প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
এদিন জমায়েত করে গ্রামবাসীরা দাবি করেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে তাঁরা তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। স্বাস্থ্যকর্মীরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বর্তমানে যেখানে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র অবস্থিত, তার খানিক দূরেই উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত নতুন ভবন বানানো হয়েছে। সেখানেই কাজ চলবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
এবিষয়ে মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সুরাইয়া বিবির পক্ষে তাঁর স্বামী জামিরুল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ঠিক না থাকায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।
পুরাতন মালদহের বিএমওএইচ সৌভিক দাস এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, বিনা পরিকল্পনায় ব্লক প্রশাসন বা বিএমওএইচ কোনও কাজ করছেন না। সবকিছু পরিকল্পনা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার জন্যই করা হচ্ছে। একই এলাকার মধ্যে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থাকছে। সেক্ষেত্রে এটি স্থানান্তরিত করা হচ্ছে, এমনটা বলা যায় না।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, কামঞ্চ গ্রামের এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দুই দশকেরও বেশি পুরনো। সেখান থেকে প্রায় ৩০০০ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি প্রশাসন সেই গ্রাম থেকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সরিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম কালুয়াড়িতে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে। সেখানে সেজন্য ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সরাতে দেবেন না। তাহলে এলাকার প্রসূতি ও মায়েদের চিকিৎসা পরিষেবায় সমস্যা হবে।
এলাকার বাসিন্দা পুলেন রাজবংশী বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। সেখানে এলাকার মা-বোনরা চিকিৎসা পরিষেবা পান। এটি স্থানান্তরিত করা হলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের অন্য গ্রামে যেতে হবে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা তা স্থানান্তরিত করতে দেব না।
স্থানীয় মহিলা কাকলি রবিদাস বলেন, অসুখ বিসুখ হলে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পাই। এখন থেকে আমাদের দূরে যেতে হবে। আমরা তাহলে তো আর সুষ্ঠু পরিষেবা পাব না!