বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের অধীনস্থ ইএসআই কর্পোরেশনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিস বন্ধ। বন্ধ যাবতীয় শাখা অফিসও। ফলে ‘কোভিড ১৯’ আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যের প্রায় ১৯ লক্ষ ইএসআই উপভোক্তা এবং তাঁদের পরিবার মিলিয়ে এক কোটি মানুষ এখন চূড়ান্ত বেকায়দায়।
নয়াদিল্লি, ৩১ মার্চ (পিটিআই): দেশে করোনা সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে রাজধানী দিল্লি। নিজামুদ্দিনে একটি ধর্মীয় সভার বিষয়টি সামনে আসায় সেই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে তবলিগ-ই-জামাতের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ১০ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এসেছে। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তেলেঙ্গানায়। তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং জম্মু ও কাশ্মীরে একজন করে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গত ২২ মার্চ মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছে এক ফিলিপিন্সের বাসিন্দার। মঙ্গলবার দিল্লিতে সভায় হাজির থাকা ২৪ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার জেরে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২০। ওই সভায় যাওয়া তামিলনাড়ুর ৫০ জন বাসিন্দার দেহেও করোনা ধরা পড়েছে। গতকাল অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই নিজামুদ্দিনে উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ওই ধর্মীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন ৭৩ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বাকিদের খোঁজ চলছে।
নয়াদিল্লি, ৩১ মার্চ: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের সাত দিনের মাথায় দেশজুড়ে নতুন করে আক্রান্ত হলেন ২২৭ জন। মোট আক্রান্ত ৩০২জন।
তিরুবনন্তপুরম, ৩১ মার্চ: মারণ করোনাকে গোহারা হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন কেরলের ৯৩ এবং ৮৮ বছর বয়সি এক দম্পতি। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা এই তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মৃত্যুর মুখ থেকে ওই প্রবীণ দম্পতিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
প্রাকৃতিক উপাদানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ঘরোয়া দাওয়াই আজও সমানভাবে কাজে দেয় বলেই মনে করে মন্ত্রক। তাই পদ্মভূষণ প্রাপ্ত দেবেন্দ্র ত্রিগুণা, রামদেবের সহকর্মী আচার্য বালকৃষ্ণ, বারাণসীর কে এন দ্বিবেদি, কলকাতার অবিচল চট্টোপাধ্যায়ের মতো ১৬ জন বিশিষ্ট কবিরাজের পরামর্শ অনুযায়ী দাওয়াই দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও এটি কোনওভাবেই করোনার চিকিৎসা নয় বলেই বার বার জানানো হয়েছে।
শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি লকডাউন পর্বে যোগাভ্যাসে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোজই তিনি একটি করে যোগাসনের ভিডিও আপলোড করছেন। সেই পথ অনুসরণ করেই এবার এগিয়ে এল আয়ূশ মন্ত্রক। সরকারিভাবে মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলার এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে পরষ্পরে দূরত্ব বজায় তো রাখতে হবেই, একইসঙ্গে বাড়াতে হবে ইমিউনিটি। তাই মন্ত্রকের দাওয়াই, সারাদিন উষ্ণ জল খান। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা যোগাসন আর প্রাণায়ম করুন। রান্নায় দিন হলুদ, রসুন, জিরে, ধনে।
সাধারণ এই অভ্যাসের পাশাপাশি আয়ুর্বেদের মতানুসারে প্রতিদিন সকালে ১০ গ্রাম চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা অবশ্যই সুগার ফ্রি চ্যবনপ্রাশ খাবেন। এছাড়া ভেষজ চা। তুলসী, দারচিনি, কালো মরিচ, শুকনো আদা আর কিসমিশ মিশ্রণের রস তৈরি করে পান করুন দিন এক থেকে দু’বার। চাইলে এই মিশ্রণের সঙ্গে স্বাদ মতো লেবু আর চিনিও মেশানো যেতে পারে।
