মঙ্গলবার ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন একটা সময় টিভির সুইচ বন্ধ করে দিতে ইচ্ছে করছিল। এটা কোন ইস্ট বেঙ্গল! লাল-হলুদ জার্সি গায়ে এরা কারা খেলছে? ডার্বিতে এটিকে মোহন বাগানের কাছে আত্মসমর্পণের পরেও আশায় ছিলাম, দল হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ফাতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহন বাগান ও মুম্বই সিটি এফসি। গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাণিজ্যনগরের ক্লাবটি। আর রানার্স সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
১ ডিসেম্বর, ২০০৯। প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’ওর জয়ের স্বাদ পাওয়া। তারপর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯। আরও পাঁচবার তাঁর মুকুটে জুড়েছে এই পালক। তবে প্রতিবারই ক্লাব ফুটবলের পারফরম্যান্সের বিচারে বাকিদের টেক্কা দিয়েছেন লিও মেসি।
ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
ওড়িশা এফসি-৬ : এসসি ইস্ট বেঙ্গল-৪
(রোডাস-২, জাভি, কাবরেরা-২, ইসাক) (সিডল, হাওকিপ, চিমা-২)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডার্বি হারের রেশ কাটার আগেই হাফ ডজন গোল হজম করল এসসি ইস্ট বেঙ্গল। মঙ্গলবার আইএসএলে দশ গোলের থ্রিলারে জিতল ওড়িশা এফসি। গত মরশুমেও এই দলটির কাছে ৬-৫ ব্যবধানে বশ মেনেছিল রবি ফাউলারের দল। এবার ম্যানুয়েল ডিয়াজের হাতে পড়ে আরও ম্রিয়মাণ মনে হচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ জ্বালাতে না পারলে এবারও ভবিষ্যৎ অন্ধকার পেরেসোভিচ-বিকাশ জাইরুদের। তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার দশম স্থানে ইস্ট বেঙ্গল। পক্ষান্তরে দু’টি ম্যাচে ছ’পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় ওড়িশা এফসি।
ওড়িশার জয়ের নায়ক জাভি হার্নান্ডেজ। একটি গোল করার পাশাপাশি হেক্টর রোডাসকে দিয়ে করালেন আরও দু’টি। পাশাপাশি জোড়া লক্ষ্যভেদ আরিদাই কাবরেরার। এছাড়া স্কোরশিটে নাম তোলেন ইসাক। ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল ড্যানিয়েল চিমার। অপর দুই গোলদাতা যথাক্রমে ড্যারেন সিডল ও হাওকিপ।
মঙ্গলবারের ম্যাচেও প্রথম একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন কোচ ডিয়াজ। কিন্তু এই দলের মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দিনের শুরুটা খারাপ হয়নি কলকাতার দলটির। ১৩ মিনিটে সিডলের গোলে লিড নেয় তারা। কিন্তু ক্রমশ ভুলের গোলকধাঁধায় হারিয়ে মান-সম্মান খোয়াতে বাধ্য হল এসসি ইস্ট বেঙ্গল। প্রথমার্ধের শেষ ১২ মিনিটে তিন গোল তুলে নিয়ে বিপক্ষের পায়ের তলার জমি কেড়ে নেয় ওড়িশা। এই পর্বে দু’বার জাল কাঁপান রোডাস। একবার জাভি। বলা বাহুল্য, দুর্বল দল গঠন, ফিটনেসের ঘাটতি এবং পরিকল্পনার অভাবেই লজ্জার অন্ধকারে ডুবছে কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটি। ম্যাচের ১৪ মিনিটে রাজুর লম্বা থ্রো ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি ভিক্টর মনগিল। পেনাল্টি বক্সের মাথায় বলটি পেয়ে চমৎকার শটে জাল কাঁপান সিডল (১-০)। ৩৩ মিনিটে ওড়িশাকে সমতায় ফেরান রোডাস (১-১)। মিনিট সাতেক পরে দ্বিতীয় গোল তাঁরই (২-১)। বিরতির অব্যবহিত আগে ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া জাভির বাঁপায়ে নেওয়া কর্নার সরাসরি জালে জড়ায় (৩-১)।
দ্বিতীয়ার্ধেও লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে ম্যাচে ফেরার বাড়তি তাগিদ দেখা যায়নি। ওড়িশার প্রাণভ্রমরা জাভি উঠে গেলেও সেই সুবিধা নিতে ব্যর্থ ডিয়াজ-ব্রিগেড। ৭১ মিনিটে চমৎকার ফ্রি-কিক থেকে জাল কাঁপান পরিবর্ত হিসেবে নাম আরিদা (৪-১)। এরপর গোল হজমের প্রদর্শনীতে ব্যস্ত ছিল দুই দলই। ৮১ মিনিটে হাওকিপের লক্ষ্যভেদ ব্যবধান কমায় (৪-২)। মিনিট তিনেক পরে ইসাকের প্রয়াস রুখতে ব্যর্থ শুভম সেন (৫-২)। শেষ পর্বে ড্যানিয়েল চিমার জোড়া গোল (একটি পেনাল্টি থেকে) লাল-হলুদ সমর্থকদের আশ্বস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না (৫-৩) (৫-৪)। সংযোজিত সময়ের শেষ পর্বে লাল-হলুদ কফিনে শেষ পেরেকটি পোতেন আরিদা (৬-৪)।
এসসি ইস্ট বেঙ্গল: শুভম , লরেন্সো (আদিল), রাজু, পর্চে ( মার্সেলো), লরেন্সো, রফিক, সিডল (ড্যানিয়েল চিমা), আমির (কিয়াম), বিকাশ, নাওরেম, পেরোসেভিচ (হাওকিপ)।
(রোডাস-২, জাভি, কাবরেরা-২, ইসাক) (সিডল, হাওকিপ, চিমা-২)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডার্বি হারের রেশ কাটার আগেই হাফ ডজন গোল হজম করল এসসি ইস্ট বেঙ্গল। মঙ্গলবার আইএসএলে দশ গোলের থ্রিলারে জিতল ওড়িশা এফসি। গত মরশুমেও এই দলটির কাছে ৬-৫ ব্যবধানে বশ মেনেছিল রবি ফাউলারের দল। এবার ম্যানুয়েল ডিয়াজের হাতে পড়ে আরও ম্রিয়মাণ মনে হচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ জ্বালাতে না পারলে এবারও ভবিষ্যৎ অন্ধকার পেরেসোভিচ-বিকাশ জাইরুদের। তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার দশম স্থানে ইস্ট বেঙ্গল। পক্ষান্তরে দু’টি ম্যাচে ছ’পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় ওড়িশা এফসি।
ওড়িশার জয়ের নায়ক জাভি হার্নান্ডেজ। একটি গোল করার পাশাপাশি হেক্টর রোডাসকে দিয়ে করালেন আরও দু’টি। পাশাপাশি জোড়া লক্ষ্যভেদ আরিদাই কাবরেরার। এছাড়া স্কোরশিটে নাম তোলেন ইসাক। ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল ড্যানিয়েল চিমার। অপর দুই গোলদাতা যথাক্রমে ড্যারেন সিডল ও হাওকিপ।
মঙ্গলবারের ম্যাচেও প্রথম একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন কোচ ডিয়াজ। কিন্তু এই দলের মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দিনের শুরুটা খারাপ হয়নি কলকাতার দলটির। ১৩ মিনিটে সিডলের গোলে লিড নেয় তারা। কিন্তু ক্রমশ ভুলের গোলকধাঁধায় হারিয়ে মান-সম্মান খোয়াতে বাধ্য হল এসসি ইস্ট বেঙ্গল। প্রথমার্ধের শেষ ১২ মিনিটে তিন গোল তুলে নিয়ে বিপক্ষের পায়ের তলার জমি কেড়ে নেয় ওড়িশা। এই পর্বে দু’বার জাল কাঁপান রোডাস। একবার জাভি। বলা বাহুল্য, দুর্বল দল গঠন, ফিটনেসের ঘাটতি এবং পরিকল্পনার অভাবেই লজ্জার অন্ধকারে ডুবছে কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটি। ম্যাচের ১৪ মিনিটে রাজুর লম্বা থ্রো ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি ভিক্টর মনগিল। পেনাল্টি বক্সের মাথায় বলটি পেয়ে চমৎকার শটে জাল কাঁপান সিডল (১-০)। ৩৩ মিনিটে ওড়িশাকে সমতায় ফেরান রোডাস (১-১)। মিনিট সাতেক পরে দ্বিতীয় গোল তাঁরই (২-১)। বিরতির অব্যবহিত আগে ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া জাভির বাঁপায়ে নেওয়া কর্নার সরাসরি জালে জড়ায় (৩-১)।
দ্বিতীয়ার্ধেও লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে ম্যাচে ফেরার বাড়তি তাগিদ দেখা যায়নি। ওড়িশার প্রাণভ্রমরা জাভি উঠে গেলেও সেই সুবিধা নিতে ব্যর্থ ডিয়াজ-ব্রিগেড। ৭১ মিনিটে চমৎকার ফ্রি-কিক থেকে জাল কাঁপান পরিবর্ত হিসেবে নাম আরিদা (৪-১)। এরপর গোল হজমের প্রদর্শনীতে ব্যস্ত ছিল দুই দলই। ৮১ মিনিটে হাওকিপের লক্ষ্যভেদ ব্যবধান কমায় (৪-২)। মিনিট তিনেক পরে ইসাকের প্রয়াস রুখতে ব্যর্থ শুভম সেন (৫-২)। শেষ পর্বে ড্যানিয়েল চিমার জোড়া গোল (একটি পেনাল্টি থেকে) লাল-হলুদ সমর্থকদের আশ্বস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না (৫-৩) (৫-৪)। সংযোজিত সময়ের শেষ পর্বে লাল-হলুদ কফিনে শেষ পেরেকটি পোতেন আরিদা (৬-৪)।
এসসি ইস্ট বেঙ্গল: শুভম , লরেন্সো (আদিল), রাজু, পর্চে ( মার্সেলো), লরেন্সো, রফিক, সিডল (ড্যানিয়েল চিমা), আমির (কিয়াম), বিকাশ, নাওরেম, পেরোসেভিচ (হাওকিপ)।
