিজেপি নেতারা ভেবে ফেলেছিলেন, এই বিধানসভা নির্বাচনে একটু উঠে পড়ে লাগলেই পশ্চিমবঙ্গটা তাঁদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। গোটা বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার মাটিতে। বিজেপির আসল জোর অবশ্য টাকার। অভিযোগ, টাকার জোরেই তারা তৃণমূলের কিছু নেতাকে হাত করে ফেলেছিল। টাকার জোরে তারা যে পরিমাণে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তা এক কথায় অভূতপূর্ব। কিন্তু শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে বাঙালি ভোটারদের মন পাওয়া কি সম্ভব? সিংহভাগ বাঙালি ভোটারের একটা ভাবাদর্শ আছে। এই ভাবাদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার। এই ভাবাদর্শের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতাদর্শের কোনও বিরোধ নেই। কে না জানে, বিজেপি পাইকারি হারে বেসরকারিকরণের পক্ষে। আর তারা যে ধর্মনিরপেক্ষ নয়, সেটা তো সর্বজনবিদিত। এসবই কিন্তু সনাতন বাঙালি বিশ্বাসের পরিপন্থী। এবারের বিধানসভা ভোট ছিল ধর্মীয় মেরুকরণ বনাম উন্নয়নের লড়াই। ‘দিদি’র প্রতি বাঙালির আবেগ!
জনাদেশ বুঝিয়ে দিয়েছে, মানুষ শুধু প্রত্যাখ্যানের জন্য ভোট দেন না, যোগ্য বিকল্প বিবেচনা করেই ভোট দেন। বিজেপি কিংবা বিরোধী জোট যোগ্য বিকল্প হিসেবে গড়ে ওঠার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে পারেনি। জোটের অন্তঃসারহীন বার্তার চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে সাফসুতরো-আলোকিত রাস্তাঘাট, সস্তার চাল, অনুদান কিংবা অন্যান্য নাগরিক সুযোগসুবিধা। কাজ করেছে আরও একটি বিষয়। সমস্ত আসনে তিনিই প্রার্থী—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তির দ্যোতক এই বার্তাটিকে মেনে নিয়েছেন মানুষ। দলের বাকি কুশীলবের অকাজ ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেনি। বিজেপি চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের এবারের ভোটকে ধর্মীয় মেরুকরণে মুড়ে দিতে। শুরু থেকেই তারা সেই লক্ষ্য হাসিলে সচেষ্ট থেকেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই সীমান্তবর্তী রাজ্যের ভোট কখনও এইভাবে ধর্মীয় আধারে করার চেষ্টা হয়নি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্য নির্বাচনে এইভাবে আইডেনটিটি পলিটিকস আমদানির মধ্য দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অত্যন্ত সচেতনভাবে বঙ্গীয় সমাজ ও রাজনীতিতে এক নতুন আঙিনা খুলে দিতে চেয়েছিল।
সেই আঙিনা, গোবলয়ের রাজনীতিতে তাদের চেনা ছক, যে-ছক তাদের বারবার লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সুখের কথা, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির শিক্ষা, রুচি, মনন ও বীক্ষা বিজেপির সেই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সত্ত্বেও শেষবিচারে বঙ্গসমাজ বিজেপির আইডেনটিটি পলিটিকস তত্ত্বকে আমল দেয়নি। বাঙালিয়ানা বিসর্জন দিয়ে বিজেপির হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান মার্কা ভারতীয়ত্বকে আপন করে নিতে চায়নি। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ও বিবিধকে আঁকড়ে ধরে একদর্শী মতবাদকে তফাতে ঠেলেছে। দিনের শেষে এই রাজনৈতিক সংঘাত তাই রূপ নিয়েছে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে। এবং অবশেষে মোক্ষম হোঁচট খেয়েছে বিজেপি।
আর সবকিছুর মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিজেপির মতো একটি রেজিমেন্টেড দলের ভিতরের কাঠামো আসলে কত নড়বড়ে। বোঝা যাচ্ছে, ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে আঠারো আনা ঝাঁপিয়ে পড়া দলটি এখনও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অবস্থাতেই পৌঁছয়নি। তাই দল ভাঙিয়ে লোক জোগাড় তাদের কাছে অন্যতম বিকল্প। আর তাতেই তাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা শিকেয়। চাওয়া-পাওয়ার দলীয় দ্বন্দ্ব নেমে এসেছে রাস্তায়। এবার ভোটে এও এক নয়া উপাদান। সঙ্ঘের অনুশাসনে ঋদ্ধ বিজেপির কাছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা তো বুনিয়াদি শিক্ষা। অথচ প্রার্থী তালিকা ঘিরে তার যে মুখচ্ছবি ফুটে উঠেছে, সেটা অন্য যে-কোনও প্ল্যাটফর্ম মার্কা আবেগতাড়িত দলের থেকে আলাদা কিছু নয়। কলকাতায় বিজেপির দপ্তরে প্রায় নিত্য অশান্তি, জেলায় জেলায় মারামারি, পার্টি অফিসে ভাঙচুর, আগুন, পথ অবরোধ সব মিলিয়ে যেন ফুল প্যাকেজ! গড়ার আগেই ছিল ভাঙার খেলা। গোটা ভোটপর্বে যাঁরা সারাক্ষণ গেরুয়া কম্পন অনুভব করে গেলেন, তাঁরা বুঝতেই পারলেন না বিজেপিতে মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে! আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তখন অঝরে ঝরে পড়েছে গণদেবতার আশীর্বাদ। 
07th  May, 2021
মমতা মডেলে উজ্জীবিত গোটা দেশ
মৃণালকান্তি দাস

সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে, বিজেপির গোটা ভোট-মেশিনারি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যেভাবে বাংলা দখলের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা মমতা যে একাই ভেস্তে দিতে পারেন, সেটা বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বিশদ

অপদার্থ, অনাচারী রাজা,
এবার গদি ছাড়ুন
সন্দীপন বিশ্বাস

নতুন সরকারের গায়ে কাদা ছিটিয়ে নয়া ফন্দি আঁটছে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর গোপন ছক চলছে। রাজ্যকে অশান্ত করার গোপন খেলায় সক্রিয় বিজেপির আইটি সেলও। বিজেপি সব সময় সোজা খেলায় হেরে গেলে বাঁকা পথে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। রাজ্যে সেই উস্কানিই চলছে। বিশদ

12th  May, 2021
বিভাজনের উস্কানিতে
বাংলা বিকিয়ে যাবে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলা এখনও বিকিয়ে যায়নি। যাবে না। কোটি কোটি করদাতার রক্ত জল করা টাকায় হয়তো মোদিজির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প সফল হবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক উস্কানির অন্ধকারে বাংলাকে ডুবিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন? হবে না। মোদিজি বরং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকুন। বিশদ

11th  May, 2021
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সত্য মিথ্যা
প্রকাশ জাভরেকর

 

জানুয়ারির গোড়ার দিকে দেশে কোভিড পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল। নতুন করে সংক্রমণও কমছিল। কিন্তু দেখা গেল, কেরলে সেই সময় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল। ওই রাজ্য থেকেই নতুন সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশের খবর আসছিল। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন। বিশদ

11th  May, 2021
মোদি বনাম দিদি ও অন্য লড়াইগুলি
পি চিদম্বরম

ভারতীয় মিডিয়া সবে জাগতে শুরু করেছে। মানুষ তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশের জন্য প্রতিটা নির্বাচনকে হাতিয়ার করছে। দৃষ্টান্ত, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট। ২০২১ সাল—আরও একটি নষ্ট বছরের জন্য মনোবল ফেরানোর জন্য যখন চেষ্টা করছি, ঠিক তখনই আশঙ্কায় কেঁপে উঠছি আগামী দু’টি বছরের কথা ভেবে—২০২২, ২০২৩ সালও নষ্ট হবে না তো! বিশদ

10th  May, 2021
বাংলা থেকেই কি মোদির শেষের শুরু
হিমাংশু সিংহ

মুসলিম ও হিন্দু দু’তরফেই বাংলায় প্রত্যাখাত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্টে নাক উঁচু বাম প্রগতিশীল সমাজও বিজেপিকে ঠেকাতে খোলা মনে মমতার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। মেরুকরণের বিষ ব্যুমেরাং হয়ে বিধ্বস্ত করেছে গেরুয়া দলকেই। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, মিথ্যার দ্বারা মহৎ কাজ হয় না। বিশদ

09th  May, 2021
স্বৈরাচারী কলুষিত প্রশাসনকে
হুঁশিয়ার করলেন রবীন্দ্রনাথ
জয়ন্ত কুশারী

রবীন্দ্রনাথই অন্যতম মহামানব যিনি ভাবীকালের পৃথিবীকে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে চিনতে পেরেছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে বিবাদ বিদীর্ণ দেশ রাজনৈতিক মতাদর্শের বৈষম্য, অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের বৈচিত্র্য, প্রগতির বিভিন্ন মানকে স্বীকার করে নিয়েও সামগ্রিক ক্রমোন্নতির পথ থেকে বিচ্যুত হননি। বিশদ

09th  May, 2021
সাধু সাবধান, ভাবিয়া করিও কাজ
তন্ময় মল্লিক

‘বদল হবে, বদলাও হবে’। নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসুদের এটাই ছিল জনপ্রিয়তম স্লোগান। ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকির পাশাপাশি চোখা চোখা ডায়ালগের ফুলঝুরি ফুটত। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডলও। ‘ডাটিয়ে পগার পার করে দেব’ বলার পর অনুব্রতবাবু ‘খেলা হবে’তেই আটকে ছিলেন। বিশদ

08th  May, 2021
করোনা ঠেকাতে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের উদ্যোগ
রাজনাথ সিং  

মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি ভারত মোকাবিলা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে। সশস্ত্র বাহিনী দেশকে জয়ী করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের রয়েছে অদম্য মনোভাব। যে-কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতায় তাঁরা পূর্ণ। বিশদ

08th  May, 2021
প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোট পর্ব মিটতে না মিটতে করোনা রোধে আঁটসাঁট বিধিনিষেধ। মাত্র এক দেড় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ভোট পরিচালনায় রাজ্যব্যাপী সর্বত্র করোনা ছড়িয়ে গেছে। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নয়, খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। বিশদ

06th  May, 2021
রাজধর্ম পালনের শপথ
হারাধন চৌধুরী

কোভিড পরিস্থিতি আপনারা দায়িত্ব নিয়ে যদি এতটা খারাপ না করে ফেলতেন, তাহলে অবশ্যই বলতাম, মোদি-শাহ-নাড্ডা বাংলায় আসুন। আজই সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথের হ্যাটট্রিক। দেখে যান রাজধর্ম পালনের শপথ কীভাবে নিতে হয়। বিশদ

05th  May, 2021
মোদি হাওয়া নেই... ছিলও না 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাঁদরের হাতে লোডেড রিভলভার ধরিয়ে দিলে কী হয়? উত্তরের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি এই মহান কর্মটি করে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিশ্চিতভাবে তার মাথার ব্যামো আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাও কতকটা তেমন। 
বিশদ

04th  May, 2021
একনজরে
বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...

বাড়ির উঠোনে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছোট্ট ঘর। সেখানে রান্না করছিলেন গৃহবধূ দীপালি সর্দার। পাশের মাটির ঘরের নিকনো বারান্দায় রাখা ফোন হঠাৎই বেজে উঠল। রান্না ফেলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM