দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
এবারের মোহন বাগান দলে আছেন ছয় জন বিদেশি। যাঁর মধ্যে সালভা চামারো ছাড়া সকলেই প্রথম একাদশে থাকতে পারেন। শুক্রবারের প্র্যাকটিস যদি ইঙ্গিত হয় তবে শিলটন পালের খেলার সম্ভাবনাই কিঞ্চিৎ বেশি। দেবজিৎ মজুমদারকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্র্যাকটিসে। কিবু সিদ্ধান্ত নেবেন ব্রেকফাস্ট টেবলে। পাঁচ বিদেশির মধ্যে ড্যানিয়েলের সঙ্গে কোচকে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলতে দেখা যায়। দুই সাইড ব্যাকে খেলবেন চুলোভা ও গুরজিন্দর সিং। মোহন বাগান কোচ দুই উইং প্লে’র উপর জোর দিচ্ছেন। তাই তিনি ব্রিটো আর জুলেন কলিনাসকে উইংয়ে খেলাতে পারেন। মাঝখানে সাহিল ও বেইতিয়া। সামনে সুহেরের সঙ্গী কে হবেন তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। যদিও রাতের টিম মিটিংয়ে সদ্য চোট কাটিয়ে ওঠা সালভাকে আপফ্রন্টে প্রথম একাদশে রাখা হবে কি না তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সালভা অবশ্য দুটি প্র্যাকটিস সেশনেই ছিলেন চনমনে। শেষ পর্যন্ত সালভা না খেললে মুনোজ আসবেন মাঝমাঠে। শনিবার নাওরেমকেও ব্যবহার করবেন স্প্যানিশ কোচ।
মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা বলেন, ‘আমার দল আই লিগে ভালো খেলার জন্য তৈরি। আমরা পাঁচ মাস একসঙ্গে আছি। মাঝে মাত্র দশ দিনের ব্রেক ছিল। তিনটি ট্রফিতে আমরা অল্পের জন্য ব্যর্থ হয়েছি। এবার নিশ্চয়ই আমরা সফল হব। তবে প্রথম ম্যাচ সবসময়ে কঠিন হয়। শনিবার প্রতিপক্ষ দলে মাত্র দুই বিদেশি থাকলেও ওদের আমি হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। প্রথম ২০ মিনিট সতর্ক থাকতে হবে। মাঠে আইজলের প্রচুর সমর্থক থাকবে। এখানে ছেলেদের ফোকাস ঠিক রাখতে হবে।’
মোহন বাগানের জয়ের পথে কাঁটা হতে পারেন আইজলের কোচ স্ট্যানলি রোজারিও। তিনি গতবার শেষদিকে দায়িত্ব নিয়ে দলের অবনমন বাঁচান। রোজারিও খুব ভালোভাবেই জানেন আইজলের পাহাড়ি গ্রুপটিকে। মোহন বাগানের প্রাক্তনী লালনুনফেলা, ডেভিড, লালরেমসাঙ্গাদের খেলা সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। রোজারিওর পাহাড়ি ছেলেদের আছে গতি। ডেডিড কলকাতার দুই প্রধানের বিরুদ্ধে চিরকালই দারুণ খেলেন। ফ্রিকিক থেকে গোল করতে সিদ্ধহস্ত। মোহন বাগান তো ফ্রিকিকের সময়ে ঠিকমতো মানব প্রাচীরই তুলতে পারে না। তাই শেষ ২০ মিনিট দারুণ প্রেসিং ফুটবল না খেললে মোহন বাগানের তিন পয়েন্ট পাওয়া সহজ হবে না। দল গোল না পেলে সাধারণত মুনোজকে আপফ্রন্টে নিয়ে এসে বাজিমাত করার চেষ্টা করবেন কিবু।