দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
হায়দরাবাদের প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ এখনও ফুটছে। আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে এদেশে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি। নারীসুরক্ষার সেই বিষয়কে সামনে রেখে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নতুন ট্রেন্ড সামনে এসেছে। অনেকেই নিজ নিজ অবস্থান উল্লেখ করে নিজের ফোন নম্বর শেয়ার করছেন ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায়। উদ্দেশ্য, যাতে ওইসব এলাকায় কোনও মহিলা রাতে কখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তাহলে তাঁদের দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করলেই এগিয়ে আসবেন তাঁরা। নারীসুরক্ষার এই নতুন ট্রেন্ডে অংশ নিয়েছে মালদহও।
প্রিয়াঙ্কা কাণ্ড নিয়ে মালদহ জেলার মহিলারাও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তাই বিশেষ করে রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে এগিয়ে এসেছেন মালদহ জেলার বহু যুবক। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর শেয়ার ও প্রচার করে আবেদন করছেন, যদি কোনও মহিলা বিপদে পড়েন, তবে এই নম্বর ফোন করুন। আমরাই তাঁদের নিরাপদে বাড়ি পযর্ন্ত পৌঁছে দিয়ে আসব। শুধু পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজার শহর এলাকা নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে বুলবুলচণ্ডী ও গাজোলের মতো গ্রামীণ এলাকার যুবকরাও এলাকাভিত্তিক একাধিক নম্বরও ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ওই গ্রাম্য এলাকার মেয়েরা এই দুই শহরে আসেন কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষার জন্য। তাই তাঁদের কথা ভেবেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলার দুই শহর ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহে বিপদে পড়া মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে চাওয়া বুবাই মণ্ডল, পার্থ সাহারা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, অনেকে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে নম্বর শেয়ার করছেন।তাই আমরাও আমাদের নম্বর শেয়ার করেছি। আমাদের গ্রুপে অনেকেই রয়েছে। সবার নম্বর দেওয়া হয়েছে। একজনকে ফোন করলেই হবে। আমরা এই শহরে থাকি। যে কোনও সময় যদি শহরের মহিলারা বিপদে পড়েন, তাহলে আমাদের শেয়ার করা নম্বর গুলিতে ফোন করলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেব।
অন্যদিকে, হবিবপুর ও গাজোলের মহিলারা বিপদে পড়লে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিশ্বজিৎ সিংহ ও বুবাই ঠাকুর বলেন, আমাদের গ্রাম গঞ্জের বহু মেয়ে শহরে পড়াশুনা করতে যায়। আবার অনেকে কর্মসূত্রে বাইরে নানা জায়গায় যান। তাঁদের ফিরতে অনেক সময় রাত হয়ে যায়। রাতে ফেরার সময় তাঁদের যদি কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া নম্বরগুলিতে ফোন করলে আমরা তাঁদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেব।
মালদহের বাসিন্দা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও রিম্পা চৌধুরী বলেন, আমরা ফেসবুকে এই নম্বর শেয়ার করার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। শহরের ও গ্রামের জন্য অনেকে নম্বর দিয়েছেন। মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এটি ভালো উদ্যোগ। তবে আমাদের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে। যাঁরা এগুলি শেয়ার করছেন, তাঁদের অনেককে আমরা চিনি। তাঁদের ফোন করতে অসুবিধা হবে না। কিন্ত আবার অনেককেই চিনি না। তাঁদের ফোন করলে যদি হিতে বিপরীত হয়?