ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, ইতিমধ্যেই প্রকল্পগুলির জন্য কিছু টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেইমতো দ্রুত প্রকল্পের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা এগচ্ছি। প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। আলো, কমিউনিটি স্যানিটেশন কমপ্লেক্স ও সজলধারা পানীয় জল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হলে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় একগুচ্ছ নতুন স্কিম রূপায়ণ হচ্ছে। এছাড়াও প্রকল্প বর্হিভূত খাতে ব্যবহারের জন্য জেলা পরিষদ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আট কোটি টাকা ব্যয় করবে।
উল্লেখ্য, নদীয়া জেলার সব ব্লকই আর্সেনিকপ্রবণ এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বরাবরই এই জেলাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগেও জেলায় ৩৭টি সৌরশক্তি চালিত সজলধারা প্রকল্প চালু হয়।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, নতুন করে আরও ৪১টি সজলধারা জল প্রকল্পের কাজ হবে। এক একটি প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১৩লক্ষ টাকা। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫কোটি ৩৮লক্ষ টাকা। কোন, কোন এলাকায় জল প্রকল্পগুলি রাখা হবে সেজন্য এলাকার চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সজলধারার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। এতে মহিলারা ও আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। তাছাড়া গ্রামীণ এলাকায় বেশকিছু স্কুলেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলার গ্রামীণ জনবহুল এলাকায় ২০০টি হাইমাস্ট আলোর জন্য খরচ হবে ছ’কোটি দু’লক্ষ টাকা। এছাড়া ২৪৯টি কমিউনিটি স্যানিটেশন কমপ্লেক্স তৈরিতে ১৪কোটি ৯২লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। প্রসঙ্গত, নদীয়া জেলা আগেই নির্মল জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই সেই স্বীকৃতি বজায় রাখার জন্য শহরের মতো গ্রামীণ এলাকাতেও কমিউনিটি শৌচালয় তৈরি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যে কারণে এই খাতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ব্যয় করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ। এমন উদ্যোগ জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
ইতিমধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ১০কোটি ১৪ লক্ষ টাকা নদীয়া জেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। বাকি টাকা আগামী দিনে ধাপে ধাপে বরাদ্দ হবে। তাছাড়া আগে অর্থ কমিশনের কাজে জিও ট্যাগিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু কাজের স্বচ্ছতা আনতে এবছর ওই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাজ শেষ হওয়ার আগে সেটি কী অবস্থায় রয়েছে তার ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড বাধ্যতামূলক।