প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক দিন ধরেই ওই কালভার্টের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোও হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে কালভার্টের একটি অংশ ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। এখন গোটা কালভার্টটিই ভেঙে পড়ায় স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার ফলে যে মানুষের অসুবিধা হচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আজাহারউদ্দিন। তিনি বলেন, ওই রাস্তাটি পূর্তদপ্তর দেখে। কালভার্টটি দ্রুত মেরামতের জন্য আমি জেলাশাসককে জানিয়েছি।
তৃণমূল কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, শুধু মের্ধাবস্তি নয়, চোপড়ার অনেক এলাকায় জল ঢুকেছে। বেশ কয়েকটি কালভার্ট ভেঙে গিয়েছে। হাঁসখালিতেও একটি কালভার্ট ভেঙেছে। বিডিও অফিসে ও পিডব্লুডি দপ্তরে ফোন করেছি। তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি। পরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ফোন করে এলাকার পরিস্থিতি জানিয়েছি। তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় বিডিও জুনেইদ আহম্মেদ ফোন ধরেননি। তবে মহকুমা শাসক অলঙ্কৃতা পান্ডে বলেন, ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নারায়ণপুর ও মের্ধাবস্তি এলাকার মাঠ ও কৃষিজমিতে জমা জল ওই খাঁড়িটি দিয়ে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী ডক নদীতে গিয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়তি জলের চাপে কালভার্টটি ভেঙে গিয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই দাসপাড়া, কাঁচাকালী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ চোপড়ার বিডিও অফিস, থানা, বিএলআরও অফিস সহ বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই রাস্তা দিয়েই চোপড়ায় এসে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর থেকে বাস ধরে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার মধ্যে থাকা কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার ফলে গোটা ব্লকের বাসিন্দারই সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে এদিন ভোর থেকে টানা বৃষ্টির জেরে ইসলামপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের মিশনপাড়ার কিছু অংশ, মেলামাঠ সংলগ্ন এলাকা, শান্তিনগর, পুরাতনপল্লি, আশ্রমপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে।