দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এবার কলকাতা লিগে খেতাবি দৌড়ে ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। ময়দানী ফুটবলের মরা গাঙে একপ্রকার জোয়ার এনেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। দুই প্রধানের শক্তি ও দুর্বলতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রাক্তন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির এই ক্যাডেট বলেন, ‘দুই বড় ক্লাবেরই রক্ষণের পাশাপাশি মাঝমাঠেও দুর্বলতা রয়েছে। তা শোধরাতে রাতারাতি ফুটবলার পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। কোচের স্ট্র্যাটেজি এবং প্ল্যানিংয়ের মধ্যে দিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এবারই মনে করে দেখুন, কলকাতা লিগে ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে একসময় দশজনের মহমেডান স্পোর্টিং প্রায় গোল করে ফেলেছিল। তাহলে বুঝুন, লাল-হলুদ রক্ষণের দশা! কলকাতা লিগে খেলা দুই বড় ক্লাবের স্কোয়াডই প্রায় অটুট রয়েছে। সেই সেটই তো খেলবে আই লিগে।’
দুই প্রধানে এবার বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা কম। যা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে দুই প্রধানের কাছে অন্যতম প্রতিবন্ধক, এমনটাই ধারণা দীপেন্দুর। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর বিশ্লেষণ, ‘ডেম্পো টানা পাঁচবার আই লিগ জিতেছে। সেই দলে র্যান্টি মার্টিন্সের মতো তারকা স্ট্রাইকার থাকলেও অনেক গোয়ানিজ ফুটবলার ছিল। আবার মনে করে দেখুন, আইজল যেবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খালিদ জামিলের কোচিংয়ে সেবারও সেই দলে মিজোরামের অনেক পাহাড়ি ফুটবলার ছিল। দলে এমন কম্বিনেশন থাকলে বোঝাপড়া ভালো হয়। অতীতে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান যখন আই লিগ জিতেছে তখনও সেই দলে বাঙালি কোচ ও ফুটবলারদের প্রাধান্য ছিল। এখন তো ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগানে বাঙালি ফুটবলার দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়।’ দুই প্রধানের বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে মোহন বাগানের মিডফিল্ডার হোসেবা বেইতিয়া ও ইস্ট বেঙ্গলের অ্যাটাকার হাইমে স্যান্টোস কোলাডোকে মনে ধরেছে দীপেন্দু বিশ্বাসের। বলছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, এই প্রথম দেখছি দুই প্রধানে ম্যাচ উইনার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাও চোখে পড়ার মতো ফুটবল খেলছে বেইতিয়া ও কোলাডো। যাদের খেলায় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য রয়েছে। আই লিগে গোকুলাম, নেরোকা, ট্রাউয়ের মতো দলগুলো আরও তুখোড় হোমওয়ার্ক করে খেলতে নামবে। ফলে দুই প্রধানের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’