ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
বাসিন্দারা বলছেন, কানকিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসস্টপ থেকে শুরু করে প্রায় ৫০০ মিটার জাতীয় সড়কের ওপরে সব্জির পাইকারি কেনাবেচা হয়। সকালের আলো ফুটতেই চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত সব্জি বিক্রির জন্য এখানে চলে আসেন। প্রথমে সড়কের ধারে বসেন। এরপর যখন ভিড় বাড়তে থাকে তখন তাঁরা জাতীয় সড়কের উপরেই সব্জির ঝুড়ি নিয়ে বসে যান। এতে ধীরে ধীরে অবরুদ্ধ হতে থাকে জাতীয় সড়ক। ভ্যন চালক, টোটো চালক, বিভিন্ন গাড়ির চালক, সব্জি কেনার পাইকার, বিক্রেতা সব মিলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। যানবানহ চলাচলের জায়গাই থাকে না। এত ভিড়ে কোনও যানবাহন সামান্য নিয়ন্ত্রণ হারালেই নিমেশের মধ্যে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। দীর্ঘদিন থেকেই এমনই পরিস্থিতি হয়ে আছে। বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন এই অব্যবস্থার সুষ্ঠু সমাধানের।
কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাজিয়া হাসিবের প্রতিনিধি তাঁর স্বামী কাইসার আহম্মেদ বলেন, অন্যত্র জমির খোঁজ চলছে। জমি পাওয়া গেলে সব্জি বাজার স্থনান্তরিত করা হবে। গোয়ালপোখর-২’র বিডিও কনাইয়াকুমার রায় বলেন, এ বিষয়ে আমরা পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। খুব শীঘ্রই আমরা ওই জায়গাটা ফাঁকা করে দেব। যাঁরা সেখানে ব্যবসা করছেন তাঁদের অন্যত্র বসার জায়গা করে দেব। ইসলামপুরের পুলিস সুপার শচীন মক্কর বলেন, এ বিষয়ে আমরা অনেকবার বৈঠক করেছি। একটি মাঠ দেখা হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই ওই জমিতে বাজার স্থনান্তরিত করা সম্ভব হবে।
বাসিন্দারা বলছেন, এই এলাকার মানুষের প্রধান জীবীকা কৃষিকাজ। চাকুলিয়া ও ডালখোলা থানা এলাকায় প্রচুর সংখ্যক চাষি আছেন। তাঁদের উৎপাদিত সব্জি বিক্রির জন্য একমাত্র বাজার কানকি। বিহার সংলগ্ন এই এলাকায় বিহারের কিষানগঞ্জ ও পূর্ণিয়া জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারি দামে সব্জি কিনে গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যান। সরকারি উদ্যোগে এই এলাকায় কিষান মাণ্ডি নেই। ফলে জাতীয় সড়কের ধারে সব্জি কেনাকাটা হয়। কিন্তু, জায়গা কম থাকায় সড়কের ওপরেই তা চলে। প্রায় দু’দশক আগে কানকি হাসপাতাল ময়দানে সব্জি বিক্রি হতো। সেখানে খোলা জায়গা থাকলেও জাতীয় সড়ক থেকে জায়গাটি ভেতরে হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বাজারটি সড়কের পাশে চলে এসেছে। করোনার সময় প্রশাসন বাজারটি স্থনান্তরিত করেছিল। কিন্তু, সেখানে বিভিন্ন সমস্যার করণে বাজার আবার আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। গত ২৫ নভেম্বর রাতে একটি বোল্ডার বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাসে জলেশ্বরী বাজারে ঢুকে পড়ায় চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সহ পুলিস প্রশাসনের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। এরপরে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের পক্ষ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রাস্তার ধারে বাজার বসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিসের পক্ষ থেকে জানান হয়। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির বেশকিছু বাজারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জলেশ্বরীতে নজরদারি রাখতে পুলিস সিসিটিভি ক্যামেরাও বসিয়েছে। জলেশ্বরীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কানকির সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে।