Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি হাওয়া নেই... ছিলও না 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাঁদরের হাতে লোডেড রিভলভার ধরিয়ে দিলে কী হয়? উত্তরের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি এই মহান কর্মটি করে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিশ্চিতভাবে তার মাথার ব্যামো আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাও কতকটা তেমন। যার নিত্যদিন, দু’বেলা নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তার হাতে আচমকা ব্যাগভর্তি টাকা ধরিয়ে দিলে তার হাল ওই বাঁদরের হাতে ধরা রিভলভারের মতো হয়। সে ভেবে কূল পায় না... কোথায়, কীভাবে টাকাটা খরচ করবে। পাশের বাড়ি থেকে যারা নিত্যদিন খাবার চেয়ে আনত, তাদের ঘরেই মোচ্ছব লেগে যায়। দামি জামাকাপড়, সানগ্লাস, মদের ফোয়ারা... তারা ভাবে না, এই টাকাটা সে পেয়েছে ‘পরিস্থিতির সৌজন্যে’। কী হবে, যদি আজ বাদে কাল টাকার উৎসটাই বন্ধ হয়ে যায়? বাংলায় এমনই একটা সংস্কৃতি গত কয়েক মাসে আমদানি করেছে গেরুয়া শিবির। ‘পরিবর্তন’ এনেছে। সমাজের নিচুতলার একটা অংশের হাতে আচমকাই ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে এককাঁড়ি করে টাকা। রাজনৈতিক দলটির বিশ্লেষণ ছিল, অযোগ্য এবং অপ্রাপ্তির শিকার... দুয়ের এই ভয়ানক মিশেলধারী সমাজের অংশটিকে ধরতে পারলে এরাই ভোটের সময় কাজে আসবে। এদের ভোট নিশ্চিত তো হবেই, পাশাপাশি বাড়তি ইনকামের রাস্তা খুলে যাওয়ার লোভে দাদাগিরিটাও এরা করবে পুরোদস্তুর। রাজ্যের আনাচে কানাচে এই প্রবণতা গত কয়েক মাসে ছাইচাপা আগুনের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে। এরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর দাবি করছে, ‘সামলে চলো... আমরা বিজেপি।’
নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন দুয়েক আগের ঘটনা। জমির মাপজোক চলছিল। ঘটনাস্থল, উত্তর ২৪ পরগনার একটি এলাকা। পাঁচ-ছ’জন ছেলে এল এবং সরাসরি দাবি করল, ‘কাজ বন্ধ কর। ২ তারিখ রেজাল্টের পর আমরা ক্ষমতায় আসব। তারপর বলে দেব, কীভাবে কী করতে হবে। আর কোথায় কত দিতে হবে।...’ নিচুতলার দাদাগিরি বাম জমানায় ছিল, তৃণমূল জমানাতেও আছে। কিন্তু সেটা এমন ত্রাসের পর্যায়ে পৌঁছয়নি। যা বিজেপি এই কয়েকদিনে সমাজের নিচুতলায় ছড়িয়ে দিয়েছে। কারণ? বাংলা দখলের দিবাস্বপ্ন।
‘দিবাস্বপ্ন’ শব্দটা এখানে বুঝেশুনেই ব্যবহৃত। বাংলায় প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া এমনও ছিল না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপড়ে ফেলতে হবে। সাধারণ মানুষ সেটা বোঝে, আর এত বড় জাতীয় পার্টি হয়েও বিজেপি বোঝে না? হতে পারে না। তাই তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই—হাওয়া আরও জোরদার করতে হবে। কারা সেই কাজ করবে? সেই ‘না পাওয়া’রা। সম্পূর্ণ একটা অপপ্রচারকে বাস্তবের রূপ দিতে এই অংশটিকে ব্যবহার করেছে গেরুয়াতন্ত্র। ভেসে যাওয়া সেই মানুষগুলো দাদাগিরি করেছে, গলা ফাটিয়েছে দলের নামে... মনে হয়েছে, সত্যিই তাহলে আছে ‘বিজেপি হাওয়া’। আসলে, রাজনীতির মহাযুদ্ধে প্রত্যেকটা দলেরই কোনও না কোনও স্ট্র্যাটেজি থাকে। প্রতিশ্রুতি বা নির্বাচনী ইস্তাহার তার প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র। তারপর এলাকার চরিত্র, সেখানকার মানুষ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সম্প্রদায়... এই সবই গোটা স্ট্র্যাটেজির অন্তর্ভুক্ত। ভোটের আগে টাকা দেওয়া বা মাংস খাওয়ানোটাও এই ‘কর্মসূচি’র মধ্যে পড়ে। কংগ্রেস, বাম বা তৃণমূল... কৌশল ঘোরাফেরা করে এই এক আবর্তে। তার কারণ, রাজনৈতিক দল কখনও সমাজকে, বা তার কাঠামোকে অস্বীকার করতে পারে না... যা বিজেপি বাংলায় করেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের লোভে ঘুণ ধরিয়েছে সমাজে। ধর্মীয় মেরুকরণ তো তাদের এজেন্ডা! উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বা রাজস্থান... সর্বত্র এই একই অঙ্কে তারা দিনের পর দিন ভোটের ময়দানে ঘুঁটি সাজিয়েছে। সফল বলতেই হবে... না হলে এতগুলো রাজ্যে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারত না। কিন্তু গেরুয়া শিবির হয়তো বুঝেছিল, বাংলায় শুধু এই মেরুকরণের রাজনীতি চলবে না। তাই টাকার খেলা... লোভ। যার পাঁচ হাজার উপার্জন করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়, তাকেই মাসে মাসে ৫০ হাজার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। আরও লাগলে? ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ফলটা খুব সুখকর হয়নি। হচ্ছেও না। আঙুল ফুলে আচমকা যারা কলাগাছ হয়েছিল, তাদের অন্তরে বাসা বেঁধেছিল এক অদ্ভুত মোহ... সরকারে এলে আরও কত কী না আসবে! কিন্তু না এলে? এরা বানিয়া পার্টি। পাই পাইয়ের হিসেব বুঝে নেবে। কাজ না হলে টাকার আমদানিও বন্ধ। এবার কিন্তু সেটাই হতে চলেছে। যারা এই কয়েক মাস বিজেপির কথায় নেচেছিল, তারা আজ পুনর্মুষিকোভব। অথচ লাইফ স্টাইলটা পৌঁছে গিয়েছে অন্য উচ্চতায়। এখন কিন্তু ফিরে যাওয়া অসম্ভবের শামিল। যারা ওই লোভের কলে পা বাড়ায়নি, বরং তারা আজ অনেকটা স্বস্তিতে। আর যারা টোপটা গিলেছিল, তাদের ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে বিজেপি। বাংলায় আজ প্রমাণিত—বিজেপি হাওয়া বলে কিছু নেই। ছিল না। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১৩টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারতেন না। আপনারা এই বাস্তবটা জানতেন। তা সত্ত্বেও একটা শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। একের পর এক রাজ্যে পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার, গো-বলয়ের বাইরের রাজ্য থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় সরকারি নীতির ভরাডুবি... উপায় ছিল না নরেন্দ্র মোদির কাছে। অটলবিহারী বাজপেয়ির জমানায় যে বিজেপিকে ভারত দেখেছিল, তার ছিঁটেফোঁটাও এখন আর অবশিষ্ট নেই। সবটাই এখন প্যাকেজ। কীভাবে মার্কেটিং করতে হয়, মোদিজি সেটা খুব ভালো জানেন। তাই বারংবার ভ্রান্ত নীতি ও অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশবাসী আপনার কাছে প্রত্যাশী। একবার, দু’বার, তিনবার... আমরা আশাহত হয়েছি। কিন্তু তারপরও ভেবেছিল, মোদিজি এবার আচ্ছে দিন আনবেন। কিন্তু ভোট রাজনীতির নামে মেরুকরণ, ঘৃণা ছড়ানো এবং সমাজের একটা অংশকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার ছাড়া কী পেয়েছি আমরা? আপনি ভেবেছিলেন, বাংলা জয় করতে পারলে আরও একবার আপনার হাতে এসে যাবে সেই জাদুদণ্ড... আরও একবার মোহাবিষ্ট হবে মানুষ। ফের স্বপ্ন দেখবে ‘আচ্ছে দিনে’র। নাঃ, তা হয়নি। বাংলা বুঝেছে, এর সবটাই ভাঁওতা। ভোটযন্ত্র তারই প্রমাণবাহী। আর দুঃখজনক বিষয় হল, আপনি তো এবার দাবিও করতে পারবেন না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে রিগিং করেছেন! এক লক্ষাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী, কোভিডের মধ্যেও আট দফার ভোট, এবং ‘জো হুজুর’ কমিশন... আহা, তারপরও মানুষের মন পেলেন না! একটু আগে যদি বুঝতেন, এখানে গেরুয়া হাওয়া বলতে কিছুই নেই, তাহলে বাংলা একটু স্বস্তি পেত।
লোকে বলবে, হাওয়া যদি নাই থাকে, তাহলে বিজেপি মাত্র তিনটি আসন থেকে ৭৭টিতে পৌঁছল কীভাবে? তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, ক্ষমতার অলিন্দে শাসক থাকলে বিরোধীও থাকবে। ১০ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আছেন। এই পর্বে বিরোধী বলতে কারা ছিল?—মূলত বাম এবং কংগ্রেস। একুশের ফলের পর পরিষদীয় রাজনীতি থেকে তারা নিশ্চিহ্ন। বিরোধী বলে এখন রাজ্যে একটিই দল—বিজেপি। অর্থাৎ, বিরোধী হিসেবে বাংলার মানুষ বাম এবং কংগ্রেসের অপদার্থতা আর মেনে নিতে পারেনি। তাই তাদের ভোটব্যাঙ্কের সিংহভাগই সরে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। অর্থাৎ, এতদিন যাহা ছিল সিপিএম-কংগ্রেস, এখন তাহাই বিজেপি হয়েছে। এই ফল সিপিএম এবং কংগ্রেসের কাছে লজ্জার। কিন্তু বিজেপির কাছেও গর্বের নয়! বাংলার মানুষ বিজেপিকে শাসক হিসেবে দেখতে চায়নি। এটাই সারসত্য। বিরোধী আসনে বসে আগে নিজেদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। তারপর বাংলা ভেবে দেখবে, আপনাদের শাসকের আসনে বসানো যায় কি না। আর হ্যাঁ, এখন শোনা যাচ্ছে, বিজেপির প্রায় ২৫-৩০ জন বিধায়ক এবং জনাচারেক এমপি নাকি তৃণমূলে আসতে আগ্রহী? সেইমতো তাঁরা তৃণমূলের শীর্ষস্তরে তদ্বির পর্যন্ত শুরু করে দিয়েছেন? তাহলে তো এবার দলবদলের উল্টো হাওয়া বইবে! মোদি ঝড় যে শেষ! 
04th  May, 2021
মমতা মডেলে উজ্জীবিত গোটা দেশ
মৃণালকান্তি দাস

সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে, বিজেপির গোটা ভোট-মেশিনারি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যেভাবে বাংলা দখলের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা মমতা যে একাই ভেস্তে দিতে পারেন, সেটা বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বিশদ

অপদার্থ, অনাচারী রাজা,
এবার গদি ছাড়ুন
সন্দীপন বিশ্বাস

নতুন সরকারের গায়ে কাদা ছিটিয়ে নয়া ফন্দি আঁটছে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর গোপন ছক চলছে। রাজ্যকে অশান্ত করার গোপন খেলায় সক্রিয় বিজেপির আইটি সেলও। বিজেপি সব সময় সোজা খেলায় হেরে গেলে বাঁকা পথে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। রাজ্যে সেই উস্কানিই চলছে। বিশদ

12th  May, 2021
বিভাজনের উস্কানিতে
বাংলা বিকিয়ে যাবে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলা এখনও বিকিয়ে যায়নি। যাবে না। কোটি কোটি করদাতার রক্ত জল করা টাকায় হয়তো মোদিজির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প সফল হবে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক উস্কানির অন্ধকারে বাংলাকে ডুবিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন? হবে না। মোদিজি বরং মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকুন। বিশদ

11th  May, 2021
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সত্য মিথ্যা
প্রকাশ জাভরেকর

 

জানুয়ারির গোড়ার দিকে দেশে কোভিড পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছিল। নতুন করে সংক্রমণও কমছিল। কিন্তু দেখা গেল, কেরলে সেই সময় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল। ওই রাজ্য থেকেই নতুন সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশের খবর আসছিল। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন। বিশদ

11th  May, 2021
মোদি বনাম দিদি ও অন্য লড়াইগুলি
পি চিদম্বরম

ভারতীয় মিডিয়া সবে জাগতে শুরু করেছে। মানুষ তার ক্রোধের বহিঃপ্রকাশের জন্য প্রতিটা নির্বাচনকে হাতিয়ার করছে। দৃষ্টান্ত, উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোট। ২০২১ সাল—আরও একটি নষ্ট বছরের জন্য মনোবল ফেরানোর জন্য যখন চেষ্টা করছি, ঠিক তখনই আশঙ্কায় কেঁপে উঠছি আগামী দু’টি বছরের কথা ভেবে—২০২২, ২০২৩ সালও নষ্ট হবে না তো! বিশদ

10th  May, 2021
বাংলা থেকেই কি মোদির শেষের শুরু
হিমাংশু সিংহ

মুসলিম ও হিন্দু দু’তরফেই বাংলায় প্রত্যাখাত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্টে নাক উঁচু বাম প্রগতিশীল সমাজও বিজেপিকে ঠেকাতে খোলা মনে মমতার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। মেরুকরণের বিষ ব্যুমেরাং হয়ে বিধ্বস্ত করেছে গেরুয়া দলকেই। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, মিথ্যার দ্বারা মহৎ কাজ হয় না। বিশদ

09th  May, 2021
স্বৈরাচারী কলুষিত প্রশাসনকে
হুঁশিয়ার করলেন রবীন্দ্রনাথ
জয়ন্ত কুশারী

রবীন্দ্রনাথই অন্যতম মহামানব যিনি ভাবীকালের পৃথিবীকে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে চিনতে পেরেছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে বিবাদ বিদীর্ণ দেশ রাজনৈতিক মতাদর্শের বৈষম্য, অর্থনৈতিক স্তরবিন্যাসের বৈচিত্র্য, প্রগতির বিভিন্ন মানকে স্বীকার করে নিয়েও সামগ্রিক ক্রমোন্নতির পথ থেকে বিচ্যুত হননি। বিশদ

09th  May, 2021
সাধু সাবধান, ভাবিয়া করিও কাজ
তন্ময় মল্লিক

‘বদল হবে, বদলাও হবে’। নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসুদের এটাই ছিল জনপ্রিয়তম স্লোগান। ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকির পাশাপাশি চোখা চোখা ডায়ালগের ফুলঝুরি ফুটত। প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডলও। ‘ডাটিয়ে পগার পার করে দেব’ বলার পর অনুব্রতবাবু ‘খেলা হবে’তেই আটকে ছিলেন। বিশদ

08th  May, 2021
করোনা ঠেকাতে প্রতিরক্ষা
মন্ত্রকের উদ্যোগ
রাজনাথ সিং  

মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি ভারত মোকাবিলা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে। সশস্ত্র বাহিনী দেশকে জয়ী করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের রয়েছে অদম্য মনোভাব। যে-কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতায় তাঁরা পূর্ণ। বিশদ

08th  May, 2021
গণদেবতার আশীর্বাদ
মৃণালকান্তি দাস

শেষ বিচারে বঙ্গসমাজ বিজেপির আইডেনটিটি পলিটিকস তত্ত্বকে আমল দেয়নি। বাঙালিয়ানা বিসর্জন দিয়ে বিজেপির হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান মার্কা ভারতীয়ত্বকে আপন করে নিতে চায়নি। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ও বিবিধকে আঁকড়ে ধরে একদর্শী মতবাদকে তফাতে ঠেলেছে। দিনের শেষে এই রাজনৈতিক সংঘাত তাই রূপ নিয়েছে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে।
বিশদ

07th  May, 2021
প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোট পর্ব মিটতে না মিটতে করোনা রোধে আঁটসাঁট বিধিনিষেধ। মাত্র এক দেড় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ভোট পরিচালনায় রাজ্যব্যাপী সর্বত্র করোনা ছড়িয়ে গেছে। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে নয়, খোদ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। বিশদ

06th  May, 2021
রাজধর্ম পালনের শপথ
হারাধন চৌধুরী

কোভিড পরিস্থিতি আপনারা দায়িত্ব নিয়ে যদি এতটা খারাপ না করে ফেলতেন, তাহলে অবশ্যই বলতাম, মোদি-শাহ-নাড্ডা বাংলায় আসুন। আজই সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথের হ্যাটট্রিক। দেখে যান রাজধর্ম পালনের শপথ কীভাবে নিতে হয়। বিশদ

05th  May, 2021
একনজরে
শেষ পর্যন্ত বিস্তর টানাপোড়েনের পর আলোচনায় বসতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা বুধবার চিঠি দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে। ওই চিঠিতে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘অবিলম্বে আলোচ্য বিষয়গুলি জানান।’ ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে ...

বাড়ির উঠোনে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছোট্ট ঘর। সেখানে রান্না করছিলেন গৃহবধূ দীপালি সর্দার। পাশের মাটির ঘরের নিকনো বারান্দায় রাখা ফোন হঠাৎই বেজে উঠল। রান্না ফেলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM