দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কিন্তু এবারের ইস্ট বেঙ্গলের সমস্যা হল যোগ্য লিডারের অভাব। গতবার আলেজান্দ্রোর কোচিংয়ে ইস্ট বেঙ্গল শেষ ল্যাপ পর্যন্ত ছিল খেতাবি দৌড়ে। গোটা আই লিগে বোরহা ফার্নান্ডেজ পিছন থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পিছন থেকে চমৎকার গাইড করতেন দলকে। জনি অ্যাকোস্টার সঙ্গে তাঁর তালমিল গড়ে উঠেছিল। সেই বোরহা এবার আনফিট। লিগে অভিযান শুরু করার ১৮ দিনের মধ্যে ইস্ট বেঙ্গলকে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। হাঁটুর অপরারেশন করিয়ে বোরহা আসছেন ১ ডিসেম্বর। কলকাতায় এসে তিন সপ্তাহের মধ্যে রি-হ্যাব করে দলে ফিট হওয়া বেশ মুশকিল। লিগে অভিযান শুরু করার পর প্রথম ১৮ দিন ইস্ট বেঙ্গলকে কল্যাণী, চণ্ডীগড়, ইস্ফল, কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে হবে। ডার্বির মুখে ক্লান্তি তাই ইস্ট বেঙ্গলে বড় ফ্যাক্টর। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোরহা থাকছেন না। অপর বিদেশি স্টপার ক্রেসপি একটু নরম ধরনের। আর গতবার ইস্ট বেঙ্গলের এক নম্বর স্ট্রাইকার এনরিকের সঙ্গে অনেক ফারাক এবারের স্ট্রাইকার মার্কোসের। আলেজান্দ্রো বলছেন, ‘নতুন স্প্যানিশ গ্রুপটি কলকাতা লিগে জল-কাদার মাঠে খেলতে পারেনি। এখন চমৎকার মাঠ পাবে। তাই আই লিগে অন্য ইস্ট বেঙ্গলকে দেখবেন।’
ঘটনা হল, ইস্ট বেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেডে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় আছেন। তবে তাঁদের গাইড করার জন্য মেহতাব হোসেন বা রহিম নবির মতো কোনও সিনিয়র নেই। অভিজিৎ সরকার, মেহতাব সিং, নাওরেম খুবই প্রতিভাবান। কিন্তু প্রথম পাঁচটি ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গল পয়েন্ট নষ্ট করলে চাপে পড়ে যাবে। প্রথম ম্যাচ আইজলে খেললেও মোহন বাগান পরবর্তী তিনটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাবে। ডার্বিতে কিবুর দল লাল হলুদের চেয়ে থাকবে তরতাজা। ইস্ট বেঙ্গল এবারের লিগে কতটা আলো ছড়াতে পারবে তা নির্ভর করছে কাসিম আইদারার উপর।