দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
কৃষকদের উৎপাদিত আনাজ বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল পুরাতন মালদহের ওই কৃষক বাজার বা মাণ্ডি। বছর খানেক আগে চালু হয়ে যায় বাজার। মাঝে প্রশাসনের প্রচারে বাজার বসলেও কৃষকদের উদ্যোগের অভাবে এবং ক্রেতাদের অভাবের কারণে ওই বাজারটি এখন আর কোনও কাজে আসছে না। কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। কৃষকবাজারের গুদাম ঘর থেকে শুরু করে দোকানঘর, ধরম কাটা সব জং পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাজার চত্বর জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছে। বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। বর্তমানে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা ছাড়া ওই কৃষক বাজার আর কোনও কাজে আসছে না।
হাট ব্যবসায়ীরা বলেন, আশেপাশে তিন-চারটি বড় বড় হাট বসে। স্থানীয় কৃষকরা ওই হাটগুলির উপরই নির্ভরশীল। তাই ওই সরকারি কৃষক বাজারের প্রতি বিক্রেতাদের আগ্রহ কমে গিয়েছে। ওই সরকারি বাজারে দোকান বসালে ক্রেতার অভাবে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা আনাজ নষ্ট হয়ে যায়। তাতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ি।
মালদহ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের রফিকুল হোসেন বলেন, পুরাতন মালদহের কৃষক বাজারের কী পরিস্থিতি রয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখব। আগামী দিনে আমাদের স্থায়ী সমিতির মিটিং রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মালদহ জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সম্পাদক অনুপম মৈত্র বলেন, পুরাতন মালদহের কৃষক বাজারে আমরা বাজার বসিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু সেটি জমে ওঠেনি। তবে এই কৃষক বাজার যাতে এলাকার মানুষের কাজে আসে সেজন্য আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি ।
মালদহ জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে মোট নয়টি কৃষক বাজার রয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পুরাতন মালদহ কৃষক বাজার আংশিকভাবে চালু হলেও কৃষক এবং ক্রেতার উদ্যোগের অভাবে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই কৃষক বাজারের পাশেই আট মাইল হাট রয়েছে। তার আগে গাজোলের আলমপুর হাট বসে। মালদহ শহরের নবাবগঞ্জ হাটে কৃষকরা উৎপাদিত শাকসবজি ও আনাজ বিক্রি করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই চালু হাটগুলি থেকেই তাঁদের দৈনন্দিন বাজার করেন। তাই কৃষকরাও সেখানেই যান। তাই আধুনিক পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পুরাতন মালদহের কৃষক বাজার খালিই পড়ে থাকছে। তাতে বহু মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষিজ উৎপাদন বিক্রির উদ্দেশ্যেই কৃষিজ বিপণন দপ্তর ওই কৃষক বাজার তৈরি করেছিল। যদিও তা কাজে না আসায় প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।