সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রণব ঘোষ বলেন, বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের যেসব স্থানে এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখানে তারা কাঁটাতার বসানোর কাজ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্থানে জমি অধিগ্রহণ করতে বলেছে। দ্রুত আমরা জমি অধিগ্রহণ করে তাদের হাতে তুলে দেব।
দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্তবর্তী জেলা। এই জেলার ২৫৪ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। ১৩ কিমি সীমান্ত আজও কাঁটাতার বিহীন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু’দেশের পাচারকারীরা পাচার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। গোরু, কাফ সিরাপ, মাদক, সোনা, সাপের বিষ সহ একাধিক পণ্য চোরাপথে পাচার হয়। অন্যদিকে, দালালচক্রের মাধ্যমেও অবাধে ঢিলেঢালা নজরদারিকে কাজে লাগিয়ে অনুপ্রবেশও বেড়ে চলেছে। আর এসব বেআইনি কাজ হিলি-বালুরঘাট জাতীয় সড়কের রুট ধরে চলে। কার্যত কোনওপ্রকার নজরদারি না থাকায় এই রুটকে ব্যবহার করে পাচারকারীরা অবাধে পাচারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনি অনুপ্রবেশকারীরা নিরাপদে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে। অন্যদিকে, গোয়েন্দাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁটাতার বিহীন হিলি সীমান্ত ও হিলি বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রুটে কোনও প্রকার পুলিস তল্লাশির ব্যবস্থা না থাকায় সহজেই বাংলাদেশের জঙ্গি ও দুষ্কৃতীরা দালালচক্রের মাধ্যমে হিলি হয়ে ভারতে প্রবেশ করছে ও খুব সহজে কোনও যানবাহনে চেপে বালুরঘাট পৌঁছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা মোটর বাইক চুরি, ব্যাঙ্ক ডাকাতি, খুন সহ পাচারকার্যের সামগ্রী নিয়ে ফের এই রুট ধরে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে।
অভিযোগ, বালুরঘাটের খানপুর, হিলি ত্রিমোহনী, লস্করপুরে পুলিসের নাকা চেকিং থাকলেও কঠোর নজরদারি থাকে না। কয়েকবছর আগে বালুরঘাটে প্রবেশের আগে খানপুরে পুলিসি তল্লাশিতে অনেক দুষ্কৃতী ধরা পড়েছিল। পাশাপাশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাও মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে। সীমান্তে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিএসএফ উদ্বিগ্ন। সীমান্তে কাঁটাতার না থাকাই চোলাচালান বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে। তাই সীমান্তে কাঁটাতার না থাকা এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করবে বিএসএফ। সোমবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এনিয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে ৫৯ একর জায়গার প্রয়োজন। তারমধ্যে ২১ একর জমি অধিগ্রহণ করা আছে। বাকি জমি এখনও বিএসএফের হাতে নেই। স্বাভাবিকভাবে জমি অধিগ্রহণ করতে বিএসএফ জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। জেলা প্রশাসন সেই জমির দাম নির্ধারিত করে জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে সেগুলি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হতেই প্রশাসন নির্দিষ্ট জমি বিএসএফের হাতে তুলে দেবে।