প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
এব্যাপারে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরীক্ষা নিয়ামক বিনয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাঁচেই আমরা পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা কমিয়েছি। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে থেকে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র অনলাইনে আপলোড করতে হবে। তবে এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনও চিঠি আমরা বুধবার পর্যন্ত পাইনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক এবং স্নানকোত্তরের খসড়া পরীক্ষাসূচী প্রকাশ করেছে। পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই রুটিন অনুযায়ী ৫ অক্টোবর থেকে স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ওই সময়সীমার মধ্যে পূর্বে অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রছাত্রীদেরও পরীক্ষা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, স্নাতকোত্তর স্তরের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে ২ অক্টোবর। তা চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। স্নাতকোত্তর স্তরে প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমেস্টারে অকৃতকার্য হয়েছিলেন এমন ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা হবে ৮-১০ অক্টোবরের মধ্যে। স্নাতকোত্তরের চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে ১৩-১৮ অক্টোবরের মধ্যে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির এক সদস্য বলেন, এদিনের বৈঠকে উত্তরপত্র আপলোডের সময়সীমা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এরজন্য পরীক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না। সেই কারণে এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে অফলাইনে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তিনটি কেন্দ্র চালু করা হবে। স্নাতক স্তরের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজে গিয়ে উত্তরপত্র জমা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ স্ক্যান করে উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠাবে। পরীক্ষার্থীরা এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র জমা দিচ্ছে কি না, তার প্রমাণ রাখতে একটি করে টোকেন দেওয়া হবে। ওই টোকেনে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার তারিখ এবং সময় উল্লেখ থাকবে। সেই টোকেনও স্ক্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কলেজগুলি পাঠাবে। ইউজিসি’র নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার কোনও মূল্য থাকবে না। সেই কারণে বিষয়টি নিয়ে আমরা সাবধানে পা ফেলতে চাইছি।