সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন এলাকার বাজারে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ চালাচ্ছে। এতে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।
দিনহাটা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, রাতে একদল সমাজবিরোধী বাসন্তীরহাটে দু’টি দোকানে ভাঙচুর চালায়। একটি কাপড়ের দোকানে ওরা যথেচ্ছ লুটপাট করে। গত কয়েক দিন ধরেই দিনহাটার বিভিন্ন বাজারে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পেটলা, নাজিরহাট প্রভৃতি জায়গায় দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব কারণে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। গণ্ডগোলের কারণে দূরের ক্রেতারা আসছেন না। বিক্রেতারাও সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকছেন। রাজনৈতিক দলের আড়ালে দুষ্কৃতীরা এমনটা করছে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই এসব নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির দড়ি টানাটানি চলছে। রাজনৈতিক দলগুলিরই উদ্যোগ নিয়ে এসব বন্ধ করা উচিত। বাসন্তীরহাটের ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতেই এদিন আমরা গ্রামে পথ অবরোধ করি।
দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূলের উদয়ন গুহ বলেন, বিজেপির লোকেরা রাতের বেলা বাসন্তীরহাটে আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলে। ওখানে বোমাও ছোঁড়া হয়েছে। এলাকার একটি বাড়িতেও দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে। এরপর ওই দলটিই বাসন্তীরহাটে দু’টি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একটি দোকানে ওরা লুটপাট করেছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, কোচবিহার জেলাজুড়েই তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে এসব করছে। ওখানে যা ঘটেছে তা ওদেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। ওরা নিজেরাই এসব করে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। বিজেপির কেউ ওসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, এদিন ঘণ্টা দু’য়েক পথ অবরোধ হয়েছিল। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
কিছু দিন ধরেই দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দোকান ভাঙচুর, লুটপাট হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাড়িতে গিয়েও শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। পরপর এমন ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে একদিকে যেমন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তেমনি বহু ব্যবসায়ী ক্ষুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। সোমবার রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বাসন্তীরহাটে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপরেই সকাল ৯টা নাগাদ বাসন্তীরহাট-নাজিরহাট রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পথ অবরোধ চলে। পুলিস এসে দুষ্কৃতীদের ধরার আশ্বাস দিলে পথ অবরোধ উঠে যায়। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে পুলিস প্রশাসনকে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে।