মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ কেন? এই প্রশ্ন মনে আসতে পারে। ধারণা হতেই পারে, ইচ্ছাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ বেছে নেওয়া হয়নি তো এই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে ভারতকে গরিমান্বিত করতে? একেবারেই না। আসলে এখানে প্রতিপক্ষ গৌণ। প্রাধান্য আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং সৌজন্যকে। ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারই মঞ্চ হয়ে দাঁড়াল ইডেন গার্ডেন্স। উদ্বোধনে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খেলা এবং রাজনীতির মেলবন্ধনে বাস্তবিকই তিলোত্তমায় ছিল চাঁদের হাট। শুধুই তো ক্রিকেট নয়, ছিলেন পি ভি সিন্ধু, সানিয়া মির্জাও। তবে আকর্ষণের মধ্যমণি অবশ্যই হাসিনা ও মমতা। ইডেনের ভিআইপি লাউঞ্চে বসে খেলা দেখা, তারপর সৌজন্য সাক্ষাৎ দুই বাংলার দুই প্রধানের। হাসিনা জানিয়ে গেলেন, আজও বাংলাদেশ ভারতের প্রতি ঋণী। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল, যেভাবে আতঙ্কিত প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, তা বাংলাদেশ আজও ভোলেনি। ভুলবেও না। মমতাও জানালেন, দু’দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। এবং ভবিষ্যতে তা আরও ভালো হবে।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে জঙ্গি অনুপ্রবেশের যে আতঙ্ক, তা বাংলাদেশের সীমান্তে নেই। চীনের সঙ্গে যে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে, তা শেখ হাসিনার দেশের সঙ্গে পোহাতে হয় না। এমন এক প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক যে কোনও রাষ্ট্রই রাখতে তৎপর হবে। তাছাড়া রয়েছে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান। জন্মলগ্ন থেকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য চীন এখনও বাংলাদেশকে হাত করে উঠতে পারেনি। হাসিনার দেশ যদি চীন বা পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাত, তাহলে বাণিজ্য তো বটেই, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও তারা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াত। কেন্দ্রে যে সরকারই আসুক না কেন, তারা কখনওই এটা হতে দেবে না। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে যতই রাজনীতি থেকে দূরে থাকার প্রত্যয় দেখান না কেন, বাংলাদেশকে ‘গোলাপি’ টেস্টের জন্য বেছে নেওয়া এবং শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ তাঁর ‘রাজনৈতিক’ মাস্টার স্ট্রোক। ইতিহাসের পাতায় শুধু গোলাপি বল বা দিনরাতের টেস্টে ভারতের সংযোজন নয়, ঢুকে পড়ল কূটনীতিও।