ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
কোচবিহার বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর বিপ্লব মণ্ডল বলেন, বেসরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা এখান থেকে বিমান নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানটি এখান থেকে উড়বে বলে ঠিক হয়েছে।
এমপি বলেন, রাজ্য সরকার তো এটাই চাইছিল যাতে এখানে বিমান পরিষেবা চালু না হয়। বেসরকারি বিমান সংস্থার লাভ-লোকসানের ব্যাপার রয়েছে। আমি তাদের এখানে বিমান রাখার জন্য বাধ্য করতে পারি না। তারা এতদিন পর্যন্ত এখানে বিমানটি রেখেছিল সেটাই বড় বিষয়। পরবর্তীতে সম্ভব হলে তারা নিশ্চয় আসবে এবং পরিষেবায় যুক্ত হবে। রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অসহযোগিতার কারণে এটা হল। পরবর্তীতে ফের চেষ্টা করব।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, এমপি কী বলছেন সেবিষয়ে জানা নেই। এখানে বিমান এসেছে রাজ্য সরকার জানত না। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে কেন্দ্র রাজ্যকে জানাতে পারত। আমাদের সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে চাইছে কোচবিহার থেকে কলকাতার বিমান পরিষেবা চলু হোক। কেন্দ্র সরকার যত দ্রুত সম্ভব তা চালু করুক। রাজ্য তাতে সহযোগিতা করব।
এই বিষয়ে জানতে বেসরকারি ওই বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের আধিকারিক ফোন রিসিভ করেননি।
২৭ জুলাই কোচবিহার বিমানবন্দরে এই বিমানে চেপে এসেছিলেন নিশীথবাবু। তিনি সেদিন ঘোষণা করেছিলেন,এই বিমানটি কোচবিহার থেকে সকালে গুয়াহাটি যাবে। সেখান থেকে কোচবিহার আসবে। এরপর কোচবিহার থেকে বাগডোগরায় যাবে। সেখান থেকে কোচবিহারে ফিরে এসে রাতে এখানে থাকবে। এমপি’র ঘোষণার পরে স্বাভাবিকভাবেই জেলাবাসীর মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছিল। বিমানটি চালু হলে আগামী দিনে কোচবিহার-কলকাতা বিমান পরিষেবাও চালু হতে পারে এই আশায় জেলাবাসী ছিলেন। কিন্তু বিমান নামার পরেই অভিযোগ ওঠে বিমানবন্দর থেকে নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং টিম, ফায়ার ফাইটিং টিমও সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিমানটি আর উড়তে পারছিল না। প্রশাসনও মুখে কুলুপ আঁটে। পাশাপাশি তৃণমূল বার বার দাবি করে এই বিষয়ে রাজ্যকে কোনও কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে এয়ারপোর্ট অথরিটি উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রথমে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন করে। পরে ফায়ার ফাইটিং টিম আনে। কিছুদিন পরে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন হয়। কিন্তু অ্যান্টি হাইজ্যাকিং টিম না থাকায় বিমান ওড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। দিন কয়েক আগে ওই টিম ফের মোতায়ন করা হয়। ফলে এখন বেসরকারি ওই সংস্থাটির এখান থেকে বিমান নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তারা এখান থেকে বিমান নিয়ে যাবে বলে এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জানিয়েছে। বিমানটি চলে গেলে ভবিষ্যতে কবে পরিষেবা চালু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।