শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, নিজেরাই কাউকে টাকা দিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে। বলছে— ছেলেধরা এসেছে, চোর এসেছে। এরপরেই এলাকার মানুষ উন্মত্ত হয়ে ওই লোককে গণপিটুনি দিচ্ছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, এখানে তো একটা সরকার আছে। এখানে দিল্লির সরকার নয়, মা-মাটি-মানুষের সরকার চলছে। আমার পুলিস আছে, গুজবে কান দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেন, এগুলো মিথ্যা কুৎসা, এগুলো অপপ্রচার, এগুলো চক্রান্ত, এগুলো রাজনীতির ভাঁওতা। সারা বছর এদের পাবেন না। এরা বসন্তের কোকিলের মতো নির্বাচনী কোকিল। নির্বাচন এলে হিন্দু মুসলমান করে। আর সারা বছর মানুষকে খেতে দেয় না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সব করব, কিন্তু, আগুন জ্বালাতে দেব না। তিনি বলেন, কয়েকটা উগ্র উন্মাদ ছেড়ে দিয়ে ওরা মারছে, ভেদাভেদ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাই ওদের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেন্দ্রে ভিক্ষা চাই না। তাই বিজেপি আপনাদের ছবি লাগিয়ে শস্যবিমার যে কার্ড পাঠাচ্ছে, তা ফেলে দিন। আগেই আমরা বিনা খরচে আপনাদের শস্য বিমার ব্যবস্থা করেছি।
আলু চাষিদের সমস্যা নিয়েও যে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন, তাও হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রাজ্যে এবার আলুর ব্যাপক ফলন হবে। সেকথা মাথায় রেখে তিনি বলেন, আলু ওঠার সময় চাষিদের লোকসানের কথা ভেবে ১০ লক্ষ টন আলু কিনবে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্যে উৎপাদিত আলু যাতে বাইরের রাজ্যে বা দেশে পাঠানো যায়, সেজন্য জুন মাস থেকে পরিবহণেও ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার। তিনি আরও বলেন, এজন্য আলু কিনতে ৫৫০ কোটি ও পরিবহণ বাবদ আরও ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে। রাজ্যের ভাঁড়ারে টাকার সঙ্কট সত্ত্বেও চাষিদের কথা ভেবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগেই আমরা কৃষিজমির খাজনা মকুব করার কথা ঘোষণা করেছিলাম। গতকাল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কৃষিজমির মিউটেশনের জন্যও আর মানুষকে কোনও টাকা দিতে হবে না। আমি কৃষকদের কথা ভাবি বলেই সিঙ্গুরে দীর্ঘ আন্দোলন করেছি। ১০ বছর ধরে লড়াই করে সিঙ্গুরের মানুষকে তাদের জমি চাষযোগ্য করে ফিরিয়ে দিয়েছি। শুধু
তাই নয়, এখনও তাঁদের চাল ও টাকা দিচ্ছি।