ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
টোটোর নম্বর প্লেটের রং কী হবে তার নমুনাও ঠিক করে ফেলেছে জেলা পরিবহণ দপ্তর। রংয়ের ওই নমুনা আজকের বৈঠকে টোটো ইউনিয়নগুলির সামনে তুলে ধরে তা চূড়ান্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, ব্যাটারিচালিত টোটোকে প্রশাসন ইতিমধ্যেই টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিন) দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের আলোচনা, নির্দিষ্ট রুট হলে পুজোর আগে টোটোর জন্য শহরে যেমন যানজট কমবে, তেমনি টোটোর দৌরাত্ম্য থেকে পথচারীরাও রেহাই পাবেন। কিন্তু জেলা সদরে কত টোটো চলবে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও ঠিক হয়নি। আজকের বৈঠকে সেই সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হতে পারে।
তবে জেলা সদরে টোটোর নির্দিষ্ট রুট বা গ্রামের টোটো শহরে ঢোকা বন্ধ হলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এখনই এমন কোন কারণ দেখছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, গ্রাম থেকে এসে শহরের অন্যত্র যেতে গেলে সেই যাত্রীদের ফের টোটো ভাড়া করতে হবে। তাতে যাত্রীদের দু’বার করে ভাড়া গুণতে হবে। এই ব্যবস্থা টোটো চালক বা যাত্রীরা কতটা মানবে তা সময়েই বলবে।
পরিবহণ দপ্তরের জেলা আঞ্চলিক অধিকর্তা প্রবীণ লামা বলেন, শহরে গ্রামের টোটো ঢোকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নির্দিষ্ট রুট ও টোটোর নির্দিষ্ট সংখ্যা না থাকার জন্য বাড়তি টোটোর কারণে শহরে যানজট হচ্ছে। এইসব সমস্যার সমাধানের জন্যই সোমবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। শহরে কত টোটো চলবে ও টোটোর রুট কী হবে তা বৈঠকে স্থির হবে। আলোচনার পরে পুজোর আগেই টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নম্বর প্লেট দেওয়ার কাজ শুরু হবে। আশা করছি, বৈঠক ফলপ্রসূ হবে।
আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ডুয়ার্স টোটো ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি গোপাল সরকার বলেন, আমরাও শহরে যানজট চাই না। কিন্তু গ্রাম থেকে পিল পিল করে আসা টোটোর জন্য শহরে যানজট হচ্ছে। শহরে টোটোর নির্দিষ্ট রুটও নেই। সেই জন্য আমরাও দীর্ঘদিন ধরে বলছি যানজট কমাতে শহরে কত টোটো চলবে তার সংখ্যা ও রুট বেঁধে দিক প্রশাসন। তাই প্রশাসনের এই বৈঠককে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
টোটো নিয়ে প্রশাসনের ডাকা আজকের এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে শহরের সব মহলই। ওয়াকিবহাল সব মহলেরই আশা, আজকের বৈঠকের পরে হয়তো শহরে টোটোর দৌরাত্ম্য কমবে।
শহরে এই মুহূর্তে পুরসভার নথিভূক্ত কত টোটো চলছে তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যানই নেই পুরসভার কাছে। তবে টোটোর পুরনো টিন নম্বরের পরিসংখ্যান মোতাবেক শহরে এই মুহূর্তে নথিভূক্ত টোটোর সংখ্যা আড়াই হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু শহরের টোটো চালক ইউনয়নগুলির অভিযোগ, আশপাশের গ্রাম থেকে প্রতিদিন শহরে আরও প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি টোটো ঢুকছে। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম থেকে আসা এই অগুনতি টোটো।
শহরবাসীরা বলেন, টোটোর এই লাগাম ছাড়া দৌরাত্ম্যে শহরের বক্সা ফিডার রোড, নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনগামী রোড, শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা চৌপথি মোড়, মায়া টকিজ রোড, প্যারালাল রোড, শামুকতলা রোড, কোচবিহার-ফালাকাটা রোড ও ঘাঘরা রোড পথচারীদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠেছে। সোমবারের বৈঠকের পর এই বিভীষিকা কতটা কাটে সেটাই এখন দেখার।