ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্ষার সময় জ্বরের একটা প্রবণতা থাকে। তবে সব জ্বরই ডেঙ্গু নয়, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অতএব রোগীকে নির্দিষ্টভাবে রক্ত পরীক্ষা করানো দরকার। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে ব্যাপক সচেতনতা চালানো হচ্ছে। জীবাণুবাহী এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগ হয়। তাই সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগে স্প্রে করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে মশা মারার ওষুধ, ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। এলাকার মানুষকে ডেঙ্গু নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বিষয়েও সচেতন করা হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা নজর রাখছেন পুরো বিষয়টির উপর। শুধু ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নয়, সমগ্র বীরনগর এলাকাজুড়েই প্রচার অভিযান চলছে।
বীরনগর পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই এলাকায় বেশ কয়েকজনের জ্বরের খবর পাই। কিন্তু, আমাদের কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার কোনও পরিকাঠামো নেই। তাই আমরা আক্রান্তদের রক্ত বেসরকারি একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে পাঠাই। সেখান থেকে রক্ত রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু, তারা সেটাকে ডেঙ্গু বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তবে জেলার একটি রিপোর্টে আমি চারজনের ডেঙ্গুর কথা জানতে পারি। কিন্তু, আক্রান্তদের নাম জানতে পারিনি। এরপর রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে সুপারকে অনুরোধ করি, যাঁদের বেশি জ্বর আছে তাঁদের ভর্তি নেওয়া হোক।
তিনি বলেন, বুধবার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় যায়। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ববিতা দাস সহ সকলে সচেতন আছেন। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে বীরনগরের মানুষদের জ্বর নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ অসিত দেওয়ান বলেন, বীরনগরে কয়েক জায়গায় স্থানীয়দের জ্বর হয়েছে। সেটা আমাদের কাছে খবর রয়েছে। বিষয়টি দেখবার জন্য বুধবার জেলার একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যাবে। কয়েকজনের ডেঙ্গু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে জ্বরে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে বাসিন্দাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে।