ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তিনি বলেন, এদেশে যে যে জাপানি সংস্থা কাজ করছে, তার অধিকাংশই উত্তরের রাজ্যগুলিতে। সেখানে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা বা ইনসেন্টিভ দেওয়ার ফলেই ওইসব ব্যবসা এসেছিল। পশ্চিমবঙ্গ তেমন সুবিধা দিলে এখানেও আরও বেশি সংখ্যক সংস্থা হজির হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাপানি রাষ্ট্রদূত। তবে শ্রমিক দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ছোট শিল্পে এ রাজ্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে জাপান, জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, টাটা হিতাচি কনস্ট্রাকশন মেশিনারি, নিপ্পাই শালিমার ফিডস, নোমুরা রিসার্চের মতো সংস্থাগুলি কাজ করছে এ রাজ্যে। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন এ রাজ্যের স্টার্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে। রাজ্যে সোলার চালিত ওয়্যারহাউস তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে কাওয়াসিকি রিকুসো ট্রান্সপোর্টেশন কোম্পানি। এখানে মোট ১৯টি জাপানি সংস্থা আছে। পাশাপাশি ২০৯টি জাপানি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি রয়েছে এ রাজ্যে।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশজুড়ে আগামী পাঁচ বছরে তাঁরা আরও এক হাজার জাপানি ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র খুলতে চান। সেক্ষেত্রে জাপান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ভাষা শিক্ষা দেবেন। তাতে ভারতীয়রা জাপানি সংস্থাও আরও বেশি করে কাজের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে জাপান এবং ভারত যেভাবে পরস্পরের হাত ধরেছে, তার সুফল ইতিমধ্যেই ফলতে শুরু করেছে। দুই দেশের আর্থিক বোঝাপড়াও শিল্প সংস্থাগুলিকে সুবিধা করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন কেনজি হিরামাৎসু। ২০১৮ সালের জাপান সরকারের রিপোর্ট বলছে, ভারত থেকে জাপানে ব্যবসা হয়েছে ৫৮৫ বিলিয়ন ইয়েন। অন্যদিকে, জাপান থেকে এ দেশে ব্যবসা এসেছে ১ হাজার ২৩৬ বিলিয়ন ইয়েন। ২০১৮ সালে সেদেশ থেকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩৭৭ বিলিয়ন ইয়েন। জানা গিয়েছে, এ দেশে মোট ১ হাজার ৩০৫টি জাপানি সংস্থা ব্যবসা করছে। অটোমোবাইল, শিপিং, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রেল, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।