সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বনদপ্তরের জয়ন্তীর রেঞ্জার রফিক আলি বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বনাঞ্চলের উপক্ষেত্র অধিকর্তা শ্রী হরিশ বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলিপুরদুয়ারের একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক অমল দত্ত বলেন, জঙ্গলের ভেতর পাথর, বালি জমা হলে সেখানে তৃণভূমি আর থাকবে না। বড় গাছগুলিও ক্ষয়গ্রস্ত হওয়া স্বাভাবিক। একটা সময় পরে জঙ্গলের গাছ মরে যাবে। পাশাপাশি জঙ্গলে থাকা বন্যপ্রাণীও বিপন্ন হবে। তাই এনিয়ে এখনই বনদপ্তর ও সেচদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা দরকার।
শিলিগুড়ির একটি প্রকৃতি প্রেমী সংস্থার কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হওয়ার কারণে জয়ন্তী নদীবক্ষ থেকে পাথর, বালি তোলা নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়ে রয়েছে। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে জয়ন্তী নদীবক্ষ ভরাট হয়ে গিয়ে উঁচু হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষাকালে নদীর জল জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছে। জয়ন্তী নদীর ড্রেজিং করা প্রয়োজন। এটা প্রশাসনের উচিত।
পরিবেশ প্রেমীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে জয়ন্তী নদী থেকে পাথর, বালি না তোলার ফলে নদীর নাব্যতা কমে গিয়েছে। কোথাও কোথাও নদীবক্ষে পলি পড়ে টিলার মতো উঁচু হয়ে গিয়েছে। একারণেই প্রতি বছর বর্ষাকালে খরস্রোতা পাহাড়ি জয়ন্তী নদীর জল বক্সার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতির জেরে জয়ন্তী নদীর জল আরও বেশি করে বক্সার জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে পড়ে। নদীর জলস্রোতের সঙ্গে ছোটবড় পাথর, বালি জঙ্গলের ভেতর ঢুকে গিয়ে গাছের নিচে মাটির উপর জমা হচ্ছে। এছাড়াও ভুটান পাহাড় থেকে নামে আসা এই পাহাড়ি নদীর জলে প্রচুর পরিমাণে ডলোমাইট এবং ভুটানের বর্জ্য ভেসে আসে। পাথর বালির সঙ্গে বক্সার জঙ্গলের ভেতর গাছের নীচে মাটির উপর জমা হচ্ছে। যার ফলে জঙ্গলের গাছের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই জয়ন্তী নদীর করাল গ্রাস থেকে বক্সার জঙ্গলকে বাঁচাতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অদূর ভবিষতে এর ফল মারাত্মক হবে বলে পরিবেশপ্রেমীরা গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ১০ নম্বর হাতিনালার পাশে প্রায় ছ’হেক্টর জঙ্গলের ভেতরে ছোটবড় পাথর এবং বালি জমে টিলা তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রতিবছর জঙ্গলের ভেতর ওই জায়গায় পাথর, বালি জমছে। ইতিমধ্যেই তৃণভূমিতে পলির মোটা আস্তরণ হয়েছে। বেশকিছু গাছ মারাও গিয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে একসময়ে তৃণভোজী প্রাণীরাও জীবন সংশয়ে পড়বে।