Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোট পর্ব মিটতে না মিটতে করোনা রোধে আঁটসাঁট বিধিনিষেধ। মাত্র এক দেড় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ভোট পরিচালনায় রাজ্যব্যাপী সর্বত্র করোনা ছড়িয়ে গেছে। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নয়, খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। বস্তুত, একেবারে কঠিনতম সত্যটাই বিচারক তুলে ধরেছেন চোখে আঙুল দিয়ে। ২৭ মার্চ যেদিন প্রথম ভোট হল 
সেদিন বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল মাত্র সাড়ে আটশো, আর যেদিন ভোট শেষ হল সেদিন সংক্রমণ ছড়িয়েছে সাড়ে ১২ হাজার।
ভোটের সময় সংক্রমণ যে ছড়াবে সে আশঙ্কা ছিলই। নেতা-নেত্রীদের লাগাতার রোড শো, জনসমাবেশ কোনওদিনই নির্বাচন কমিশনের কোভিড নিয়ন্ত্রণ বিধি মানেনি। রাজ্যে পাঁচদফা ভোট পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোভিড বিধিনিষেধ পালনের জন্য শুধু নির্দেশ জারি করেই দায়িত্ব সেরেছে। তা পালন হচ্ছে না দেখেও কার্যত চোখ বুজে ছিল। আদালতের ভর্ৎসনার পর নড়েচড়ে বসে! যদিও বিশেষভাবে এবারের ভোটের আগে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল কমিশন। ভোট শুরু হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন বলেছিল, যদি কেউ নির্বাচনের সময় কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধিগুলি না-মানে তাকে নির্বাচন থেকে বাতিল করা হবে। কিন্তু একটিবারের জন্য নিজেদের ঘোষিত নীতি কার্যকর করেনি নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে বিজেপি? মানুষের মধ্যে 
করোনা সংক্রমণ আটকাতে বাকি সব দল যখন জনসমাবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে তখনও ভিড় বাড়িয়ে ভোট চেয়ে গেছে বিজেপি। তাদের প্রচারে লাগাম টানেনি। কারণ তারা বাংলার ক্ষমতা চেয়েছিল, কিন্তু বাঙালি ভালো থাকুক তা চায়নি। তাদের এই চাওয়ার ফল হল উল্টো। ভরাডুবি হল বিজেপির। হ্যাটট্রিক করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে সবচাইতে বড় ভয়ানক আঘাত বিজেপি এবার এনেছিল বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশে। ভোট এলে নির্বাচনের নামে বাংলা উত্তপ্ত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে, এটা নতুন কিছু নয়। সেক্ষেত্রে মানুষের কাছে ভরসা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই দেখা গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের সুবিধার্থে। ফলে যে প্রশাসন রাজ্যে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করবে তারাই কখনওবা মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টির অঙ্গ হয়ে গেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা অফিসার হারাতে বাধ্য হয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। মুখ্যমন্ত্রী শেষে বলতে বাধ্য হন, আপনারা কি আমাকেও খুন করবেন ভাবছেন? নইলে আমার নিরাপত্তার অফিসার যিনি তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ কী? এবারের নির্বাচনে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকে কমিশনের নেওয়া বহু সিদ্ধান্তের আসল কারণ রহস্যই থেকে গেছে। পুলিস আমলাদের ক্ষেত্রেও হয়েছিল যথেচ্ছ বদলি।
আর তাই নির্বাচন কমিশন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট করতে চেয়েছে কোনও বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় এমন অভিযোগ বারবার তৃণমূল কংগ্রেস করেছিল। তাদের বক্তব্য, সেটি হাতেনাতে প্রমাণিত হয়েছে শীতলকুচিতে। ময়না তদন্তে জানা গেল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু বলে যারা সেদিন শনাক্ত হয়েছিল তাদের মধ্যে একজনকে ভারী কোনও  কিছু দিয়ে আঘাত করে মারা হয়। গুলিতে সে মারা যায়নি। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য এবং বিবৃতি অনুযায়ী আক্রান্ত বাহিনী নিজেকে প্রতিরোধ করতে সেদিন যে গুলি চালিয়েছিল— সেই বক্তব্যের 
সত্যতা প্রমাণ হয়নি। বরং অভিযোগ, সেদিন সেখানকার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বিনা প্ররোচনায়। তাই ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে মারার মতন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেটা কে মেরেছে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা কোনও বিরোধী দলের সমর্থক কর্মীরা কি? প্রশ্ন উঠেছে। আরও প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশন কেন আজ পর্যন্ত কোনও ভিডিও ফুটেজ সামনে আনতে পারল না! তাই শীতলকুচির ঘটনা বাংলার নির্বাচনের ইতিহাসে চিরস্থায়ী একটি কলঙ্কচিহ্ন হিসেবে থেকে গেল!
শুধু শীতলকুচি নয়, একেবারে প্রথম পর্ব থেকে অভিযোগ উঠছিল নির্বাচন কমিশনের সক্রিয় ঘেরাটোপে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে গ্রামে গ্রামে রুটমার্চের নামে হুমকি জারি করার কথা। নন্দীগ্রামে ভোটের সময় ভোট কেন্দ্রে অবস্থান ধর্মঘটের মতো করে ঘণ্টা দেড়েক থেকে চোখে আঙুল দিয়ে সেটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর শুরু হয় প্রতিরোধের আহ্বান। আর সেই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে বাংলার সাধারণ মানুষকে হিম সন্ত্রাসে ঠান্ডা করে রাখতে বিজেপির নেতারা বলতে থাকেন দিকে দিকে শীতলকুচি বানানো হবে। গুলি করা হবে একদম বুক লক্ষ্য করে। কী বীভৎস হিংসার রাজনীতি একটি দলের শীর্ষ নেতারা দিনের পর দিন মানুষের মধ্যে প্রচার করলেন! এই বাংলা এবারের নির্বাচনে সেটাও দেখল। আর তাই এই হিংসার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করল বঙ্গবাসী। বেছে নিল বাংলার ঘরের মেয়েকেই।
বস্তুত স্বাধীনতার পর থেকে অনেকবার ভারতে নির্বাচন হয়েছে, বাংলাতেও হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারে অধিষ্ঠিত থেকে শাসক দলের প্রথম সারির নেতারা বারংবার রাজ্যে এসেছেন এবং সমাবেশের পর সমাবেশ থেকে ভোট প্রচারের নামে সরাসরি রক্তচক্ষু দেখিয়ে গেলেন! প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে টক্কর দিতে চাইছেন, ভারতীয় গণতন্ত্রে এমন নজির অতীতে ছিল না। এবার তাও হল। বিরোধী দলনেতা হিসেবে জনসমাবেশ থেকে তিনি ভাষণ দেবেন, তাঁর দলের জয় পরাজয়ের ঊর্ধ্বে থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যবাসীর জন্য কিছু সুখবর শোনাবেন এটাই অভিপ্রেত ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজের সেই গরিমা ত্যাগ করে একটি অঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রীতিমতো মল্লযুদ্ধে নামলেন, দলীয় রাজনীতির আঁধারে সংসদীয় গণতন্ত্রের এমন অবক্ষয় এই প্রথম দেখল বাংলার মাটি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি যেভাবে প্রচার চালিয়েছিল তাতে এটা পরিষ্কার হয়েছিল যে তারা বাংলায় ক্ষমতায় এলে হয়তো বাংলার সংস্কৃতিতে আঘাত নেমে আসত। তাদের মেরুকরণের রাজনীতি মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়াত। দেখা গেল নাগরিকত্ব প্রশ্নে অমিত শাহ দক্ষিণবঙ্গে একরকম বলেছেন, দার্জিলিঙে অন্যরকম বলেছেন। এই ধোঁয়াশায় বাংলার মানুষের মধ্যে জেগেছে নানা প্রশ্ন। বাংলা কি আবার অসমের মতোই জ্বলবে? বাংলার মানুষ চায়নি নাগরিকত্বের প্রশ্নে তাদের উপর খাঁড়া নেমে আসুক।
বিজেপি এমনই একটি দল যারা কেবলমাত্র ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া ছাড়া উন্নয়নের কোনও ভাবনা স্পষ্ট করে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেনি। তাই ভোটের আগে সঙ্কল্পপত্র তারা প্রকাশ করলেও বিভিন্ন জনসমাবেশে তাদের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে সঙ্কল্পপত্র নিয়ে বিশেষ কিছু কথা বলতে শোনা যায়নি। বরং সঙ্কল্পপত্রে তারা যা বলে থাকে সেটা না-করার মতো ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। তারপর? নির্বাচনকে ঘিরে অশান্তি, হানাহানি। এবার কলঙ্কিত হয়ে থাকল বাঙালির প্রতি বিজেপি নেতাদের কুৎসিত ভাষণ। চলল বঙ্গবাসীকে অসম্মান করার পালা। দল হিসেবে বিজেপি বুঝিয়ে দিল বাঙালিকে তারা কোন চোখে দেখে? এটা তাদের বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক বিরোধী দলের নিছক অভিযোগ নয়। সেটা জানা যায়, বাঙালির বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপে। আন্দামানে সেলুলার জেলে বহু বাঙালি দেশপ্রেমিক বিপ্লবী বন্দি ছিলেন ব্রিটিশের অকথ্য অত্যাচার সহ্য করে। সকলেই প্রাণ দেন সেখানে, তাঁদের নাম লেখা ছিল সেখানকার শহিদ ফলকে। সাড়ে তিনশোর বেশি বাঙালি শহিদের সেই নামগুলো পর্যন্ত মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে! বাঙালির প্রতি এত বড় হিংসা, এরকম মনোবৃত্তি কোনও দল কোনও সরকার আগে দেখায়নি। আর তাদেরই লেজুড় হিসেবে কাজ করেছে এবারের নির্বাচন কমিশন। পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। ভোটগ্রহণ পর্ব থেকে ফল প্রকাশ— প্রতিটি পর্যায়ে তারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে পারল কি? কারণ এবারের ভোটযুদ্ধে ফলাফল ঘোষণার সময় গোটা দেশবাসীর বাড়তি নজর ছিল একটি কেন্দ্রের দিকে। নন্দীগ্রাম। যেখানে প্রার্থী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিতও ছিলেন। প্রথমে জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই আশ্চর্যজনকভাবে ফল উল্টে গেল! লোডশেডিং। নির্বাচন কমিশনের সার্ভার ডাউন। 
গোটা ব্যাপারটাই কি কাকতালীয়? প্রশ্ন উঠল। ‘কারচুপির’ অভিযোগ তোলা হল তৃণমূলের তরফে। পুনর্গণনার দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দেওয়া হল না পুনর্গণনার সম্মতি। ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। কমিশনের স্বচ্ছ ইমেজ রক্ষার স্বার্থেই এধরনের যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটানো দরকার ছিল। যা হল না। থেকে গেল এমন আরও অনেক প্রশ্ন।
লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত
06th  May, 2021
মমতা মডেলে উজ্জীবিত গোটা দেশ
মৃণালকান্তি দাস

সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে, বিজেপির গোটা ভোট-মেশিনারি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যেভাবে বাংলা দখলের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা মমতা যে একাই ভেস্তে দিতে পারেন, সেটা বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বিশদ

অপদার্থ, অনাচারী রাজা,
এবার গদি ছাড়ুন
সন্দীপন বিশ্বাস

নতুন সরকারের গায়ে কাদা ছিটিয়ে নয়া ফন্দি আঁটছে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর গোপন ছক চলছে। রাজ্যকে অশান্ত করার গোপন খেলায় সক্রিয় বিজেপির আইটি সেলও। বিজেপি সব সময় সোজা খেলায় হেরে গেলে বাঁকা পথে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। রাজ্যে সেই উস্কানিই চলছে। বিশদ

12th  May, 2021
বিভাজনের উস্কানিতে
বাংলা বিকিয়ে যাবে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলা এখনও বিকিয়ে যায়নি। যাবে না। কোটি কোটি করদাতার রক্ত জল করা টাকায় হয়তো মোদিজির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প সফল হবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক উস্কানির অন্ধকারে বাংলাকে ডুবিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন? হবে না। মোদিজি বরং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকুন। বিশদ

11th  May, 2021
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সত্য মিথ্যা
প্রকাশ জাভরেকর

 

জানুয়ারির গোড়ার দিকে দেশে কোভিড পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল। নতুন করে সংক্রমণও কমছিল। কিন্তু দেখা গেল, কেরলে সেই সময় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল। ওই রাজ্য থেকেই নতুন সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশের খবর আসছিল। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন। বিশদ

11th  May, 2021
মোদি বনাম দিদি ও অন্য লড়াইগুলি
পি চিদম্বরম

ভারতীয় মিডিয়া সবে জাগতে শুরু করেছে। মানুষ তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশের জন্য প্রতিটা নির্বাচনকে হাতিয়ার করছে। দৃষ্টান্ত, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট। ২০২১ সাল—আরও একটি নষ্ট বছরের জন্য মনোবল ফেরানোর জন্য যখন চেষ্টা করছি, ঠিক তখনই আশঙ্কায় কেঁপে উঠছি আগামী দু’টি বছরের কথা ভেবে—২০২২, ২০২৩ সালও নষ্ট হবে না তো! বিশদ

10th  May, 2021
বাংলা থেকেই কি মোদির শেষের শুরু
হিমাংশু সিংহ

মুসলিম ও হিন্দু দু’তরফেই বাংলায় প্রত্যাখাত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্টে নাক উঁচু বাম প্রগতিশীল সমাজও বিজেপিকে ঠেকাতে খোলা মনে মমতার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। মেরুকরণের বিষ ব্যুমেরাং হয়ে বিধ্বস্ত করেছে গেরুয়া দলকেই। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, মিথ্যার দ্বারা মহৎ কাজ হয় না। বিশদ

09th  May, 2021
স্বৈরাচারী কলুষিত প্রশাসনকে
হুঁশিয়ার করলেন রবীন্দ্রনাথ
জয়ন্ত কুশারী

রবীন্দ্রনাথই অন্যতম মহামানব যিনি ভাবীকালের পৃথিবীকে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে চিনতে পেরেছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে বিবাদ বিদীর্ণ দেশ রাজনৈতিক মতাদর্শের বৈষম্য, অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের বৈচিত্র্য, প্রগতির বিভিন্ন মানকে স্বীকার করে নিয়েও সামগ্রিক ক্রমোন্নতির পথ থেকে বিচ্যুত হননি। বিশদ

09th  May, 2021
সাধু সাবধান, ভাবিয়া করিও কাজ
তন্ময় মল্লিক

‘বদল হবে, বদলাও হবে’। নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসুদের এটাই ছিল জনপ্রিয়তম স্লোগান। ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকির পাশাপাশি চোখা চোখা ডায়ালগের ফুলঝুরি ফুটত। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডলও। ‘ডাটিয়ে পগার পার করে দেব’ বলার পর অনুব্রতবাবু ‘খেলা হবে’তেই আটকে ছিলেন। বিশদ

08th  May, 2021
করোনা ঠেকাতে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের উদ্যোগ
রাজনাথ সিং  

মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি ভারত মোকাবিলা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে। সশস্ত্র বাহিনী দেশকে জয়ী করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের রয়েছে অদম্য মনোভাব। যে-কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতায় তাঁরা পূর্ণ। বিশদ

08th  May, 2021
গণদেবতার আশীর্বাদ
মৃণালকান্তি দাস

শেষ বিচারে বঙ্গসমাজ বিজেপির আইডেনটিটি পলিটিকস তত্ত্বকে আমল দেয়নি। বাঙালিয়ানা বিসর্জন দিয়ে বিজেপির হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান মার্কা ভারতীয়ত্বকে আপন করে নিতে চায়নি। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ও বিবিধকে আঁকড়ে ধরে একদর্শী মতবাদকে তফাতে ঠেলেছে। দিনের শেষে এই রাজনৈতিক সংঘাত তাই রূপ নিয়েছে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে।
বিশদ

07th  May, 2021
রাজধর্ম পালনের শপথ
হারাধন চৌধুরী

কোভিড পরিস্থিতি আপনারা দায়িত্ব নিয়ে যদি এতটা খারাপ না করে ফেলতেন, তাহলে অবশ্যই বলতাম, মোদি-শাহ-নাড্ডা বাংলায় আসুন। আজই সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথের হ্যাটট্রিক। দেখে যান রাজধর্ম পালনের শপথ কীভাবে নিতে হয়। বিশদ

05th  May, 2021
মোদি হাওয়া নেই... ছিলও না 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাঁদরের হাতে লোডেড রিভলভার ধরিয়ে দিলে কী হয়? উত্তরের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি এই মহান কর্মটি করে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিশ্চিতভাবে তার মাথার ব্যামো আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাও কতকটা তেমন। 
বিশদ

04th  May, 2021
একনজরে
শেষ পর্যন্ত বিস্তর টানাপোড়েনের পর আলোচনায় বসতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা বুধবার চিঠি দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে। ওই চিঠিতে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘অবিলম্বে আলোচ্য বিষয়গুলি জানান।’ ...

দলের নির্দেশে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনশ্রী খাঁড়া। তিনি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা। বিধানসভা ভোটে বনশ্রীদেবী তৃণমূলের হয়ে সেভাবে প্রচারে নামেননি বলে দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। সেজন্য তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল দল। ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM