কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও উৎকৃষ্ট মানের আঞ্চলিক দ্রব্য বা পণ্য যদি সেই এলাকার নিজস্ব দ্রব্য হয়, তাহলে তা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই তকমা পেতে পারে। কোনও দ্রব্য বা পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার মূল লক্ষ্য হয় বিদেশের বাজার ধরা। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন রাজ্য তার সীমানার মধ্যে থাকা বিভিন্ন এলাকার বিশেষ বিশেষ পণ্যকে তুলে ধরে জিআই তকমা পাওয়ার জন্য লড়াই করে। সেই পণ্য বা দ্রব্যের তালিকায় যেমন থাকতে পারে কৃষিজ ফলন, তেমনই থাকতে পারে কৃষিজাত পণ্য। পাশাপাশি হস্তশিল্পও জিআই পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবার সেই জিআই পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলার বাজি ‘বেঙ্গল মসলিন’।
ওয়েস্ট বেঙ্গল খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি বোর্ড জানাচ্ছে, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, কালিম্পং, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট ৬৩টি মসলিন ক্লাস্টারে তৈরি হয় মসলিন বস্ত্র। মোট ৩৯ হাজার ৫৮৩ জন তাঁতি সেই এর উৎপাদনে যুক্ত। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছে দপ্তর। আঞ্চলিক বাজারে বিপণনের পাশাপাশি কলকাতায় তিনটি বড় শপিং মল থেকেও বিক্রি হচ্ছে বাংলার মসলিন।
মসলিনে কী এমন বিশেষত্ব আছে, যার জন্য তার কদর করবে বিশ্ব? চেন্নাইয়ের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস রেজিস্ট্রি অফিসে তথ্য দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর সেই কাহিনী শুনিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নিজেদের দেশের বস্ত্র বিপণনের লক্ষ্যে অবিভক্ত বাংলার মসলিন শিল্পীদের বুড়ো আঙুল কেটে দিত ইংরেজ সরকার। বাংলার মসলিন পরিধানের জন্য মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁর মেয়েকে ভর্ৎসনা করেছিলেন নগ্নতার দোহাই দিয়ে। ১৭১৭ সালে এক হাজার সুতোর এক হাজার মিটার মসলিনের ওজন ছিল এক গ্রাম, যার দাম ছিল সেই সময় চারশো টাকা। তখন একটা পরিবারে এক টাকায় মাস চলে যেত। এর থেকেই বোঝা যায় মসলিনের মহিমা, বলা হয়েছে নথিতে।
কিন্তু যে মসলিনের জন্য বাংলাদেশকে সবাই চেনে, এই বাংলায় তার ভূমিকা কী ছিল? এর স্বপক্ষে বহু নথি জোগাড় করেছে দপ্তর। তারা বলছে, অবিভক্ত বাংলায় যে কাপড়ের সমৃদ্ধি ঘটেছিল, তাতে এপার বাংলার অবদানই ছিল বৃহৎ। সেই ইতিহাসকে অস্বীকার করবে কে?