ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমার আদিবাসী প্রধান এলাকাগুলির মধ্যে ফাঁসিদেওয়া ব্লক অন্যতম। কৃষিনির্ভর এবং চা বাগান ঘেরা এই এলাকার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ ছোটনবাবু। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএমের ঝান্ডা ধরেই রাজনীতির আঙিনায় তাঁর প্রবেশ। ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত ছিলেন বিধায়ক। ২০১৫ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের মহকুমা পরিষদের ৭ নম্বর আসন থেকে সিপিএমের টিকিটে জয়ী হন তিনি। এরপর তাঁকে মহকুমা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মনোনীত করা হয়। বোর্ড গঠনের আড়াই বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি সিপিএমের সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলের ঝান্ডা কাঁধে তুলে নেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের কিষান খেত মজদুর সেলের জেলা সভাপতি। কিন্তু এখনও তিনি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদটি ছাড়েননি।
ছোটনবাবু অবশ্য বলেন, মহকুমা পরিষদের শাসকগোষ্ঠী অনাস্থা এনে আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতেই পারে। যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন উন্নয়নের স্বার্থে ওই পদের দায়িত্ব পালন করব। গোটা বিষয়টি দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব জানে। তারা নির্দেশ দিলেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দেব।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯টি। গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ৫টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি এবং তৃণমূল ৩টি আসন দখল করে। পরবর্তীতে সিপিএম ত্যাগ করে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শামিল হন তৃণমূলে। বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪জন এবং বামফ্রন্টের সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫জন। এর বাইরে মহকুমা পরিষদের এক্স-অফিসিও মেম্বারের সংখ্যা ৭জন। ২জন বিধায়ক, ৪জন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং এক জন সংসদ সদস্য। বর্তমানে নির্বাচিত ও এক্স-অফিসিও মেম্বার মিলিয়ে বামফ্রন্টের সদস্য সংখ্যা ৬জন এবং তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৭জন। এছাড়া, কংগ্রেসের ২জন বিধায়ক এবং বিজেপির ১জন সংসদ সদস্য পদাধিকার বলে মহকুমা পরিষদের সদস্য।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, বামফ্রন্ট কংগ্রেসের সহযোগিতা নিয়ে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে যখন তখন পদ থেকে অপসারণ করতে পারে। আবার মহকুমা পরিষদের সমস্ত স্থায়ী সমিতি দখল করার চেষ্টাও চালাতেই পারে তৃণমূল। কারণ, নির্বাচিত ও এক্স অফিসিও মেম্বার মিলিয়ে তৃণমূল মহকুমা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু দু’পক্ষই কার্যত বোঝাপড়া করে মহকুমা পরিষদ চালাচ্ছে।
মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, সকলেই জনতার ভোটে নির্বাচিত। তাই সকলকে মর্যাদা দিয়েই মহকুমা পরিষদ পরিচালন করছি। এর পেছনে অন্য কোনও বিষয় নেই। মহকুমা পরিষদের বিরোধ দলনেতা তৃণমূলের কাজল ঘোষের গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।