দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের অলিখিত রাজধানী শিলিগুড়ি। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা থাকায় জনসংখ্যার চাপ ক্রমবর্ধমান। ব্যবসা-বাণিজ্যেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চাঙ্গা করার দাবি বহুদিনের। সেইমতো সরবরাহ ব্যবস্থা চাঙ্গা করার কাজে হাত দিয়েছে বণ্টন কোম্পানি। এদিন মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে কোম্পানির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে ওই কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। মূলত শিলিগুড়ি শহর এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় চলা কাজের গতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কিম (আইপিডিএস) এবং দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনায় (ডিডিইউজিওয়াই) বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়ন করার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। আইপিডিএস হচ্ছে শহর এলাকার এবং ডিডিইউজিওয়াই গ্রামীণ এলাকার জন্য। ইতিমধ্যে আইপিডিএসে পূর্ব খড়িবাড়ি ও তিনবাত্তি এলাকায় দু’টি নতুন ৩৩ কেভি সাবস্টেশন তৈরি হয়েছে। এর বাইরে শিলিগুড়ি, রবীন্দ্রনগর, হাউজিং বোর্ড, শালবাড়ি এবং ঝঙ্কার মোড় এই পাঁচটি সাবস্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাবস্টেশনগুলির কন্ট্রোল রুম সংস্কার করার কাজ চলছে। ডিডিইউজিওয়াইয়ের অধীনে রাধাবাড়ি সাবস্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের সুভাষপল্লি, সেভক রোডের টিবি হাসপাতাল, প্রধাননগর প্রভৃতি এলাকায় নতুন ৩৩ কেভি সাবস্টেশন তৈরি, এনজেপি থেকে তিনবাত্তি, এনজেপি থেকে রাধাবাড়ি প্রভৃতি সহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন ৩৩ কেভি লাইন পাতার কাজ চলছে। ফুলবাড়ি শিল্পতালুক এবং রাধাবাড়িতে শিল্পতালুকে দু’টি নতুন সাবস্টেশন তৈরির প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ি-পূর্ব খড়িবাড়ি, উজান-পূর্ব খড়িবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি লাইন, কিছু জায়গায় ১১ কেভির ফিডার পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নতুন ১১ কেভির সাবস্টেশন তৈরির কাজ চলছে। বেশকিছু জায়গায় বিকল মিটার বদলানো চলছে। এদিন বৈঠকের পর পর্যটনমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির কাজ ঠিকমতোই চলছে। বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে এব্যাপারে কথা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজে হাত দেয় বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। এবার শীত পড়তেই সেই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পরিষেবা চাঙ্গা করার কাজ চলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হবেই। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাওয়ার কাট করে পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। একাজ করার জন্য এক একটি এলাকায় ১০ দিনের বেশি যাতে সময় না লাগে সেদিকে কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারদের লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।