প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পুলিস এবং গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আল কায়দা জঙ্গি আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যরা নাশকতার ছক কষার পাশাপাশি যুবকদের মগজধোলাই করত। শিক্ষিত যুবকদের দলে টানার জন্য তারা মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় জাল বিছিয়েছিল। মুর্শিদাবাদ লাগোয়া মালদহের বেশ কয়েকজনের সঙ্গেও আবু সুফিয়ান এবং তার দলবলের যোগাযোগ ছিল। তারা গঙ্গার পারলালপুর-পারদেওয়ানপুর ঘাট হয়ে দুই জেলার মধ্যে যাতায়াত করত। কয়েকজন আবার ফেরিওয়ালা এবং রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের ছদ্মবেশে বৈষ্ণবনগর থেকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গি ডেরায় যেত। পরিবারের সদস্যরাও তাদের গতিবিধি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারেনি। এনআইএ’র হাতে আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যরা গ্রেপ্তার হতেই মালদহের জঙ্গি মনোভবাপন্নরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। এমনকী মুর্শিদাবাদে অভিযানের পর সেখানকার ঘাঁটিগুলিতে জঙ্গিরা আর থাকার সাহস পাচ্ছে না। তারাও গঙ্গা পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা মালদহে আশ্রয় নিতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। তারা আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলেও গোয়েন্দাদের দাবি। এনআইএ’র পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বর্তমানে মালদহের উপর কড়া নজর রেখেছে। এক গোয়েন্দা কর্তা বলেন, অর্থের জোগান পেতে এবং দল ভারী করার জন্য জঙ্গিরা নতুন নতুন লোকজনকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত যুবকদের বেশি করে টার্গেট করা হয়। উচ্চশিক্ষিতরা চালাকচতুর হওয়ায় দ্রুত প্রশিক্ষণ পর্ব সারা যায়। তাছাড়া শিক্ষিত যুবকদের দেখে অন্যান্যরাও সহজেই জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
মুর্শিদাবাদে ধৃত জঙ্গিরা বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত। তাদের সঙ্গে জড়িত লোকজনও সাধারণ মানুষের নজর এড়াতে নানা পেশার সঙ্গে নামকা ওয়াস্তে যুক্ত থাকে। সেই পেশার নাম করেই বাড়ি থেকে বের হয়ে জঙ্গি ডেরায় গিয়ে উপস্থিত হয়। সংগঠনের নামে ওঠা চাঁদার টাকায় তাদের সংসার চলে। সাধারণ মানুষও সরল বিশ্বাসে তাদের চাঁদা দেন। ওই ধরনের কোনও লোক বর্তমানে বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে কি না, তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। এব্যাপারে কিছু তথ্যও আমাদের হাতে এসেছে। তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।