দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প হিসাবে ঋষভ পন্থকে তুলে আনার চেষ্টা করেছে। দিল্লির তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানটি খেলানো হয়েছে একের পর এক সিরিজে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ঋষভ। টেস্ট দলে নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে বিরাট কোহলিরা ভরসা রেখেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহার উপরেই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জানুয়ারির আগে ধোনির জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা কম। তিনি নিজেও সেই বার্তা দিয়েছেন সমর্থকদের। অনেকেই ভেবেছিলেন, ধোনির অবর্তমানে ওয়ান ডে এবং টি-২০ সিরিজে ঋষভের জায়গা সুরক্ষিত। কিন্তু কেরলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ভারতীয় দলে ডাক পেলেও তাঁকে একটিও ম্যাচ না খেলিয়ে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নির্বাচকদের তুলোধনা করেছিলেন হরভজন সিং। তাই শিখর ধাওয়ান চোট পাওয়ায় তাঁর পরিবর্ত হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে সঞ্জুকে ফের দলে নেওয়া হয়েছে। সেটা ঋষভের কাছে অশনি সংকেত। এই প্রসঙ্গে লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘একের পর এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েও ঋষভ কিন্তু পায়ের তলার জমি মজবুত করতে পারেনি। এভাবে ভারতীয় দলে কি ও জায়গা ধরে রাখতে পারবে? নির্বাচকরা কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে, ব্যাক-আপ হিসাবে সঞ্জুকে তারা তুলে আনতে চাইছেন। তাই এই সময়টা ঋষভের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওর দক্ষতা ও প্রতিভা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা মাঠে নেমে ফুটিয়ে তুলতে হবে। আমি এখনও বিশ্বাস করি, ঋষভ কিন্তু ভারতীয় দলের এক্স ফ্যাক্টর হতে পারে। প্রচণ্ড সাহসী। চাপের মুখে ম্যাচ বের করার ক্ষমতা রয়েছে ওর। হার্ড হিটার। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওর মতো অল-রাউন্ডার হাতে গোনা। ভারতীয় নির্বাচকরাও সেটা বোঝেন। কিন্তু ঋষভকে কিন্তু এবার ভালো পারফর্ম করতেই হবে, না হলে ও জায়গা ধরে রাখতে পারবে না।’