ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলির সুফল যাতে মানুষ পায় সেজন্য মমতার সরকার সক্রিয়। তবু পচা শামুকে যাতে পা না কাটে সেজন্য এবার সতর্ক পদক্ষেপ করতে উদ্যোগ নিল তাঁর সরকারের বিভিন্ন দপ্তরও। পঞ্চায়েত দপ্তরও ব্যতিক্রম নয়। এই দপ্তরের নানা কাজের মাধ্যমে গ্রামের সিংহভাগ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব। সেই পথেই হাঁটছে তৃণমূল সরকার। সকলেই জানে, এই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় একটি বাড়ি করার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং জঙ্গলমহলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যদিও অভিযোগ ওঠে বাড়ি পেতে ২০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও কোনও কর্তাকে। এটা ঠেকাতেই সরকারি উদ্যোগ। তাই বাড়ির জন্য অনুমোদনের পর উপভোক্তাকে ডেকে এই প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হল। বিডিওরা উপভোক্তাদের জন্য সচেতনতা শিবির করবেন। সেখানে তাঁদের বোঝানো হবে—কী ধরনের বাড়ি হবে, ঘর কত বড় হবে, রান্নাঘর কেমন ইত্যাদি। নিঃসন্দেহে এমন ব্যবস্থায় উপভোক্তারা এই প্রকল্পে তাঁদের প্রাপ্য বিষয়ে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন। উদ্যোগটি নিশ্চয়ই ভালো। তবে এর বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব হল তা পরে জানা যাবে। দেখতে হবে বাড়ি তৈরির আগে গ্রাম পঞ্চায়েত ভবন বা ব্লক অফিসে ডেকে উপভোক্তাকে বিস্তারিত বোঝানোর ক্ষেত্রে যেন কোনও ত্রুটি না-থাকে বা দুর্নীতি বাসা বাঁধতে না-পারে। উপভোক্তাদের বোঝানোর নির্দেশটি এবারই প্রথম, যা তাঁদের সচেতনতা বৃদ্ধির সহায়ক।
উদ্দেশ্য মহৎ হলে দুর্নীতিও আটকানো যাবে। যেহেতু এই প্রকল্পে কেন্দ্রও টাকা দিচ্ছে, তাই তারাও থেমে নেই। লক্ষণীয় যে উপভোক্তাসহ নির্মীয়মাণ বাড়ির ছবি চারবার তুলে জিআই ট্যাগ করে দিল্লিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। আগেও ছবি পাঠানো হতো। তবে এবার চারবার ছবি পাঠানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বাধ্যতামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না সে বিষয়ে নজরদারি করতে পারবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। আশার কথা যে সোশিও ইকনমিক কাস্ট সেন্সাস অনুযায়ী রাজ্যের ৩৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্র। কাজটি সম্পূর্ণ ও সফল হলে গ্রামবাংলার রূপটাই হয়তো বদলে যাবে। উপকৃত হবে গ্রামের লক্ষ লক্ষ পরিবার। তবে কাজটি ঠিকমতো করতে হলে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়কে সচেষ্ট হতে হবে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছাটাই বড় কথা।