ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
টিভি দেখা এবং তার খরচে স্বচ্ছতা আনতে নয়া নিয়ম চালু করে ট্রাই। ২০১৭ সাল থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হলেও, তা কার্যকর করা হয় গত বছর ডিসেম্বরে। প্রাথমিকভাবে কিছু জটিলতা থাকলেও, ধীরে ধীরে তা দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। নয়া নিয়মে ট্রাই সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে জোর দেয় তা হল, দর্শক যে চ্যানেল দেখবেন, পয়সা মেটাবেন শুধু তার জন্য। টিভিতে একসঙ্গে প্রচুর চ্যানেল সম্প্রচার করে, তার জন্য বড় অঙ্কের দাম দর্শকের থেকে নেওয়া চলবে না, এটাই জানায় তারা। দর্শক কোন চ্যানেল দেখবেন, তা যেমন তিনিই ঠিক করবেন, তেমনই সেইসব চ্যানেলের দাম কত, তাও জানাতে হবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং কেবল সংস্থাকে, নির্দেশ দেয় ট্রাই। কিন্তু সব গ্রাহক সমানভাবে সেই অধিকার বা সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ জমা হয় ট্রাইয়ের দপ্তরে। এখানকার কর্তারা জানাচ্ছেন, দর্শকের একটি বড় অংশের অভিযোগ, তাঁরা কেবল সংস্থার ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপ থেকে চ্যানেল বাছাই করতে সমস্যায় পড়ছেন। অভিযোগগুলি ট্রাই খতিয়ে দেখেছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য সেগুলি কেবল সংস্থাগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাস্তবে পরিস্থিতি কী, তা যাচাই করতে আসরে নামে ট্রাই। তাদের বক্তব্য, কিছু সংস্থা সত্যিই গ্রাহক বা দর্শকদের স্বাধীনতা দিচ্ছে না চ্যানেল বাছাইয়ের জন্য। এমনকী সেসব সংস্থার কলসেন্টারগুলিও পছন্দের চ্যানেল বাছাইয়ে সাহায্য করছে না।
তাহলে উপায়? ট্রাই চাইছে, গ্রাহক যাতে চ্যানেল পছন্দ করতে পারেন, তার সুবিধা করে দেওয়ার দায়িত্ব কোনও তৃতীয় পক্ষকে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে প্রাথমিক কিছু কাজ এগিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের বক্তব্য, সব কেবল সংস্থা ওই তৃতীয় পক্ষ বা সংস্থাটিকে বাধ্যতামূলকভাবে তথ্য দেবে, যাতে তা গ্রাহক সহজে পেতে পারেন। যে অ্যাপটি তৈরি করবে ওই সংস্থা, তার ব্যাপারেই মতামত চায় ট্রাই। দর্শক এরপর চ্যানেল বাছাইয়ে সত্যিই কতটা স্বাধীনতা পাবেন, এখন সেটাই দেখার।