ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে কোলাঘাট থানার শান্তিপুর গ্রামের সালেহা খাতুন বাড়িতে একা ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে। একজন কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। অন্যজন এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বৃদ্ধার স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। একা থাকার সুযোগেই ওই রাতে প্রতিবেশী এক যুবক তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। ওই যুবক বিভিন্ন ধরনের দুষ্কর্ম করে বেড়ায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ঢুকে সে নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় ওই বৃদ্ধার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি প্রতিবেশী ওই যুবককে চিনে ফেলেন। এরপর তার নাম ধরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। সেই সময় ওই যুবক তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সালেহা খাতুন বাঁচার জন্য ওই যুবকের হাত ধরে আঙুলে সজোরে কামড় বসিয়ে দেন। তাতে ওই যুবকের একটি আঙুল কেটে পড়ে যায়। যন্ত্রণায় পিছু হটতে বাধ্য হয় ওই যুবক। সালেহা খাতুন কাটা আঙুলটি একটি কাগজের ঠোঙায় মুড়ে রাখেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী যুবকের কাটা আঙুল নিয়ে সালেহা খাতুন বলেন, ওই যুবক রাতে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। আমার ঘরে ঢুকে সে আলমারি থেকে নগদ টাকা পয়সা ও গয়নাগাটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় আমি ঘুম থেকে উঠে পড়ি। আমি ওকে চিনে ফেলার পর আমাকে খুনের চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে আমি আঙুলে কামড় বসিয়ে দিই। তাতে ওরা একটা আঙুল কেটে পড়ে যায়। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়েছিল। তাতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আঙুল কেটে যাওয়ার পর প্রতিবেশী ওই যুবক চম্পট দিয়েছে। তা না হলে ও আমাকে খুনই করে ফেলত।
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান স্থানীয় শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শেখ সেলিম আলি। তিনিই ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত যুবক নানা অসামাজিক কাজ করে বেড়ায়। এই ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে। তার খোঁজ করা হচ্ছে।