ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
শহরের অযোধ্যানগর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি সম্পূর্ণ অন্য থিম মন্দিরে তুলে এনেছে। এবার এই পুজো কমিটির থিম অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির। মণ্ডপে থাকবে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ এবং হনুমানের মূর্তি। অযোধ্যায় মন্দির তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে দেশজুড়ে নানা চর্চা চলছে। সেসময় সেই বিতর্কিত থিম তুলে এনে চমক দিয়েছে এই পুজো উদ্যোক্তারা। তা নিয়ে তারা পোস্টার ব্যানার তৈরি করে প্রচারও চালাচ্ছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এবারে মন্দিরে রেকর্ড দর্শনার্থীর ভিড় হবে। সেরকমভাবেই তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুজো কমিটির সম্পাদক গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির কেমন হবে তা নিয়ে ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি ঘুরছে। আমরা সেই ধাঁচেই মন্দির তৈরি করছি। শহরের বাসিন্দাদের মন জয় করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। ৭৫বছরে আমাদের পুজো পা দিয়েছে। শুরুর দিন থেকেই আমাদের মণ্ডপ দেখার জন্য ভিড় হয়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। এবারও তাঁরা আসবেন।
অন্যদিকে, শহরের হরিদাসমাটি পুজো কমিটি অবশ্য কোনও বিতর্কের রাস্তায় হাঁটতে চায় না। তারা প্রায় ৬০ফুট উচ্চতার মণ্ডপ তৈরি করে নজর টানতে চাইছে। মণ্ডপের চূড়ায় থাকবে শিব মূর্তি। মণ্ডপ তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তারা বলেন, সুউচ্চ এই মন্দিরে এসে দর্শনার্থীরা অন্য অনুভূর্তি পাবে। মূর্তিতেও চমক থাকবে।
শহরের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবারই বহরমপুরের পুজো উদ্যোক্তারা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য থিম তৈরি করে। ১০-১২টি পুজো কমিটির মধ্যেই সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা চলছে। জেলার বাসিন্দারা অবশ্য কোনও পুজো কমিটিকেই হতাশ করেন না। সব মণ্ডপেই ভিড় করেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় নবমীর রাতে। ভিড়ের কারণে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না হয় তারজন্য প্রশাসনও প্রস্তুতি শুরু করেছে। পুজোর দিনগুলিতে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা নিয়ে তারা গাইডলাইন বেঁধে দেয়। শহরের বাসিন্দারা অবশ্য সেসব নিয়ে মাথা ঘামান না। কবে মমি বা প্রস্তাবিত রাম মন্দির মণ্ডপে দেখা যাবে তা নিয়েই তাঁরা দিন গোনা শুরু করেছেন।