আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সবকিছু অভ্যাসের ওপর। অভ্যাস করে কম আয়, জগতে চলে যাবি। আবার জগতে অভ্যাস করে কম যা, এখানে চলে আসবি। তাই গীতায় অভ্যাসযোগের কথা বলেছে। স্ত্রীকে ছেড়ে স্বামী বিদেশে যায়। বহুদিন সেখানে থাকার অভ্যাসে ভালবাসা কমে যায়। মেমের সাথে থাকার অভ্যাসে ভালবাসা জমে যায়। মেমকে নিয়ে আসে। তাই আশ্রমে আয়। অভ্যাসের সাথে ভালবাসা বাড়বে। জীবনটা পাল্টে যাবে। ভগবান লাভ পরের কথা। শান্তি চাইলেও এখানে পাওয়া যাবে। কথা দিচ্ছি। শহরে রোদ্রের গরমের থেকে, গঙ্গার পাড়ে রোদ্রের গরম কম লাগে। কিন্তু একই রোদ। গঙ্গার হাওয়ায় গরমটা লাগে না। গঙ্গায় নামুন, গরম কম লাগবে। স্নান করুন, আরও কম। যদি ডুব দিতে পারেন, একদম কম। দেখবেন সংসারের জ্বালা থেকে এখানে আশ্রমে আসলে অল্প শান্তি লাগছে। এখন যদি কারও বাজে চিন্তাও আসে, নিজের খারাপ লাগবে বা দমাতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু এই বাজে চিন্তা নিজের বাড়িতে আসলে বাধাপ্রাপ্ত হয় না। তাই এখানে আসার অভ্যাসে একটা শুভ সংস্কার হয়। বাজার থেকে চাল কিনেছ, তার মধ্যে দু-একটা পাথর থাকতে পারে। তা বলে পাথরের জন্যে চাল শুদ্ধু ফেলে দিও না, পাথর ফেলে চালগুলো রেখে দাও। আমার কথাগুলোর মধ্যে যেগুলো ভাল লাগে না সেগুলো বাদ দিয়ে যেগুলো ভাল লাগে, সেগুলোকে নাও। সব উড়িয়ে দিও না। কাজের নাইট ডিউটিতে গেলে বউ, মেয়েকে ছেড়ে থাকতে হয়। তার মানে বউ, মেয়ে সবাই থাকে, ওদের ত্যাগ করা হয় না, কিন্তু বেশি পয়সা আসবে। ঈশ্বরের ওপর সব ছাড়তে পারলে সব থাকবে। প্রাপ্তিটা বেশি। ঈশ্বর লাভ করলে ভোগের বাসনাই থাকে না। কিন্তু ভোগ থাকে। “যে ধনে” হইয়া ধনী মণিরে মানো না মণি।”
একটি ফুল গাছে যতই সার দেও না কেন, তার যতগুলি ফুল ফোটার ততগুলি ফুটবে। যখন ফোটার তখন ফুটবে। তুমি তার ব্যতিক্রম কিছু করতে পারো না। তুমি বলছ, তোমার মেয়ের জন্যে তুমিই সব করছ। তুমি কিছুই করতে পারো না। মেয়ের অন্তর্নিহিত শক্তিই তাকে বড় করে তোলে। যা নির্দিষ্ট করা থাকে তাই হয়। নাটকের পরিচালকও কখনও অভিনয় করে। তখন সে কি বলে—আমি পরিচালক? হয়তো নায়কের চাকরের রোলই করতে হয় তাকে। নায়ক সবসময় জানে, এই নায়কের অভিনয়ও তার শেখানো। ভগবান যেখানেই থাকুক না কেন, যে চেনার সে চিন্তে পারবেই।
রেলে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি। অনেকে বয়স বাড়িয়েও চাকরি করে। কিন্তু পাইলটের চাকরির সময়সীমা কম। তার উপায় নেই বেশি দিন চাকরি করার। কেউ মারা গেলে আমরা দুঃখ করি। কিন্তু এটা মেনে নিতে হবে। যার যতদিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট, ততদিনই থাকবে। জানলে দুঃখ নেই। সমাজ গুন্ডাদের মারে। ভগবান রত্নাকরকে মেরে বাল্মীকি বানিয়ে দিলেন যে রত্নাকর এত খুন করেছে। সেই বাল্মীকির পাখির মৃত্যুতেও কষ্টে প্রাণ কাতর হল।