মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
সংশয় নিরসন মাত্র পরোক্ষ জ্ঞানে হয় না, তপস্যা দ্বারা পাপ বিরহিত হইলে তবে প্রকৃত সত্য দর্শন হইয়া থাকে। প্রকৃত সত্যদ্রষ্টার কোন স্থানে কোন বিষয়ে কিছুমাত্র বিরোধ নাই, যতক্ষণ চিত্তে বিরোধের তরঙ্গ উঠিবে, ততক্ষণ বুঝিতে হইবে যে আমার চিত্ত এখনও নিষ্কলুষ হয় নাই।
শ্রীভগবানের প্রসন্নতায় অনাহত নাদ ও জ্যোতিরূপে জীবাত্মা প্রথমে হৃদয়ে আত্মপ্রকাশ করেন, অনন্তর উর্দ্ধগত হইয়া দ্বিদলে জ্যোতির্ম্ময় ঈশ্বররূপ পরমাত্মা ওঙ্কারের দর্শনপ্রাপ্ত হন। ভক্তের বাঞ্ছা পূর্ণ করিবার জন্য ইনি চিন্ময় বিগ্রহ ধারণ করতে দর্শন দেন।
যাঁহার শরীরে আকাশতত্ত্বের আধিক্য আছে, তিনি বিষ্ণুমন্ত্র গ্রহণপূর্ব্বক নির্জ্জনে সংযতভাবে অবস্থান করতে সাত্ত্বিক আহার, ইন্দ্রিয় সংযম করিয়া সেই মন্ত্র বৈখরীতে জপ করিতে থাকিলে তাঁহার পাপক্ষয় হইতে থাকে।
এ দীর্ঘজীবনে এ অনুভূতি এসেছে—মানুষ স্বাধীনভাবে কোন কিছু পাপ-পুণ্যাদি কর্তে পারে না। তার পূর্ব্বকৃত কর্ম্ম অবশভাবে তাকে ন্যায় অন্যায় কর্ম্ম করায়। কাজেই পাপী পুণ্যবান বলে কারো উপর দৃষ্টি বৈষম্য হবে না। সব আমার ইষ্টের লীলাবিগ্রহের লীলা বলে মনে করলে চিত্ত কোন তরঙ্গ তুল্তে পার্বে না। প্রারব্ধের গতি নির্ণয় করা অতি কঠিন। প্রারব্ধ ঈশ্বরদর্শী পুরুষকেও চঞ্চল করিতে পারে। নানারূপধারিণী মায়ের চরণ দেখ, প্রণাম কর, আর মা মা বল। মা নামের মত সংসার জয় করিবার দ্বিতীয় মন্ত্র নাই।
‘এ’র চিন্তার ধারা সকলের পালন করা কঠিন হলেও—চিত্ত শান্তির দ্বিতীয় পথ নাই।
মাগো কেউ কারুর অদৃষ্ট নতুন করে তৈরী করতে পারে না। জন্ম-জন্মান্তরের কর্মফল মানুষকে ভোগ করতে হয়। তুই কেবল শ্রীভগবান্কে ডাক্ তিনি করুণাময় তাঁর কৃপা হলে তোর সব ব্যথা দূর হবে।
বাক্টাকে যে যত সংযত করতে পারবে সে তত আনন্দ পাবে।
নাম কর্, নির্ভয়ে নাম কর্—এ নাম প্রেমপথের ত্রিসীমানায় ভীতির সম্ভাবনা নাই, অভয় দিয়ে গড়া এ নাম সঙ্কীর্ত্তন পথ, তাই ডাক্ছি আয় আয় ওরে আমার আনন্দের, আমার প্রেমের, আমার শত সাধের সন্তানগণ! আয় আয় ছুটে আয় আমার নাম কল্পতরুমূলে আশ্রয় নে নে; মাভৈঃ মাভৈঃ মাভৈঃ ধ্বনি অবিরত শুন্তে পাবি।
কত যুগ, কত যুগান্তর চলে গেছে ব্যর্থতায়, আজ তাই ডাকছি— এস প্রিয়, এস প্রিয়তম, তোমার আত্ম-সাম্রাজ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে কৃতার্থ হও।
তোমার সাধনার মহামন্ত্র মা নাম। এই মহামন্ত্র অবলম্বনে তুমি তোমার দুর্নিবার কামাদি সমস্ত রিপুকে জয় করে মার চরণে চিরসংযুক্ত হও।
নিয়মিত প্রাতে, মধ্যাহ্নে, সায়াহ্নে, মধ্যরাত্রে জপ করতে সচেষ্ট হও। মন্ত্র তো আর সাধারণ জিনিস নয়, মন্ত্রই ভগবান।
সূর্য্যকে যেমন বলতে হয় না সূর্য্য তুমি অন্ধকার দূর করে দাও, সূর্য্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই স্বতঃই অন্ধকার চলে যায়, তদ্রূপ নাম গ্রহণ করবো এ অভিলাষ হৃদয়ে জাগ্রত হলেই পাপ আপনা আপনি চলে যায়।