ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
জেলার বাসিন্দারা চাইছেন, উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। জেলাবাসীদের এই দাবির কথা তিনি পার্লামেন্টে তুলে ধরলে রেলমন্ত্রীর কানেও এই আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়টি নজরে পড়বে। এই রেল পথ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বিশেষ করে দুই দেশের যোগাযোগের দারুণ উন্নতি হবে। এলাকার ভোল বদলে যাবে। হবিবপুর সিঙ্গাবাদ, পুরাতন মালদহ সদরঘাট, বুলবুলচণ্ডী সহ সীমান্তবর্তী একাধিক রেল স্টেশনের গুরুত্ব বাড়বে। ওই গ্রামগুলিরও উন্নতি হবে। উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, সিঙ্গাবাদ স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ গড়ে উঠলে খুব ভালো হবে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি ঘটবে। জেলার মানও বাড়বে। সবদিকে সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি অবশ্যই ভাবব। জেলাবাসীদের এই দাবির কথা আমি অবশ্যই পার্লামেন্টে তুলে ধরব।
হবিবপুরের বাসিন্দারা বলেন, এখন সন্ধ্যা বেলায় এই বুলবুলচণ্ডী রেলপথ দিয়ে সোজা সিঙ্গাবাদ হয়ে বাংলাদেশে বহু মালগাড়ি যায়। এই পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। কারণ এই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করলে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হবে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার হবে। এই পথে খুব কম খরচে বাংলাদেশ যাওয়া যাবে। জেলার ব্যবসায়ীরাও বলেন, মালগাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি এখান দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করলে জেলার অর্থনীতিতেও পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশের পর্যটকরা জেলায় এলে এখানে গৌড়, পাণ্ডুয়া, আদিনাকে ঘিরে পর্যটক বিকাশেরও নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। এই বিধানসভা এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের ভূপেন্দ্র নাথ হালদার বলেন, আমরা আগেই ভেবেছি, সিঙ্গাবাদ দিয়ে বৈধভাবে প্রতিবেশী বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ আমাদের জেলাবাসীদের রয়েছে। রেলমন্ত্রকের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরীকে এই পুরাতন মালদহ সদরঘাট ও সিঙ্গাবাদ স্টেশনের কথা বলেছিলাম। আমাদের চেষ্টা চলছিল। তাঁর উদ্যোগেই ব্রিটিশ আমলের মৃতপ্রায় সদরঘাট রেল স্টেশনের কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে। সিঙ্গাবাদ হয়ে বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ব্যাপারে অধীরবাবু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কেন্দ্রে অন্য সরকার আসায় সে কাজ আর এগয়নি। সিঙ্গাবাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দাবি আমাদের থাকছেই।