প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
স্যানিটাইজার প্রস্তুত নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর সোমবার ডিআরডিসির প্রজেক্ট আধিকারিককে ছুটিতে পাঠায় জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালমের নির্দেশে ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই অভিযোগ পাওয়ার পরই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এদিন ওই কমিটি শিলিগুড়িতে এসেছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্চায়েতের ফিনান্স কন্ট্রোলের এক আধিকারিক। এদিন টিমের সদস্যরা ডিআরডিসিতে এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে যান। পঞ্চায়েত দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তের কম্পিউটার, সিসিটিভির ফুটেজ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অর্থ লেনদেনের ফাইল গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখছে। এদিকেষ ওই অভিযোগ জানানোর চারদিন পর পঞ্চায়েত দপ্তর তদন্ত শুরু করতেই শিলিগুড়ির রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার। অভিযোগ, স্যানিটাইজার প্রস্তুতের বরাদ্দ বিনা টেন্ডারে অফিসের ক্যাজুয়াল কর্মীদের ৪০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছেন ওই আধিকারিক। শুধু তাই নয়, ওই অফিসার নিজের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ওই টাকার লেনদেন হয়েছে।
ইতিমধ্যে ওই আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বাক্যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের নেতাদের মদত না থাকলেও ওই অফিসার এ ধরনের অনিয়ম করার সাহস পেতেন না। গুরুতর এই অভিযোগ নিয়ে থানায় এফআইআর করা হোক।
মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ অবশ্য বলেন, অনিয়মের অভিযোগ উঠতেই রাজ্য সরকার তদন্তে নেমেছে। কাজেই অশোকবাবুর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাই না। রাজনৈতিক জমি আলগা হওয়ায় সিপিএমের ওই নেতা আবলতাবল বকছেন।