সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
গত কয়েক দিনে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ কমবেশি সকলেই এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্লকের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই জ্বর হানা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। কোনও পরিবারের একজন এই জ্বরে আক্রান্ত হলে পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই অনেকে এই জ্বরকে ভাইরাল ফিভার বলছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা এই জ্বরকে ভাইরাল ফিভার বলতে নারাজ। তাঁরা অজানা জ্বর বলছেন। রক্ত পরীক্ষা করে নিয়ম করে ওষুধ খেলেই জ্বর সেরে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত ভগবানগোলা-২ ব্লকে সারাবছর ধরে কমবেশি টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় অনেকে। ব্লকের বিভিন্ন প্রাথমিক এবং উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সারা বছরে টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে জানা গিয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উৎপল মজুমদার বলেন, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভগবানগোলা-২ ব্লকে অন্যান্য রোগের তুলনায় আনুপাতিক হারে বেশি। বর্ষাকালের শুরু থেকেই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নসিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন জ্বর নিয়ে প্রচুর রোগী আসছেন। এই জ্বর কিছুটা টাইফয়েড মতো। অজানা জ্বর হিসেবেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। প্রচুর মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত জ্বরে কোনও মৃত্যুর খবর নেই। তিনি আরও বলেন ১০থেকে ২০আগস্ট পর্যন্ত রক্ত পরীক্ষায় ২০জনের শরীরে ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। আক্রান্ত সকলেই কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন। ঈদ উপলক্ষে জ্বর নিয়েই বাড়িতে এসেছিলেন। তবে ক্যাম্প করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফুলপুর ঝিঁকরায় একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প করে এলাকার মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।