খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
সরকার নিয়ন্ত্রিত দুধ উৎপাদনকারী ইউনিটগুলির মধ্যে মাদার ডেয়ারির উৎপাদন বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিকালে মাদার ডেয়ারির দুধের সরবরাহ খুবই কমে গিয়েছে। দুধের সংগ্রহমূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের আশা করছেন দুগ্ধ দপ্তরের আধিকারিকরা। সংগ্রহমূল্য না বৃদ্ধি হওয়ার জন্য উৎপাদকরা মাদার ডেয়ারিকে দুধ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিলেন। এখন সংগ্রহমূল্য লিটারে ১৭ টাকা থেকে বেড়ে ২১ টাকা হয়েছে।
পরশবাবু জানিয়েছেন, বেঙ্গল ডেয়ারি নামে একটি সরকারি সংস্থা ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে। মাদার ডেয়ারির সব সম্পত্তি এই নবগঠিত সংস্থাটিকে হস্তান্তরিত করা হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা সম্পন্ন হলে বাজারে বেঙ্গল ডেয়ারির দুধ আসবে। ডানকুনি, বর্ধমান, দুর্গাপুর প্রভৃতি জায়গায় মাদার ডেয়ারির যে ইউনিটগুলি আছে সেগুলি বেঙ্গল ডেয়ারির মধ্যে চলে আসবে। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছিয়া সেন্ট্রাল ডেয়ারিটি এই নতুন সংস্থার মধ্যে আসছে না। এই ডেয়ারিটি প্রাণিসম্পদ দপ্তর নিজে চালায়। বেলগাছিয়া সেন্ট্রাল ডেয়ারি সরকারি দপ্তরের অধীনে কাজ চালিয়ে যাবে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগছিয়া সেন্ট্রাল ডেয়ারি এখন দিনে মাত্র ১৩ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করছে। কয়েকমাস আগেও এখানে প্রায় ৪০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হতো। স্কিমড মিল্ক পাউডারের (এসএমপি) সরবরাহ নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পর উৎপাদন কমে যায়। এখন এসএমপি সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটা মিটলেও উৎপাদন বাড়ানো হয়নি। ডেয়ারির কর্মীদের বক্তব্য, এখানে ৮০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অধীনে থাকা হরিণঘাটা ডেয়ারিতে ২০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন করা যায়। কিন্তু সেখানে কোনও দুধ উৎপাদন হয় না। সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে দুধের উৎপাদন কমে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের মিল্ক কমিশনার পদম সুনম।
বেলগাছিয়া সেন্ট্রাল ডেয়ারিতে যে অল্প পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয়, তা ডিলারদের মাধ্যমে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। এখানকার দুধের দাম মাদার ডেয়ারির থেকে কম। মাদার ডেয়ারির ডাবল টোনড দুধের ৫০০ মিলিলিটারের দাম ১৭ টাকা। সেন্ট্রাল ডেয়ারির তা মাত্র ১৪ টাকা। সেন্ট্রাল ডেয়ারি ১৫ ও ১৭ টাকা দরে ৫০০ মিলিলিটারের গোরুর দুধ বিক্রি করে। মাদার ডেয়ারির গোরুর দুধের দাম ন্যূনতম ১৯ টাকা। ডেয়ারির কর্মীদের দাবি, দাম কম হলেও তাঁদের দুধের গুণগত মান যে খুব ভালো, এটা ক্রেতারাই বলেন। কিন্তু চাহিদা থাকলেও উৎপাদন বাড়ছে না।