দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি আধিকারিক বিপ্লব ঘোষ বলেন, ফল আর্মি ওয়ার্ম জেলায় গত বছর আক্রমণ করেছিল। কিন্তু এবছর ব্যাপক আকারে আক্রমণ করছে। এর মোকাবিলায় আমাদের দপ্তরের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের সচেতন করছে। সম্প্রতি রাজ্য থেকেও একটি টিম এসেছিল। তারাও এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছে। এই পোকাগুলিকে নির্মূল করা খুবই মুশকিল হচ্ছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে রোটেশনালি স্প্রে করে পোকা তাড়াতে হচ্ছে। বিভিন্ন পেস্টিসাইট কোম্পানির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পেস্টিসাইট ডিলার ও বিক্রিতাদের সঙ্গেও মিটিং হয়েছে। তাদের আমরা প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্পর্কে বলেছি। চাষিদের যাতে সেই ওষুধ ব্যবহার করেন তা নিয়ে প্রচার চলছে।
জেলা কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। গত বছর জেলায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়েছিল। এবার এলাকা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এই পোকার আক্রমণে চাষিরা চিন্তিত। পোকা শনাক্ত করা, পোকার হাত থেকে রক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার নিয়ে চাষিদের সচেতন করা হচ্ছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, দপ্তরের কর্মীরা চাষের জমিতে গিয়ে চাষিদের সচেতন করছেন। বিভিন্ন এলাকায় প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। সারের দোকানদারদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাষিদের যাতে সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়।
কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভুট্টা গাছের উপরের দিকে পাতাগুলি যে অংশে কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেখানে এই পোকা পাওয়া যায়। ভুট্টার পাতায় বিভিন্ন আকারের ছিদ্র দেখা গেলে বুঝতে হবে এই পোকার আক্রমণ হয়েছে। এই পোকা সাধারণত কচি পাতা ও ট্যাসেল খায়। পোকার আক্রমণ সুনিশ্চিত হতে আরও কিছু পদ্ধতি আছে। চারা বের হওয়ার পর ২১ থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত ১ থেকে ৫ শতাংশ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বীজ রোপণের আগে জমিতে গভীর পর্যন্ত চাষ করতে হবে। এর ফলে পিউপাগুলি বন্ধু পোকার কাছে খাদ্য হিসেবে ধরা পড়বে। চারার বয়স ১ মাস পর্যন্ত মাঠে পাখি বসার ব্যবস্থ্যা করতে হবে। এই পোকা ২০১৬ সালে আফ্রিকায় প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ২০১৮ সালের মে মাসে এই দেশের কর্নাটকে এই পোকার উপস্থিতি ধরা পড়ে। ওই বছরই এই রাজ্যের নদীয়া জেলায় এই পোকার আক্রমণ হয়। চাষিরা বলছেন, উত্তর দিনাজপুর জেলার মাটি ও আবহাওয়া ভুট্টা চাষের ক্ষেত্রে আদর্শ। জেলার প্রচুর চাষি অর্থকরী এই ফসলের চাষ করে। বর্তমানে ভুট্টা লাগানোর মরশুম চলছে। চাষিদের দাবি, দপ্তর থেকে বিনামূল্যে কীটনাশক দেওয়া হোক।