ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
তাঁর সাফ কথা, কংগ্রেসের এই নেতৃত্ব ২০২৪ সালের ভোটে দলকে ক্ষমতায় আনবে এমন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘ইন্দিরাজি, রাজীব গান্ধীরা সমালোচনা শুনতেন। কোনও কিছুতে না করলেও, খারাপভাবে নিতেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে দলের কোনও কথায় না বললেই গুরুত্বহীন করে দেওয়া হচ্ছে।’ গুলাম নবি আজাদ যেমন বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন, তেমনি তাঁর ঘনিষ্ঠ উপত্যকার ২০ জন কংগ্রেস নেতা দল ছেড়েছেন।
ফলে উপত্যকায় অশনিসঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাই আজাদকে এআইসিসির গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি (সিইসি)র সদস্য করা হতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে। কমিটির অন্যতম সদস্য অস্কার ফার্নাণ্ডেজ সম্প্রতি প্রয়াত। তাঁর জায়গায় গুলাম নবি আজাদকে আনা হতে পারে। সিইসির কাজ হল, রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করা।
তবে কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁকে যতই ধরে রাখার চেষ্টা করুক, আজাদের আচরণ এবং মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমপিদের মেয়াদ শেষের এক মাস পর দিল্লিতে সরকারি বাংলো বা ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হয়। আজাদ গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যসভা থেকে অবসর নিয়েছেন। তাও এখনও ৫ সাউথ এভিনিউ লেনের বাংলোয় রয়েছেন। বাজারদরে ভাড়া দিচ্ছেন। তাহলে? নরেন্দ্র মোদির কোনও প্রচ্ছন্ন প্রশয় কি নেপথ্যে কাজ করছে? আজাদকে কি জম্মু-কাশ্মীরের আগামী বিধানসভার ভোটে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা হতে পারে। কিন্তু বিজেপিতে কি যোগ দেবেন আজাদ? নাকি নিজেই নতুন দল তৈরি করে বিজেপির সমর্থন নেবেন? উঠছে প্রশ্ন। যদিও এখনই নতুন কোনও দল খুলছেন না বলেই জানিয়েছেন আজাদ। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, বলা মুশকিল, বলেও মন্তব্য জুড়েছেন। রাজনৈতিক মহলে এমনও খবর, আজাদের সঙ্গে নিঃশব্দে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূল। যদিও আজাদ কিংবা তৃণমূল, কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না। তবে রাজ্যসভায় দলের বর্তমান কোনও এমপিকে অবসর করিয়ে আজাদকে সেই জায়গায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে।