ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
২০২০ সালের ১৩ মার্চ হলদিয়ার দুর্গাচক থানার বাসুদেবপুরে চা দোকানদার এক যুবকের হাতে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু খুন হয়। মৃতের নাম সুজয় সাঁতরা। তালপুকুর এলাকায় চায়ের দোকানদার মনোরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরদিন পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মনোরঞ্জনের বাড়ি ওড়িশার জাজপুর জেলার চাঁদিপাটনা গ্রামে। দুর্গাচক থানা এলাকায় তার চায়ের দোকান ছিল। সেই দোকানে ওড়িশার দুই নাবালককে রেখেছিল মনোরঞ্জন।
অভিযুক্ত মনোরঞ্জন এবং সুজয় সাঁতরা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। দীর্ঘদিন ধরে ওই সম্পর্ক চলার পর আচমকা খুনের ঘটনা ঘটে। ১৩মার্চ সকালে মনোরঞ্জনের কাছে যাওয়ার কথা বলে সুজয় বাড়ি থেকে বের হন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন অভিযুক্তের চায়ের দোকানে যান। ওই দোকানে তখন দুই নাবালক কর্মচারী ছিল। তাদের কাছ থেকে সুজয়কে খুনের ঘটনা জানতে পারেন নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন। বাসুদেবপুরে একটি গুদাম ঘরের মধ্যে সুজয়ের দেহ পড়ে রয়েছে বলেও জানায় দুই নাবালক। সেই সূত্র ধরে পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন, সুজয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোদাল দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে ওই যুবককে খুন করা হয়। সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে দুই নাবালক কর্মচারী পৌঁছে গিয়েছিল। তখন অভিযুক্ত তাদের ঘটনার কথা বাইরে না বলার হুমকি দেয়। ঘটনার পরদিন পুলিস অভিযুক্তকে মেচেদা স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত ওড়িশায় পালানোর চেষ্টা করছিল। এখনও অভিযুক্ত ওড়িশার ওই যুবক সংশোধনাগারে রয়েছে। এদিকে, দুই নাবালক কোর্টে সাক্ষ্য দিতে এসে বাংলা ভাষা বুঝতে পারছে না বলে জানায়। তারপর দোভাষীর সাহায্য নিয়ে তাদের সাক্ষ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই নাবালক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাই তাদের বয়ান কোর্টের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২৩নভেম্বর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি দীঘা পিএইচই বাংলোর কেয়ারটেকার দেবাশিস মহান্তিকে দোভাষী হিসেবে নিযুক্ত করে চিঠি পাঠিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী সৌমেনবাবু বলেন, অপরাধীর যাতে শাস্তি হয়, সেজন্য আমরা লড়ছি। আশা করছি, দোভাষীর সাহায্য নিয়ে দুই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে।