প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালুরঘাট থেকে গাজোল যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কের অধিকাংশ স্থানই নির্জন থাকে। পুলিসের নজরদারিও থাকে না। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা মাঝেমধ্যেই হামলা চালায়। এদিকে সোমবারই যাত্রী সেজে বাসে উঠে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে একটি বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই টনক নড়েছে পুলিসের।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, ময়নাগুড়িতে বাস ডাকাতির ঘটনার পর সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় সড়কে টহলদারির মাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেকটি থানা ও ফাঁড়ির পুলিসরা নিজের নিজের এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি বিশেষ মোবাইল ভ্যানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেই ভ্যানগুলি সন্ধ্যের পর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ছে। নাকা চেকিং চালানো হচ্ছে। বাস ছাড়ার আগে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী বাসের যাত্রী অনুপ দত্ত বলেন, পুলিসের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিস যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই ভালো। বালুরঘাট থেকে নাইট সার্ভিসের অনেক বাস কলকাতা যায়। কিন্তু কলকাতা যাওয়ার সময় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে তো লোকজন বা যানবাহন আরও কমে গিয়েছে। তবে পুলিস যদি নিয়মিত টহল দেয়, তবে আমরা অনেক নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে যে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক গিয়েছে, সেটি ধরেই বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী রাতের বাসগুলি চলাচল করে। রাতের বাসযাত্রার সময়ে যাত্রীরা আতঙ্কেই থাকেন। বিশেষ করে বালুরঘাটের চোদ্দ মাইল এলাকার এক্ষেত্রে বিশেষ দুর্নাম রয়েছে। ওই এলাকা একদমই নির্জন থাকে। পুলিসের দেখাও মেলে না বলে অভিযোগ। সেই সুযোগে চোদ্দ মাইল এলাকায় এর আগে একাধিক দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিসও উদ্বেগে রয়েছে। এরই মধ্যে দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে ময়নাগুড়ির ঘটনা। জেলার পুলিস প্রশাসন চাপে পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বোল্লা থেকে গঙ্গারামপুরের একাধিক স্থানকে সেজন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকা গুলিতে মোবাইল ভ্যান রাখা হয়েছে। সেগুলি অন্ধকার হতে না হতেই টহলদারি শুরু করে দিচ্ছে। জেলা পুলিস প্রশাসনের দাবি, যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে সর্বদা তৎপর রয়েছে তারা।