ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
মালদহ প্যাক হাউস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, উদ্যোগী কৃষক অথবা রপ্তানিকারকরা নির্দিষ্ট নিয়ম বিধি মেনে তাদের উৎপাদিত ফল, সব্জি বিদেশে রপ্তানি করলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিপ্লব আসবে। এই ব্যাপারে মালদহ মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ অ্যান্ড প্যাক হাউসের ইনচার্জ চিন্ময় ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানিকারক সংস্থা থেকে একবছরের জন্য ইউরোপের দেশগুলিতে ফল এবং সব্জি রপ্তানির ছাড়পত্র মিলেছে। এটা মালদহ প্যাক হাউসের মুকুটে নতুন পালক বলা যেতেই পারে। আমাদের যাবতীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত থাকায় এই ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হয়নি। আমরা চাইছি প্যাক হাউসের মাধ্যমে উদ্যোগী কৃষক এবং রপ্তানিকারকরা বেশি করে বিদেশে তাদের রাসায়নিক মুক্ত ফল সব্জি রপ্তানি করুক।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, মালদহ প্যাক হাউস দু’বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। যদি সেটা আবার চালু করে বিদেশে পণ্য পাঠানো যায় তাহলে খুব ভালো হবে। আমরা চাই, প্যাক হাউসটি ভালোভাবে চালুক। এতে স্থানীয় কৃষকরা তাঁদের ফল, সব্জির ন্যায্য দাম পাবেন। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই প্যাক হাউস যাতে চালু থাকে সেবিষয়টিও দেখা দরকার।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর কৃষ্ণেন্দু নন্দন বলেন, মালদহ প্যাক হাউসে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো আছে। তাছাড়া একবছরের জন্য বিদেশে আম, লিচু সহ বিভিন্ন সব্জি রপ্তানির জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে। সুতরাং স্থানীয় রপ্তানিকারকরা এই পরিকাঠামো ব্যবহার করে বিদেশে ফল, সব্জি রপ্তানি করতে পারবেন। আমরা চাইব বেশি করে এই প্যাক হাউস ব্যবহার করে রপ্তানি হোক। এই সুবিধা উত্তরবঙ্গের কোথাও নেই। মালদহের ক্ষেত্রে এটা একটা পজিটিভ দিক। মালদহের উৎপাদন যদি বিদেশে যায় তাহলে জেলার সুনাম অর্জন হবে।
মালদহ প্যাক হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, এটা ব্যবহার করে রপ্তানিকারকরা ২০২০ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত রাসায়নিক মুক্ত ফল এবং সব্জি ইউরোপের দেশগুলিতে পাঠাতে পারবেন। মালদহের চাষিরা ফড়ে ছাড়াই প্যাক হাউসের মাধ্যমে বিদেশে তাদের উৎপাদিত আনাজপাতি বিক্রি করতে পারবেন। এতে চাষি থেকে বিদেশি গ্রাহকরা নায্য দাম পাবেন। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে ফল এবং সব্জি রাসায়নিক মুক্ত হতে হবে। জৈব পদ্ধতিতে ফল, সব্জি চাষ হচ্ছে কি না এই বিষয়টি মালদহ প্যাক হাউস কর্তৃপক্ষ যাচাই করে তবেই রপ্তানির ছাড়পত্র দেবে। স্থানীয় উৎপাদন বিদেশে বিক্রি হলে স্বাভাবিকভাবেই চাষি, রপ্তানিকারকরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে।