Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজধর্ম পালনের শপথ
হারাধন চৌধুরী

২০ মে, ২০১১। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রথমবার শপথ নিলেন। শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বাংলা পেল প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান হল রাজভবনে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সেটা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস-কংগ্রেস জোটের সরকার। এসইউসি নির্বাচনী জোটে ছিল, কিন্তু সরকারে যায়নি। উপস্থিত ছিলেন পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রমুখ। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে গিয়েছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের অশোক ঘোষ, আরএসপির ক্ষিতি গোস্বামী, সিপিআইয়ের মঞ্জুকুমার মজুমদার। মমতার প্রতিনিধি হয়ে আমন্ত্রণ জানাতে বুদ্ধদেববাবুর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯৮ সালে দল তৈরির পর প্রথম তৃণমূলের কোনও বড় নেতা পা রেখেছিলেন সেদিনই বুদ্ধদেববাবুর ফ্ল্যাটে। আমাদের অবাক করেছিল এই পারস্পরিক সৌজন্য। গণতন্ত্র সেদিন রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার উদারতা দেখাতে পেরেছিল। আর ছিলেন রাজনীতি, শিল্প-বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি জগতের ৩২০০ অতিথি-অভ্যাগত। ভাবছি, আজ বাংলার কংগ্রেসিরা কোথায় মুখ লুকোবেন, মমতার হাত ছেড়ে যাওয়ার গ্লানি নিয়ে? সিপিএম আজও বিরোধী। কিন্তু সৌজন্যের রাজনীতি আজ আর কতটুকু বজায় আছে? জোড়া বিস্ময় আমাদের ঘিরে ধরেছে! 
তারপর আসে ১৯ মে, ২০১৬। ফের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় মমতার দল। আর কোনও জোট নয়। লড়লেন মমতা একাই। ২৭ মে, ২০১৬। মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল রেড রোডে। শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সাক্ষী ছিলেন দেশের বিজেপি-বিরোধী তাবড় নেতারা। লালুপ্রসাদ যাদব, ফারুক আবদুল্লা, কেজরিওয়াল, নীতীশ কুমার, অখিলেশ যাদব প্রমুখ। বিজেপির তরফে ছিলেন মোদির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের। আক্ষরিক অর্থেই তারকা সমাবেশ!
সেদিন দিল্লিতে মিডিয়ার সামনে অমিত শাহের প্রতিক্রিয়া ছিল এইরকম: আমাদের দু’জন মন্ত্রী গিয়েছেন মানে এই নয় যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইটা আমরা ছেড়ে দিলাম। বাংলায় আমাদের সরকার না-হওয়া পর্যন্ত লড়াইটা জারিই থাকবে। 
অমিত শাহের সেই তীব্র হুংকার বাতাসেই মিলিয়ে গিয়েছে। বাস্তবটা হল, তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যপাটের দায়িত্বে বাংলার সেই বাঘিনীই। মঙ্গলে উষা বুধে পা, আজ বুধবার, ৫ মে, ২০২১ মমতার আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ। প্রথমবারের মতোই রাজভবনে। কিন্তু অনুষ্ঠান হতে চলেছে একেবারেই অনাড়ম্বরভাবে। এবার বিশিষ্ট কেউই আমন্ত্রিত নন। 
আজ মনে পড়ছে দুটি ঘটনার কথা। প্রথমটা জেনেছি অশোক মিত্রের স্মৃতিচারণা থেকে। ২১ জুন, ১৯৭৭। জ্যোতি বসুর প্রথম বামফ্রন্ট সরকার শপথ নিয়েছিল রাজভবন প্রাঙ্গণে। মস্ত শামিয়ানা খাটানো হলেও তার নীচে ক’জনের আর জায়গা হয়, অপেক্ষায় তো জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার! রাজ্যপাল অ্যান্টনি ডায়াসের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ নিলেন আরও চার মন্ত্রী: সিপিএমের অশোক মিত্র ও কৃষ্ণপদ ঘোষ, ফরওয়ার্ড ব্লকের কানাইলাল ভট্টাচার্য এবং আরএসপির যতীন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্য ভেঙে দিয়েছিলেন মঞ্চে সমাসীন বিশিষ্টজনেরাই, হাসি-মশকরা বিনিময়ে। অজয় মুখোপাধ্যায় বসেছিলেন অত্যন্ত নিরীহ ভঙ্গিতে। হঠাৎ নাটকীয়তার সঙ্গে প্রবেশ ঘটে অন্যএক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (লেখক তাঁর নামটি না নিলেও তিনি কংগ্রেসিদের মানুদা, অর্থাৎ বাহাত্তর-সাতাত্তর-খ্যাত সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়)। তিনি বিলিতি স্যুট-টাই ভূষিত, হাতে ওয়াকিং স্টিক। অশোক মিত্রের বিস্ময়, ‘যেন তিনিই (সিদ্ধার্থবাবু) নির্বাচনে জিতেছেন!’ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে কাতারে কাতারে মানুষ জ্যোতিবাবুর গাড়ি ছেঁকে ধরে। প্রায় শোভাযাত্রা করে মানুষ তাঁকে রাইটার্সে পৌঁছে দিয়েছিল। দোতলার অলিন্দ থেকে ভাষণে জনতার উদ্দেশে জ্যোতিবাবু বলেছিলেন, আমরা জনতার নির্বাচিত সরকার। জনতার অনুশাসন অনুসারে এই সরকার চলবে। রাইটার্স বিল্ডিংসে বসে নয়, জনতার সঙ্গে মিশে গিয়ে, জনতার নির্দেশে, জনতার প্রেরণায় এই সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিরূপিত হবে।
তারপর টানা ৩৪ বছর পেয়েছিল সিপিএমের নেতৃত্বে বামেরা। জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মিলে সাত-সাতবার শপথ নিয়েছিলেন। কথা রাখেননি জ্যোতিবাবু। কথার খেলাপ হয়েছিল বুদ্ধদেববাবুর আমলেও। শেষমেশ হার্মাদের শাসনকালের রূপ নিয়েছিল বামরাজত্ব। ২০১১ সালে মানুষকে মুক্তির স্বাদ এনে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ সেদিন যে আনন্দ স্বস্তি সুখ অনুভব করেছিল, বাংলার ইতিহাসে তার তুলনা কই! সিদ্ধার্থ-জমানার বিনাশ করে জ্যোতি বসু নায়ক হয়ে উঠেছিলেন নিঃসন্দেহে। কিন্তু জ্যোতিবাবুর প্রতিষ্ঠা করা জগদ্দল সরাবার তৃপ্তি ছিল তার বহুগুণ। প্রথমবার শপথ নিয়ে মমতা রাজভবন থেকে হেঁটে রাইটার্সে গিয়েছিলেন। থুড়ি, রাজভবন থেকে রাইটার্স অবধি ছুটেছিল জনজোয়ার, খুশির জোয়ার। কে সেই দশপ্রহরণধারিণী, যিনি হার্মাদ-রাজত্বের অবসান ঘটাবার মতো অসাধ্যসাধনটি করলেন? তাঁকে একবার চর্মচক্ষে দেখার জন্য মানুষ দিনের পর দিন রাইটার্সের সামনে ভিড় করেছে। ভিড় থাকত অনেক রাত পর্যন্ত। অগণিত মানুষের সেই ‘ভালোবাসার অত্যাচার’ একসময় মহাকরণের নিরাপত্তার সামনে প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ওঠে। প্রশাসন বাধ্য হয়েছিল সেই জমায়েত নিষিদ্ধ করতে। 
তারপর কেটে গিয়েছে দশবছর। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর এখন নবান্ন। সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করার শপথ নিয়ে মোদি-শাহ-নাড্ডারা যে কীর্তি স্থাপন করলেন সম্প্রতি, ভারতের ইতিহাসে তার তুলনা নেই। তারপরও ২ মে আমরা দেখলাম: তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩। বিজেপি ৭৭। এটাই শেষ রেজাল্ট নয়। এখনও বাকি দু’টো আসনের উপনির্বাচন। ১ প্লাস ১ যদি এখনও ২ হয়, তবে ২১৫ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মমতাই ফের ক্ষমতার কেন্দ্র। ক্ষমতার কাছে থাকাটাকেই অগ্রাধিকার দেয় রাজনীতির কারবার। অতএব কিছু মাননীয় সদস্যের দলবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁদের দেখাদেখি সরু চ্যানেল খুঁজবেন আরও অনেকে। অর্থাৎ রিভার্স ফ্লো আসন্ন। বিজেপির সাইজ আরও ছোট হবে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে। বাহুল্য বোধে বাকি দলগুলোর কথা উল্লেখ করছি না। কারণ, একুশের চমৎকারীতে বাংলায় দুই দলের গণতন্ত্র মাথাচাড়া দিয়েছে!  
গত লোকসভার রেজাল্টকে বিজেপি নেতৃত্ব বড্ড বড় করে দেখেছিল। ওই ভোটের নিরিখে বাংলার ১২১টি আসনে এক নম্বরে ছিলেন মোদিরা। ২০১৪। লোকসভায় বাংলা থেকে তাঁদের এমপি দু’জন। ২০১৬। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তাঁদের এমএলএ তিনজন। ২০১৯। লোকসভার ভোটের আগে-পরে শুরু হল দল ভাঙানোর মাদারি কা খেল! নিজেদের একগাদা এমপি এবং এমএলএ-র মালিক ভাবতে শুরু করলেন মোদি-শাহ-নাড্ডা। ‘ত্রিরত্ন’ ধরেই নিলেন, মমতাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেবে গেরুয়া শিবির। বাংলা দখল করবে ২০০+ ম্যাজিকে। আর এই অহংকৃতকল্পনায় ভর করে তাঁরা যে হিতাহিত জ্ঞানশূন্যতা দেখালেন তার তুলনা কই! ভগবান রামচন্দ্র এবং বাংলার অবিসংবাদিত নেত্রীকে দিনের পর দিন অপমান করে গেলেন তাঁরা নিয়ম করে।
গত নিবন্ধে লিখেছিলাম, ‘রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি’ এবং ‘বাঙালির রামভক্তি যদি কিছুমাত্র খাঁটি হয়ে থাকে ... মোদির পার্টিকে রামধাক্কা একদিন দেবেই মানুষ।’ ভোটের রেজাল্ট বলছে, বাংলার মানুষ দেরি করেনি। যা দেওয়ার দিয়েছে হাতে গরম।
নরেন্দ্র মোদির যদি আত্মসম্মানবোধ বলে কিছুমাত্র থাকে তবে তাঁর উচিত হবে এই মুখ নিয়ে বাংলামুখো না-হওয়া। বাংলায় সবাই স্বাগত। রবিঠাকুরের বাংলা কাউকেই ‘বহিরাগত’ মনে করে না। তবে, বাঙালি একটা কথাই বোঝাবার চেষ্টা করেছে, বাংলাকে যারা ছোট ক্ষুদ্র হ্রস্ব ন্যূন ভাবার দুঃসাহস দেখাবার মতো আহাম্মক, শুধু তারাই বহিরাগত। নিজের ভালো বাংলার মানুষের থেকে বেশি কেউ বোঝে না। সোনার বাংলা গড়ার জন্য বাংলার মানুষই যথেষ্ট। তার জন্য ভাড়াটে বাহিনীর আহ্বান অবান্তর, অনৈতিক। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলার মাটিতেই অনেক নেতা আছেন। কোনও স্বঘোষিত ‘বেনিয়া’কে প্রয়োজন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলারও অন্য কারও উশখুশ করার দরকার নেই। তাতে পণ্ডশ্রমই হবে তাঁর। আরও একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, গেরুয়া বাহিনী দ্রুত না শোধরালে, মোদির হাত থেকে ব্যাটন খসে পড়েতে দেরি হবে না। সেটা কোনও শাহের হাতে যাবে না। মমতার মজবুত মানবিক হাতেই সেটা হস্তান্তর করার প্রহর দেশবাসী গুনছেন কি না, সেই জল্পনা গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।    
কোভিড পরিস্থিতি আপনারা দায়িত্ব নিয়ে যদি এতটা খারাপ না করে ফেলতেন, তাহলে অবশ্যই বলতাম, মোদি-শাহ-নাড্ডা বাংলায় আসুন। আজই সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথের হ্যাটট্রিক। দেখে যান রাজধর্ম পালনের শপথ কীভাবে নিতে হয়। অতিথি হিসেবে আসুন। শ্রীধনকরকে পাশে নিয়ে মঞ্চ আলো করে বসুন। তবে মুখে চওড়া মাস্ক পরুন অবশ্যই। করোনা একমাত্র সমস্যা নয়। লজ্জা নিবারণেরও অস্ত্র হয়ে উঠুক আপনাদের জন্য। অতিথি দেবতাদের প্রকাশ্য বিড়ম্বনা অতিথিপরায়ণ বাংলার মানুষ মোটে সইতে পারবেন না।
05th  May, 2021
মমতা মডেলে উজ্জীবিত গোটা দেশ
মৃণালকান্তি দাস

সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে, বিজেপির গোটা ভোট-মেশিনারি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যেভাবে বাংলা দখলের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা মমতা যে একাই ভেস্তে দিতে পারেন, সেটা বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বিশদ

অপদার্থ, অনাচারী রাজা,
এবার গদি ছাড়ুন
সন্দীপন বিশ্বাস

নতুন সরকারের গায়ে কাদা ছিটিয়ে নয়া ফন্দি আঁটছে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর গোপন ছক চলছে। রাজ্যকে অশান্ত করার গোপন খেলায় সক্রিয় বিজেপির আইটি সেলও। বিজেপি সব সময় সোজা খেলায় হেরে গেলে বাঁকা পথে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। রাজ্যে সেই উস্কানিই চলছে। বিশদ

12th  May, 2021
বিভাজনের উস্কানিতে
বাংলা বিকিয়ে যাবে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলা এখনও বিকিয়ে যায়নি। যাবে না। কোটি কোটি করদাতার রক্ত জল করা টাকায় হয়তো মোদিজির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প সফল হবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক উস্কানির অন্ধকারে বাংলাকে ডুবিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন? হবে না। মোদিজি বরং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকুন। বিশদ

11th  May, 2021
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সত্য মিথ্যা
প্রকাশ জাভরেকর

 

জানুয়ারির গোড়ার দিকে দেশে কোভিড পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল। নতুন করে সংক্রমণও কমছিল। কিন্তু দেখা গেল, কেরলে সেই সময় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল। ওই রাজ্য থেকেই নতুন সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশের খবর আসছিল। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন। বিশদ

11th  May, 2021
মোদি বনাম দিদি ও অন্য লড়াইগুলি
পি চিদম্বরম

ভারতীয় মিডিয়া সবে জাগতে শুরু করেছে। মানুষ তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশের জন্য প্রতিটা নির্বাচনকে হাতিয়ার করছে। দৃষ্টান্ত, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট। ২০২১ সাল—আরও একটি নষ্ট বছরের জন্য মনোবল ফেরানোর জন্য যখন চেষ্টা করছি, ঠিক তখনই আশঙ্কায় কেঁপে উঠছি আগামী দু’টি বছরের কথা ভেবে—২০২২, ২০২৩ সালও নষ্ট হবে না তো! বিশদ

10th  May, 2021
বাংলা থেকেই কি মোদির শেষের শুরু
হিমাংশু সিংহ

মুসলিম ও হিন্দু দু’তরফেই বাংলায় প্রত্যাখাত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্টে নাক উঁচু বাম প্রগতিশীল সমাজও বিজেপিকে ঠেকাতে খোলা মনে মমতার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। মেরুকরণের বিষ ব্যুমেরাং হয়ে বিধ্বস্ত করেছে গেরুয়া দলকেই। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, মিথ্যার দ্বারা মহৎ কাজ হয় না। বিশদ

09th  May, 2021
স্বৈরাচারী কলুষিত প্রশাসনকে
হুঁশিয়ার করলেন রবীন্দ্রনাথ
জয়ন্ত কুশারী

রবীন্দ্রনাথই অন্যতম মহামানব যিনি ভাবীকালের পৃথিবীকে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে চিনতে পেরেছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে বিবাদ বিদীর্ণ দেশ রাজনৈতিক মতাদর্শের বৈষম্য, অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের বৈচিত্র্য, প্রগতির বিভিন্ন মানকে স্বীকার করে নিয়েও সামগ্রিক ক্রমোন্নতির পথ থেকে বিচ্যুত হননি। বিশদ

09th  May, 2021
সাধু সাবধান, ভাবিয়া করিও কাজ
তন্ময় মল্লিক

‘বদল হবে, বদলাও হবে’। নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসুদের এটাই ছিল জনপ্রিয়তম স্লোগান। ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকির পাশাপাশি চোখা চোখা ডায়ালগের ফুলঝুরি ফুটত। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডলও। ‘ডাটিয়ে পগার পার করে দেব’ বলার পর অনুব্রতবাবু ‘খেলা হবে’তেই আটকে ছিলেন। বিশদ

08th  May, 2021
করোনা ঠেকাতে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের উদ্যোগ
রাজনাথ সিং  

মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি ভারত মোকাবিলা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে। সশস্ত্র বাহিনী দেশকে জয়ী করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের রয়েছে অদম্য মনোভাব। যে-কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতায় তাঁরা পূর্ণ। বিশদ

08th  May, 2021
গণদেবতার আশীর্বাদ
মৃণালকান্তি দাস

শেষ বিচারে বঙ্গসমাজ বিজেপির আইডেনটিটি পলিটিকস তত্ত্বকে আমল দেয়নি। বাঙালিয়ানা বিসর্জন দিয়ে বিজেপির হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান মার্কা ভারতীয়ত্বকে আপন করে নিতে চায়নি। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ও বিবিধকে আঁকড়ে ধরে একদর্শী মতবাদকে তফাতে ঠেলেছে। দিনের শেষে এই রাজনৈতিক সংঘাত তাই রূপ নিয়েছে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে।
বিশদ

07th  May, 2021
প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোট পর্ব মিটতে না মিটতে করোনা রোধে আঁটসাঁট বিধিনিষেধ। মাত্র এক দেড় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ভোট পরিচালনায় রাজ্যব্যাপী সর্বত্র করোনা ছড়িয়ে গেছে। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নয়, খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। বিশদ

06th  May, 2021
মোদি হাওয়া নেই... ছিলও না 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাঁদরের হাতে লোডেড রিভলভার ধরিয়ে দিলে কী হয়? উত্তরের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি এই মহান কর্মটি করে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিশ্চিতভাবে তার মাথার ব্যামো আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাও কতকটা তেমন। 
বিশদ

04th  May, 2021
একনজরে
বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...

বাড়ির উঠোনে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছোট্ট ঘর। সেখানে রান্না করছিলেন গৃহবধূ দীপালি সর্দার। পাশের মাটির ঘরের নিকনো বারান্দায় রাখা ফোন হঠাৎই বেজে উঠল। রান্না ফেলে ...

দলের নির্দেশে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনশ্রী খাঁড়া। তিনি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা। বিধানসভা ভোটে বনশ্রীদেবী তৃণমূলের হয়ে সেভাবে প্রচারে নামেননি বলে দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। সেজন্য তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল দল। ...

শেষ পর্যন্ত বিস্তর টানাপোড়েনের পর আলোচনায় বসতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা বুধবার চিঠি দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে। ওই চিঠিতে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘অবিলম্বে আলোচ্য বিষয়গুলি জানান।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM