শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কোথাও শিশুচুরির গুজব ছড়ানো হচ্ছে, আবার কোথাও রটে যাচ্ছে, কিডনি কেটে নিতে হাজির হয়েছে একদল দুষ্কৃতী। বাড়িতে একলা থাকা মহিলা বা শিশুরাই তাদের টার্গেট। এই ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সমস্ত জেলাতেই। এর জেরে সাধারণ নিরপরাধ মানুষকে উত্তেজিত জনতার হাতে মারধর খেতে হয়েছে। যেভাবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যেই গুজবের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় চলছে প্রচার। মানুষকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি যে বা যারা এই গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
কিন্তু গুজবের উৎসস্থল কোথায়, সে বিষয়েই বেশি জোর দিয়েছেন পুলিসকর্তারা। যাতে এর শিকড় উপড়ে ফেলা যায়। এই ধরনের ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ানোর অভিযোগে যে বা যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের মোবাইল ফোনে আসা মেসেজ এবং ছবি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অফিসাররা জানতে পারছেন, সমস্ত মেসেজই একে অন্যকে ফয়োওয়ার্ড করা। সিংহভাগের কাছেই রয়েছে দু’ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ। যাতে বাড়ি থেকে কিডনি কেটে নিয়ে যাওয়া এবং ছেলেধরা চক্রের গুজব ছড়ানো হয়েছে। উত্তেজনা ছড়াতে বিভিন্ন ভুয়ো ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পাঁচশো লোক ভিখারির বেশে ঘুরছে। মানুষকে একলা পেলেই উপড়ে নিচ্ছে হার্ট আর কিডনি। এর উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, সমস্তটাই আসছে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে। এখানকার নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী এই কাজে জড়িত। তারা ভুয়ো অডিও -ভিডিও বার্তা তৈরি করছে। বাইরের দেশের কোনও ঘটনা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। যার সঙ্গে রাজ্য বা দেশের কোনও সম্পর্কই নেই। যারা এই কাজগুলি করছে, তাদের সঙ্গে একটি দলের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের বড় মাথারাও এই কাজে জড়িত আছেন বলে শোনা যাচ্ছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ধরনের গুজব ছড়ানোর পিছনে ওই দলের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। জেনেবুঝেই এ রাজ্যে এই সমস্ত বার্তা পাঠানো হচ্ছে। যাতে হিংসার পরিবেশ তৈরি করা যায়।
বিহার ও উত্তরপ্রদেশের কোথায় এগুলি তৈরি হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই ট্র্যাক করে ফেলেছেন গোয়েন্দারা। কারা এর পিছনে রয়েছে, তাদের নামও হাতে এসেছে। তার ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্টদের কাজকর্মের উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের কাজ। যাতে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।